যেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো নারীকে রাস্ট্র-প্রধান করতে পেরেছে, সেখানে বিশ্বের লীডার আজো নারীকে সেই বিশাল মর্যদা দিতে পারেনি; এবার একটা সুযোগ এসেছিল, সেটাও ন্যাক্কারজনকভাবে হারিয়ে গেলো; লজ্জার বিষয়ই বটে!
রাজনৈতিকভাবে ভাবলে, লজ্জার কিছু ঘটেনি, যা ঘটেছে তাই সঠিক হয়েছে; মানুষ হিলারীর ৩০ বছরের অবদানকে মেপে, সঠিক উত্তর দিয়েছেন। হিলারীর অবদান ছিল, সেটাকে মাপা সম্ভব হয়েছে, এবং সেটার উপর নির্ভর করে মানুষ ডিসিশন নিয়েছেন।
বেগম খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, বেনজীট ভুট্টো বা ফিলিপাইনের কোরাসন আকিনোর কোন অবদান ছিলো না, মাপার মতো কিছু ছিলো না, মাপার দরকার হয়নি, মানুষ নিজের পায়ে কুড়াল মারতে চেয়েছিল, তারা তাই করেছে; আমেরিকানরা পায়ে কুড়াল মারলে একা ওদের পায়ে পড়তো না, পড়তো অনেকের পায়ে, তাই তাদের ভাবতে হয়!
রাজনীতিতে হিলারীর অবদান বিভিন্ন উপায়ে মাপা হয়েছে, এবং আমেরিকানরা মনে করেছে যে, জাতি হিলারীর ৩০ বছরের অবদান থেকে কোনভাবে উপকৃত হয়নি; কিন্তু হিলারী নিজে বেশী উপকৃত হয়েছে; সেখানেই সবকিছুর শেষ, নতুন ইতিহাস গড়ার আগেই ইটিহাসের যবনিকা।
হিলারীর বড় পরীক্ষা ছিল প্রেসিডেন্ট ওবামার ফরেন সেক্রেটারী হিসেবে; ওবামা যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল; যুদ্ধ শেষ করার বড় বড় পদক্ষেপগুলো নির্ভর করেছিল ফরেন সেক্রেটারীর বিশ্ব রাজনীতির উপর; যুদ্ধ থামেনি; ববরং ভয়ানক মোড় নিয়ে দীর্ঘ সময় চলার উপক্রম হয়েছে; পরীক্ষায় ফেল, ইতিহাস গড়া সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১