somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যাটার্ণ

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের দেশের প্রেসিডেন্টর কথা মনে হলে, কেমন বুড়ো, অসুস্হ, একটা মানুষের চিত্র ভেসে আসে আমাদের মানসে, যিনি বিদেশী দুতদের পরিচায়-পত্র গ্রহন করেন, চাকর-বাকর নিয়ে বিরাট বাড়ীতে বসবাস করেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান, মিলিটারীর কুচকাওয়াজে যান, মৃত্যুদন্ড-প্রাপ্ত আসামীদের(নিজ দলের হলে) প্রাণ-ভিক্ষা দেন, ১৬ই ডিসেম্বরে বিদেশীদের জন্য ভোজ-সভা করেন, শেখ সাহেব আর জেনারেল জিয়ার কবর জেয়ারত করেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের জাতির মাথা, আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোর মাথা, আমাদের সরকারের মাথা, আমাদের সেনা বাহিনীর মাথার এই অবস্হা কেন? এত দুর্বল মানুষ জাতির জন্য কি করবেন, কি ভাববেন; বরং, উনাকে নিয়ে জাতির ভাবনার শেষ নেই!

আমাদের জাতির জাতীয়তাবাদের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন শেখ সাহেব; মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সরকারের কারগারে বন্দী ছিলেন; কিন্তু আমাদের যুদ্ধকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট তিনিই ছিলেন; ফিরে এসে হয়ে গেলেন প্রাইম মিনিস্টার! এগুলো হচ্ছে, সংবিধানের যত নিয়ম কানুন। প্রাইম মিনিস্টারের পদ উনার পছন্দ হয়নি, মনে হয়; উনি আবার প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলেন; এবার এটা কার কার যেন পছন্দ হয়নি, তারা উনাকে মেরেই ফেললো! শুরুটাই ভয়ংকর!

শেখ সাহেব যখন বন্দী ছিলেন, উনার অনুপস্হিতিতে উনার ঘনিস্ট সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব প্রেসিডেন্টের কাজ চালিয়ে ছিলেন। শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর, উনার প্রক্সিকেও হত্যা করার দরকার ছিলো, বোধ হয়; না হলে, হয়তো সাংবিধানিক ভুল হয়ে যেতো; যাক, সংবিধান সমুন্নত রাখা হয়েছে!

খোন্দকার মোস্তাকে সাহেব ছিলেন শেখ সাহেবের ঘনিস্ট লোক, উনারও আমাদের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ হয়েছিলো; উনি বন্দুক-ওয়ালাদের পিছু পিছু এসেছিলেন, বন্দুক-ওয়ালাদের ভয়ে পেছন দরজা দিয়ে পালিয়া গেছেন। এখন হয়তো আগামী সুযোগের অপেক্ষায় আছেন।

১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হওয়া সামরিক শাসন চলাাকালেও দেশে প্রেসিডেন্টের দরকার ছিলো, সামরিক শাসনকর্তা জেনারেল জিয়া বিচারপতি সায়েম সাহেবকেই প্রেসিডেন্ট পদ দিয়েছিলেন; তখন সময় ভালো ছিল, সবকিছু জিয়া নিজেই করতেন, বাকীরা ছিলো সরকারের অলংকার।

এক সময় জিয়া নিজেই প্রেসিডেন্ট পদে এলেন; কারণ, প্রেসিডেন্ট পদে না এলে, সহজে মৃত্যু হয় না; জিয়া যেভাবে এসেছিলেন, সেই পথেই চলে গেছেন; কিন্তু সামরিক বীজ বপন করে গিয়েছিলেন।

এরশাদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক বিস্ময়, তেলে পোকার মতো, পারমানবিক যুদ্ধ হলে, যদি একজন বাংগালী বেঁছে যান, সেটা হবে আমাদের জাতীর গৌরব, জেনারেল এরশাদ।

রাজনীতির হেরফেরে এক রাজাকারও প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছিলেন, সৌভাগ্য যে শেখ হাসিনার চোখে পড়েননি, না হয়, কমপকক্ষে সরকারকে আরেক টুকরা ম্যানিলা রশি কিনতে হতো।

পরের বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট ছিলেন এক ডাক্তার, উনি কবর জেয়ারত ইত্যাদি নিয়ে মাথা ঘামাতেন না, হয়তো সুরা কালাম মনে রাখতে পারতেন না; বেশ, ডিস-কোয়ালিফাইড।

এর পরেরটা ছিল সুপারম্যান, দুনিয়ার সব পোস্ট উনার ছিল; কিন্তু মাথায় নাকি সমস্যা ছিল; যাক, সমাধান হয়ে গেছে, উনি নেই!

আরেকজন প্রেসিডেন্ট নিজ দেশের চিকিৎসকদের বিশ্বাস না করে বিদেশে গিয়ে মৃত্যু বরণ করলেন; সমস্যা, জাতির উপরে স্বয়ং প্রেসিডেন্টের আস্হা ছিল না।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×