ট্রাম্পের সিকিউরিটি এডভাইসার জেনারেল ফ্লীন গতকাল পদত্যাগ পত্র দিতে বাধ্য হয়েছে; ট্রাম্প পদত্যাগপত্র নিয়েছেন। এই জেনারেলকে নিয়ে ট্রাম্প অনেক গর্ব করেছেন, এবং সামনের দিনগুলোতে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে এই জেনারেলের অনেক বড় ভুমিকা থাকার কথা ছিল; ট্রাম্পের জন্য এটি একটি বড় ধরণের আঘাত।
নির্বাচিত হওয়ার পর, ক্ষমতা বুঝে নেয়ার আগে, ট্রাম্প ঘোড়া ডিংগারে ঘাস খেয়েছে, ইসরায়েলের প্রাইম মিনিস্টারের সাথে কথা বলে, জাতি সংঘে ইসরায়েলের সেটেলমেন্টের উপর ভোট ১ দিন পিছায়ে নিয়েছিল।
ট্রাম্পের দেখাদেখি এই জেনারেলও ঘোড়া ডিংগায়ে ঘাস খেয়েছে; কিন্তু ঐ ঘাস হজম হয়নি; ইনি টেলিফোনে রাশিয়ান রাস্ট্রদুতের সাথে কথা বলেছেন; কথা বলার এক পর্যায়ে উনারা রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেছে, এবং শিথিল করার আশ্বাস দিয়েছে এই জেনারেল। বেশ, বিরাট জেনারেল, বিরাট আইডিয়া, বিরাট পদক্ষেপ; কিন্তু পেছনে টিকটিকি লেগেছিল, এফবিআই; তারা সব কথা শুনে, টেইপ করে, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে জানায়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতা পাবার পর, জাস্টিস ডিপাটমেন্ট নিয়ম অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্টকে জানায়েছে; ফ্লীন কথা বলার কথা স্বীকার করেছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলাপের কথা চেপে গেছে। গতকাল, সেটা স্বীকার করেছে ও পদত্যাগ করেছে।
গত ২০/২৫ বছর আমেরিকা এই ধরণের অনেক জেনারেলের ও সিকিউরিটি এডভাইজারদের ভুলের কারণে বারবার যুদ্ধে জড়ায়ে পড়েছে, বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে; মনে হয়, সামনের কোন এক সময়ে, আমেরিকা বিচারের সন্মুখীন হবে। আমেরিকানরা তাদের আগের জেনারেশনের মত বুদ্ধিমান নন, এটার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র।
আজ সারাদিন ডেমোক্রেটরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বক্তব্য চাচ্ছে, তারা তদন্ত চাচ্ছে, তারা এটাতে ট্রাম্পকে জড়ানোর চেস্টা করছে; ট্রাম্পকে এই যাত্রায় হয়তো ধরতে পারবে না; তবে, ট্রাম্প বেশ হতাশ হয়েছে এই ঘটনায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬