পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের জন্য "নিরাপদ অন্চল" গঠনে যদি কেহ প্রস্তাব দেয়, বাংলাদেশের মানুষ তা মানবে? তা'হলে কোন বুদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকার রাখাইনে রোহিংগাদের জন্য "নিরাপদ অন্চল" গঠনে প্রস্তাব দেয়ার কথা বলছে বার্মাকে? বাংগালীরা না ভেবে কথা বলে, এদের রাজনৈতিক, কুটনৈতিক বুদ্ধি নেই; আসলে, এদের অনেকের কমনসেন্সই কম। এ প্রস্তাব বার্মা সহজেই না করে দেবে।
রোহিংগাদের বড় শত্রু স্হানীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ও তাদের অনুসারী মগেরা, এমনকি ভারতীয় বংশধর লোকজনও এদেরকে রাখাইনে চাহে না; এরা বার্মার সৈন্য ও পুলিশ বাহিনী থেকেও ভয়ংকর; কারণ, এদের উপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই; এদের মাঝে "নিরাপদ অন্চল" গঠনের প্রস্তাব দেয়ার কোন মানে আছে? বার্মা বাংলাদেশ থেকে ৪.৭ গুণ বড়, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮১ জন মানুষ বাস করে, পুরোদেশ খালি; আমাদের দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করে ১১০০ জন। এখন রোহিংগাদের পরিত্যক্ত জমিতে মগেরা নিজেদের পরিচিত লোকদের নিয়ে আসছে; এসব জমির দখল চলে যাবে মগদের হাতে।
তা'হলে, বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব দেয়ার দরকার ছিলো, সরকারী খরচে রোহিংগাদের রাখাইন মগমুক্ত এলাকায় বসবাসের ব্যবস্হা করার জন্য, যেখানে রাখাইন মগেরা নেই। কোন নিরাপদ অন্চল মন্চলের কথা বললে, বার্মা সহজেই না করে দেবেই; নিরাপদ অন্চলের ডেফিনেশন অনুসারের যা বুঝায়, সেটাতে কোন জাতিই পা দিতে চাহে না।
এ সপ্তাহে, বিশ্বমত রোহিংগাদের পক্ষে গেছে, বাংলাদেশের দরকার তাদের সাথে কাজ করে বিষয়টাকে সচল রাখা; কারণ, জাতি সংঘ আরো হাজারো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে; বাংলাদেশ নিজের প্রস্তাব দিয়ে বার্মার চক্ষুশুল হবে; সব প্রস্তাবই জাতি সংঘের মধ্যস্হতায় যাওয়া উচিত। সর্বোপরি, আরসা সম্পর্কে যখন কথা উঠবে নিরপত্তা পরিষদে, বার্মা বাংলাদেশের প্রতি আংগুল দেখাবেই। বার্মাকে এই ব্যাপারে আগের থেকেই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, বাংলাদেশ কোনভাবেই এই ধরণের কোন সংস্হাকে কোনভাবেই সাপোর্ট করবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৫