আপনিও হয়তো সমর্থন করেন যে, মুসলমান ব্যতিত অন্য ধর্মের লোকজনের মক্কা নগরে বসবাস করা ঠিক নয়; এতে নগর অপবিত্র হয়ে যাবে! এই মনন ও বিশ্বাস বর্তমান বিশ্বে বিশাল অসন্তোষের কারণ হচ্ছে, মুসলমানদের পুরো ধর্মীয় সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আফগানিস্তানের বামিয়ানে, তালেবানদের হাতে বৌদ্ধের মুর্তি বিনস্ট হওয়ায়, বৌদ্ধদের উপর এর কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছে? ইরানে অন্য ধর্মের লোকেরা কোনদিন স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনি, তারা ক্রমেই চলে গেছে; নিউিয়র্ক শহরে একটা এলাকা আছে, যেখানে ইরান থেকে চলে আসা সব ইহুদী বসবাস করে। পাকিস্তান থেকে প্রথম সুযোগেই অন্য ধর্মীরা পালিয়ে গেছে; বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা কমতে কমতে শতকরা ১০জনের কাছাকাছিতে চলে এসেছে, মনে হয়।
বিশ্ব এগুলো দেখেছে? মনে হয়, সেজন্যই রোহিংগারা কোন সময়েই বিশ্বের সঠিক সহানুভুতি পায়নি; এবারের রোহিংগা হত্যায় বিশ্ব কিছুটা সহানুভুতির কথা বলছে। ইউরোপে যদি আগামী কয়েক মাসে ২/৪টা বোমা ফাটে, রোহিংগাদের প্রতি যে সহানুভুতি আজকে আছে, কালকে তা থাকবে না।
ভারতে বর্তমানে মুসলমানেরা বেশ চাপে আছে; কিন্তু তারা গণহারে দেশ ত্যাগ করছে না; যারা সুবিধা পাচ্ছে, উন্নত দেশে চলে যাচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে যাচ্ছে না। চীনেও মুসলামেরা বেশ বিপদে, তারাও মোটামুটি দেশ ত্যাগ করছে না; সেসনিয়ার কিছু মুসলমান রাশিয়ার অন্য এলাকায় চলে গেছে, কিছু গেছে তাতারিয়া ও কিছু গেছে ইউক্রেনে; কিন্তু ওরা তেমন এলাকা ছাড়েনি।
১৯৪৭ সাল ও ১৯৬৫ সালের কথা বাদ দিলেও, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনেক হিন্দুরা চলে গেছে; ইরান থেকে ইহুদী ও খ্বষ্টানরা চলে গেছে, আফগানিস্তান থেকে বৌদ্ধরা চলে গেছে; মক্কায় অন্য ধর্মের লোকদের বসবাস করতে না দেয়ার রীতি মুসলমানদের জন্য ভালো কোন খবর নয়; এগুলো সমস্যার সৃস্টি করেছে ও সামনের দিন গুলোতেও সমস্যার সৃস্টি করবে; এগুলোর সমাধান বের করার দরকার আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫