somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুলশব্দ, 'পবিত্র' যোগ করার ফলে, লাখ লাখ মানুষের রক্তে ভেসেছে শহরটি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এখনো প্রতিটি ইহুদী তাদের প্রার্থনায় দোয়া হিসেবে যোগ করে, জীবনে যেন একবার হলেও জেরুসালেম যেতে পারেন, কারণ এটি পবিত্র শহর; খৃষ্টানদের স্বপ্ন হলো একবার হলেও যীশুর মৃত্যু ও আবার জীবিত হওয়ার স্হানটিতে যেন যেতে পারেন, কারণ শহরটি পবিত্র; বাংগালী মুসলমানদের প্রতিটি লেখায় শহরটির নামের আগে 'পবিত্র' বিশেষণটি কখনো বাদ পড়ে না; এই 'পবিত্র' শব্দটি ছিল ভুল শব্দ, এই ভুল শব্দ লাখ লাখ মানুষের রক্তপাত ঘটায়েছে এই পিশাচ শহরে!

স্হান হিসেবে পবিত্র হলো, যে ঘরে আপনি জন্মেছেন, যে খোলা রাস্তায় আপনি জন্মেছেন, যেই প্রাসাদে আপনি জন্মছেন, যেই বস্তিতে আপনি জন্মেছেন, যেখানে মাতা আপনাকে পৃথিবীর মুখ দেখেয়েছেন, সেই স্হানটি মাত্র; বাকীগুলো হলো 'স্হান' মাত্র! শহর কেন পরিত্র হবে, রক্তে ভাসার জন্য?

জেরুসালেম আসলে এক অভিশপ্ত শহর, যে শহরে অকারণে লাখ লাখ মাতা তাঁদের বুকের ধনকে হারায়েছেন, যে শহরে মানুষের রক্তে ভেজা মাটিতে ঘাস জন্মেছে! রক্ত আজো ঝরছে, আরো ঝরবে!

পুরাতন সভ্যতার কেন্দ্রবিন্ধূতে, মরুভুমির মাঝখানে সবুজ এই শহরটি ছিল যুদ্ধবাজদের জন্য একটি গুরুত্বপুর্ণ ভৌগোলিক অবস্হান, যেখান থেকে সহজে দামাস্ক, আলেকসান্দ্রীয়া ও রোমে যাওয়া যায়, সামাজ্য দখল করা যায়, শাসন করা যায়। এই শহর ছিল রাজাদের জন্য স্বপ্ন, সৈন্যদের জন্য কবরস্হান!

স্হানীয়রা বতিতও, এই শহরকে দখল করতে এসেছে ইতালীর সৈন্যরা, ইংল্যান্ডের রাজা, ফরাসী রাখাল বালক, মিশরীয় সমর-নায়কেরা; ছোটখাট যুদ্ধ বাদ দিলেও, এখানে একাধারে এখানে যুদ্ধ চলেছে ২০০ বছর; ততকালীন সময়ে ২ লাখ মানুষের রক্তে ভেসেছে এই শহর! যুদ্ধ আজও থামেনি।

এই শহরে বিশ্বের সব শহরের মতো মানুষ বাস করেন, তাঁরা কাজ করেন, খাওয়া-দাওয়া করেন, মলমুত্র ত্যাগ করেন, ভালোবাসেন, জিং জিং করেন, সন্তানের জন্ম হয়, নালা নর্দমা আছে, কলেজ ইউনিভার্সিটি আছে, একটি সাধারণ শহর; বেকুবেরা এখানে এসে প্রাণ দিয়েছে, আর বলছে এটা 'পবিত্র' শহর, একে দখলে রাখতে হবে!




সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×