ইয়াবা শব্দটা শুনলে আপনার মনে কোন লোকটির চেহারা ভেসে উঠে, বা কোন নামটি আসে? যদি ১৭ কোটী মানুষের মনে একই লোকের চেহারা আসে, একই নাম আসে, তাকে ধরতে, ক্রস ফায়ারে দিতে কি বার্মা বা ভারতের সাক্ষীরও দরকার?
তাকে যদি ক্রস-ফায়ারে দিতে সরকারের অসুবিধা থাকে, সেই সরকারের ইয়াবা বন্ধের পদক্ষেপকে মানুষ কিভাবে বিশ্বাস করবে? যে কয়জন মারা গেছে, সেই ভয়ে হয়তো কিছুদিন ইয়াবা ব্যবসা কমে আসবে; কিন্তু মানুষ কি মানসিকভাবে ইয়াবা শেষ ধরে নেবে? মোটেই না, জাতির ইয়াবা সিম্বলের অবসান হতে হবে; না হয়, জাতি মানসিকভাবে ইয়াবার সমাপ্তি কল্পনা করতে পারবে না। অভিযান যখন শুরু হয়েছে, উহার সমাপ্তি হওয়া দরকার।
জাতির ইয়াবা-সিম্বল এক সময় জাতির পার্লােমন্টেও ছিল; এখনো কি পার্লামেন্ট খুঁজলে আরো ২/১ জন পাওয়া যাবে? না পাওয়া গেলে ভালো! জাতীয় পুলিশ বাহিনী, ড্রাগ কন্ট্রোল বাহিনীতে কারো নাম পাওয়া যাবে?
জাতির ইয়াবা-সিম্বলের কাছে এই দেশের সব রুই কাতলার লিষ্ট আছে, তার সব ডিলারের লিষ্ট আছে, তার কম্পিটিশনের লিষ্ট আছে। সরকার সঠিক লিষ্ট তার কাছে থাকে নেয়া উচিত হবে।
এমনিতে ক্রস ফায়ার করে, মেরে কুল পাওয়া যাবে না; তার থেকে একজনকে ক্রস ফায়ারে দিলে সারা দেশের ডিলারেরা দেশ দেড়ে পালাবে।
সরকার অন্যের দোষ কি কারণে বহন করে বেড়াচ্ছে? এই দোষ বহন করার কোন দরকার আছে? আমার মনে হয়, শেখ হাসিনা সঠিক পদক্ষেপ নেবেন; কয়েকদিনের মাঝে এই সিম্বল ধরাশায়ী হবে; শেখ হাসিনা জাতির এই ইয়াবা-সিম্বল রক্ষা করার দায়িত্ব নিশ্চয় নেবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২০