এবার কমপক্ষে কেক কাটা হয়ে উঠেনি; পত্রিকায়, কেক হাতে ড: এমাজুদ্দিন সাহেব, ড: খোন্দকার, আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, নোমান, আমীর খসরুদের চেহারা দেখতে হয়নি; জন্মদিনের কেক হাতে এসব লোকদের মানায় না; আসলে, বেগম জিয়াকেও আজকাল আর কেক হাতে মানায় না; উনি জেলে থাকাতে ভালো হলো; উনি আজীবন জেলে থাকলে এই বিশ্রী পরিস্হিতি থেকে বাঁচা যাবে।
শেখ হাসিনা দেশ চালানোতে, দেশ যে ভালো চলছে তা নয়; দেশ ভালো চললে, লাখ লাখ তরুণ বেকার থাকার কথা নয়, শাহজাহান মন্ত্রী হওয়ার কথা নয়; তবে, প্রতি শুক্রবারে মসজিদে বোমা পড়ছে না, কমপক্ষে; শিয়া ও আহমেদিয়াদের দেশ ছেড়ে পালাতে হচ্ছে না; কিছু হিন্দু এখনো আছে দেশে; ইলেকশানের প্রার্থীসহ ৫০/৬০ জন ভোটার একত্রে মরছে না। আমাদেরকে বাংগালীদের ক্যু'এর পিতা জেনারেল জিয়ার জন্মদিন পালন করতে হচ্ছে না; ফ্রিডোম পার্টির কোন অফিস নেই দেশে; কমপক্ষে ১টা পার্টি কমেছে।
শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকলে, এই আওয়ামী লীগ জীবনেও শেখ সাহেবের হত্যার বিচার চাইতো না; শেখ সাহেবের হত্যার বিচার চায়নি এই রকম ৪/৫ কোটী বিশ্রী লোকজন এখনো দেশে আছে; কিন্তু লাঠি দেখে চুপ মেরে আছে; শেখ হাসিনা না থাকলে ওরা লাঠি নিয়ে এই বিচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতো।
দেশে এখনো বিচার বলতে তেমন কিছু নেই: গরীবের মেয়ে তনু হত্যার বিচার হয়নি, সাগর-রুণির বিচার হয়নি; তবে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহের হত্যার বিচার না হলে, জাতিকে পাকীদের চেয়ে খারাপ জাতি মনে হতো।
জেনারেল জিয়া হত্যার বিচার চাহেননি বেগম জিয়া; মনে হয়, হত্যায় উনার হাত থাকতে পারে; তবে, জেনারেলের মৃত্যুতে বেগম জিয়া অশেষ খুশী হয়েছেন। জেনারেল জিয়া পাশ করায়েছিলো যে, শেখ হত্যার বিচার করা যাবেনা; শেষে, শেখেরটার বিচার ঠিকই হলো, বেচারার মৃত্যুর বিচারই হলো না।
শেখ হাসিনা না থাকলে, দেশ আল-কায়েদা ও উলফার রাজধানী হয়ে যেতো; ভারত ও বার্মা মাঝে মাঝে বাংলাদেশ আক্রমণ করতো মনে হয়। অবশ্য সেনাবাহিনী আরো অনেক বড় হতো, সীমান্তে বাড়ীগুলোতে মেসিনগান থাকতো, হয়তো।
দেশে জেনারেল জিয়ার মৃত্যুদিবস পালন করলে ভালো হতো, লোকজনের শিক্ষা হতো, মানুষ মারলে কিভাবে মরতে হয়; এতে ভিক্ষুকেরাও অবশ্য একদিন কিছুটা মাংস খাওয়ার সুযোগ পেতো। জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর দিনকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করায় অবশ্য এখন অনেকের মন খারাপ হচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২