আজকেও আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ড, উগান্ডা, নাইজেরিয়া, জিম্বাবে, নমিবিয়া, লাইবেরিয়াতে খুবই গোপনে 'বিধাতা'কে খুশী করার জন্য নরবলি দেয়া হয়; ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকায় আসার আগে তারা খোলাখুলিভাবে সব অনুষ্ঠানে নরবলি দিতো; "ইউরোপিয়ানদের অত্যাচারে আফ্রিকা মহাদেশে নরবলি দেয়ার প্রথা ক্রমেই বন্ধ হয়ে যায়"; যেসব বিধাতারা মানুষ থেকে হাজার বছর ধরে 'নরবলি' নিয়ে ছিল, তারা এখন কোথায়?
দক্ষিণ আমেরিকার এজটেক, মায়া, ইনকারা স্পেনিশদের বিজয় অবধি নিয়মিতভাবে নরবলি দিয়ে এসেছে; আসলে, নরবলি ব্যতিত ওদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতো না; ধর্মীয় অনুষ্ঠান ব্যতিতও বিধাতার কাছে বৃষ্টি চাইতে, ফসল চাইতে, ধনসম্পদ চাওয়ার আগে নরবলি দেয়া হতো; এখন সেই সব মানুষ আছে, নেই শুধু সেইসব বিধাতারা।
ভারতে 'প্রথম সন্তান মা গংগাকে' দিয়ে এসেছে কয়েক শতাব্দী; সেটারও অবসান ঘটায়েছে ইংরেজরা, সতীদাহ ইংরেজরা আসার আগের থেকেই কমে আসছিলো, উহাকে পুরোপুরি বন্ধ করেছে ইংরেজরা; পুরো ইংরেজ জাতি, স্পেনিশ জাতি বিধাতাদের অভিশাপে ছারখার হয়ে যাবে একদিন; বিধাতারা কোথায়ও যায়নি, তারা রাগান্বিত হয়ে আছে; তারা এখন মহিশ ও ছাগলের রক্তে গোশল করছে, নরবলি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঝে মাঝে ভারতে বন্যার সৃষ্টি করে, নিজ হাতে নরবলি দেয়।
বাংলায় গত ৫০০ বছর ধরে নরবলির ইতিহাস নেই; বিধাতাকে বন্চিত করা হয়েছে; বছরে ২/১ শত নরবলি দিলেও বিধাতা খুশী থাকতো, যুগে যুগে বিধাতাকে বন্ছিত করায়, একা ১৯৬৯ সালে বিধাতা লাখের বেশী মানুষকে নিয়ে যায়; বুঝা যাচ্ছে, নরবলি নেয়ার বিধাতা কোথায়ও যায়নি; আছে, চুপ করে আছে; মানুষ যদি নরবলি না দেয়, বিধাতা নিজ হাতেই কাজ সারবে!
ওয়েষ্ট ইন্ডিজের দ্বীপগুলোতে, ইংরেজরা যাবার আগে, নরবলি দেয়াই ছিল একমাত্র উপাসনা; সেখানকার বিধাতা অন্য কোন উপাসনা চাইতো না; ৬/৯ মাসে, যখনই সম্ভব হতো, ১ বার উপাসনা করলেই হতো; কিন্তু মানুষের রক্ত থাকতেই হবে; ইংরেজদের জ্বালায়, বিধাতা নিজের পাওনার ভাগ কমিয়ে দিয়েছে; এখন মুরগী দিলেই চলে; ভালো বিধাতা, বিবর্তনের সাথে তাল মিলায়ে নিয়েছে; ইংরেজদের ঠেলায়, মানুষ তো মানুষ, ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিধাতাও ভালো হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:২৯