বাংলাদেশের বেলায়, ভোটের আগে, সরকার-বিরোধীদলগুলো ঘুম থেকে জেগে উঠে, এটাই তাদের রাজনীতি; পারলে ভোটে জয়ী হয়, না হয়, আবারো ঘুম দেয় আজকাল; আগে, এক সময় বিরোধী, কিংবা বিপক্ষ পুরো ৫ বছরই এ্যাকশনে থাকতো, রেল লাইন মেল-লাইন সবই তুলে ফেলতো, ৭২ ঘন্টা অবধি হরতাল চলতো,পার্লামেন্টকে পল্টন বানাতো; ২০১৫ সাল থেকে সেই প্যাটার্ণ বন্ধ হয়েছে।
ভোট কাছেই, শেখ হাসিনা চাপে আছেন; ক্ষমতায় থাকার সময়, শেখ হাসিনা ধরাকে সরা জ্ঞান করেন; গত ভোটে তিনি চাপের মাঝে ছিলেন; এবারের ভোটে চাপ আরো বেড়েছে। চাপ বিএনপি-জামাত, ড: কামাল-ডা: বদরুদ্দোজা থাকে নয়, চাপ সাধারণ মানুষের থেকে: সাধরণ মানুষ ধরে নিয়েছে যে, তিনি জিতবেন; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সাধরণ মানুষ সন্দেহ করছেন যে, তিনি সঠিভাবে জিতবেন না, কোন কৌশল করবেন, এটাই সমস্যা; আসলে, এই ধরণের বিশ্বাস জাতির জন্য একটা ভয়ংকর সমস্যা, এবং শেখ হাসিনার জন্যও সমস্যা, মানসন্মানের বালাই নেই।
বিএনপি-জামাতের সাথে এবার যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু পুরাতন লোকজন, যারা হয়তো শেষ অবধি কিছু করতে পারবে না; কারণ, তারা শুরুতেই আন্দোলন পান্দোলনের কথা বলছে; তাদের আগের ইতিহাস আছে, তারা আন্দোলনে জয়ী হবে না; ফলে, শুরুতে নিজের দুর্বল দিক তুলে ধরে নিজেরাই শেষে হতাশ হয়ে যাবে।
কিন্তু এদের বিভিন্ন রাজনৈতিক পদক্ষেপকে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী, সেতুমন্ত্রী যেভাবে তাচ্ছিল্য ও অবহেলা করে, দায়িত্বহীন কমেন্ট করেছেন, তাতে মানুষজন বিস্মিত হচ্ছেন। রাজনীতিবিদরা মানুষের সন্মান হারায়েছেন আজকাল; এখন যদি, রাজনীতিবিদরা পরস্পরকে হেয় করার চেষ্টা করে, তারা মানুষের কাছে পুরপুরি ভিলেন হয়ে যাবেন; সাথে সাথে, ওবায়দুল কাদেরও। আওয়ামী লীগের আগের সেক্রেটারীগুলোর তুলনায়, ওবায়দুল কাদের খুবই দুর্বল সেক্রেটারী; ব্যাং হয়ে যদি যাঁড়ের মত পেট ফুলায়, সমুহ বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছে্ন যে, শেখ হাসিনার সরকার থেকে তারা আগেও তেমন কিছু পাননি, ভবিষ্যতেও পাবেন না; শেখ হাসিনার সময়ে যদি দেশে শতকরা ১৭.৪ ভাগ হারে 'সুপার ধনী' বাড়ে, সাধরণ মানুষের জন্য কিছু অবশিষ্ট থাকার কথা নয়; ঝুঁড়ি এখন তলাহীন নয়; তবে, এখন ঝুঁড়ির কাছে ঘেঁষা যাবে না। সাধারণ মানুষের একমাত্র প্রশান্তি হলো, দেশে আফগানী ও পাকিস্তানী স্টাইলের দেশ-প্রেমিকেরা ক্ষমতা দখল করতে পারবে না, শেখ হাসিনা উহা দখলে রাখবেন।
সাধারণ মানুষ হঠাৎ করে ক্ষেপে গেলে উনার টিকে থাকার সম্ভাবনা নেই; আবার, উনাকে ফেলে, উনার থেকে ভালো কাউকে আনাও সম্ভবনাও নেই এই মহুর্তে ; কারণ, ভালো কেহ সামনে নেই; জাতির জন্য সমস্যাটা এখানে।
মানুষের সহ্যসীমা অতিক্রম হওয়ার মতো অবস্হা অনেকটা বিরাজ করছে; ওবায়দুল কাদেরের মত লোকের দায়িত্বহীন কথাবার্তা হঠাৎ করে আন্দোলনের ট্রিগার টানতে পারে, যা শেখ হাসিনার জন্য ভালো হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩