যেই পথ দিয়ে এসেছিলেন জিয়ারা সেই পথ ধরে চলে গেছেন, মাঝখানে রেখে গেছেন, বাংলাদেশের স্হলে 'আধা পাকিস্তান'; ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশ চাহেনি, চেয়েছিলো 'এক পাকিস্তান', জেনারেল জিয়া তাদেরকে এক করে, একটা শক্তিশালী দল গড়ে তোলেন; দল আজও আছে; তিনি নেই, উনার ছোট ছেলে নেই, স্ত্রী জেলে, বড় ছেলের যাবজ্জীবন হয়েছে, অবশেষে উহার মৃত্যুদন্ড হবে।
শেখ সাহেবর হত্যা মিশনে অংশ গ্রহন করেছিলো বাংলাদেশ মিলিটারীর ২০/২১ জন অফিসার ও ২/৩ শত সৈনিক; এর বাহিরে, ৫ হাজার অফিসার ও ৭৫ হাজার সৈনিক এতে অংশ নেয়নি; সেনা প্রধান জেনারেল শফি উল্লার চয়েস ছিলো, ২১ জন অফিসার কর্তৃক চালানো হত্যাকান্ডের পক্ষে গিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে, এদেরকে পুরস্কৃত করা; তিনি তা করেননি, তিনি আউট।
এরপর ছিল জেনারেল জিয়ার চয়েস, জেনারেল জিয়া দেশের ক্ষমতা না চাইলে ২১ জন অফিসারের বিচার হয়ে যেতো, দেশ আবার নিজ
কক্ষে চলতে থাকতো; কিন্তু জেনারেল জিয়া হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে, নিজে ক্ষমতা দখল করে ছিলো; সেই ক্ষমতা উনার মৃত্যুর কারণ হলো; উনার ছোট ছেলে ব্যবসায়ী হলো, বড় ছেলে মাফিয়া রাজনীতিবিদ হলো, স্ত্রী বিশ্ব রেকর্ড করলেন!
১৯৭৫ সালে, শেখ হাসিনা ঢাকার বাড়ীতে না থেকে বিএনপি'র কাছে অপরাধ করেছিলো, সেদিন তাকে হত্যা করতে না পেরে বিএনপি রেগে ছিলো; তারা থেমে থাকেনি, ছেলেও বাবাকে অনুসরণ করেছে। আমার সামনে বিএনপি'র ২ জন বড় নেতা বলেছিলেন, "শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়ে সমস্যা হয়ে গেছে"।
বিএনপি বরফের মতো ছিলো ২০০৮ সাল অবধি, উহার ১১ ভাগের এক ভাগ দেখা যায়: বেগম জিয়া, তারেক, ডা: বদরুদ্দোজা, কর্ণেল ওলি, ড: খোন্দকার মোশারফ, আমান উল্লাহ আমান, ফালু, লালুরা হলো ১১ ভাগের ১ ভাগ, বাকীরা ছিলো বাংলাদেশের কেনটনমেন্টগুলোতে, আজও আছে, সময় মতো বেরিয়ে আসতে পারে।
ব্লগারেরা লিখেন, আমাদের মালয়েশিয়ার মতো হওয়ার দরকার, জাপানের মতো হওয়ার দরকার, থাইল্যান্ডের মত হওয়ার দরকার; আসলে, জিয়া পরিবার যদি হত্যার পক্ষে না যেতো, আমরা জাপান, সিংগাপুরের মতো, বা তাদের থেকে ভালো হতে পারতাম; সেটা ঘটেনি; কমপক্ষে, জিয়া পরিবার তাদের গন্তব্যে পৌঁচেছেন অবশেষে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭