somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শয়তানি আনন্দ

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইদানিং বেশীর ভাগ সময় যে কোন কিছু নিয়ে নিরুত্তাপ থাকার চেষ্টা করি, তবে সেটা বেশীর ভাগ সময়ই খুবই বিরক্তিকর হয় অন্য কিছু মানুষের জন্য। সম্ভবত যেই আমার সাথে কিছুক্ষন কথা বলবে আমি তার মেজাজটা খুবরকম খারাপ করে দিতে পারব। বেশী হলে ৫-১০ মিনিট। আমি সেই মেজাজ খারাপটা দেখে একটা আনন্দ পাওয়া শুরু করেছি। এইটা শয়তানি আনন্দ ভেবে আর ভালো লাগছে। জিনিসটা যদিও খারাপ, তারপরেও আমি শয়তানি আনন্দটা খুব উপভোগ করি। আমার এখন আর কাউকে শান্তিতে দেখতে ইচ্ছে করে না।

নিজের মাঝে আমি অনেক পরিবর্তন টের পাচ্ছি। অনেক কিছু নতুন লাগছে, কিন্তু ব্যাপারগুলো খুব পুরোনো। নতুন লাগছে শুধু ধারনা বদলানোর কারনে। এই জিনিসটা খুব ভাল একটা জিনিস আমাকে দিয়েছে। আমি এখন খুব সহজে ঠান্ডা মাথায় খুব কঠিন কথা বলে ফেলতে পারি, আগে কন্ঠনালীর কাছে এসে কথাগুলো হজম হয়ে যেত, এখন খুব সহজে মুখ থেকে বেরিয়ে যায়।

গতকালকে আমি খুব মজার একটা কাজ করেছি। বাবার হসপিটাল থেকে বের হয়ে মোবাইল বন্ধ করে নিজের গাড়িতে করে ঘুরেছি। পাশেই বাবা ও তাঁর এক বন্ধু। অনেক চিন্তার মাঝে তারা, আর আমি বসে বসে আনন্দ ভোগ করেছি। যেখানে আমি কখনও একা যাওয়ার চিন্তাও করি নি, এমনকি কখনও যাই নি সেই রাস্তায় একা একা হেঁটেছি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় চেনা যায়গা উংঝুতে আসতে পেরেছিলাম। ইচ্ছা ছিল জীবনে আর কোনদিন বাসায় যাব না, কিন্তু আবার ফিরে আসলাম। বাসায় আসার পর আমার প্রচুর বকা শোনা উচিত ছিল, কেন যেন কেউ কিছু বলে নি। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত একটা মেয়ে, যে কিনা কারো মেয়ে, কারো বোন, তার উধাও হয়ে যাওয়া সম্ভবত একটা ইলেকট্রক শক দিয়েছিল। হা..হা.. হা.... (শয়তানি আনন্দের হাসি)

খুব কাছের কয়েকজন আছেন যাদের সাথে আমি তর্ক করতে খুব পছন্দ করি। খুব বাজে একটা অভ্যাস, তবুও আমি তর্ক করতে অনেক পছন্দ করি। তবে ইদানিং ঐসব মানুষের সাথে তর্ক করা বন্ধ করে দিয়েছি। তর্ক করি নিজের সাথে, নিজের সাথে তর্ক করার মজাটা অন্যরকম। ব্যাপারটা আগে জানলে সম্ভবত অনেক আগেই মানুষের সাথে তর্ক করা বন্ধ করে দিতাম।

আমি ছিলাম এক ছিঁচ কাঁদুনে মেয়ে। কিছু হলেই ফ্যাচ ফ্যাচ করে কেঁদে নাকের জল চোখের জল এক করার ন্যাকামি খুব বেশী ছিল। বড়দের বিপদে ফেলতে জুড়ি মেলা ভার আমার জন্য।

কাঁদা জিনিসটা কি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে ভুলে গেছি অথবা এমনিতেই ভুলে গেছি। এখন কাঁদতে ইচ্ছা করে কিন্তু কীভাবে কাঁদে অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারি না, শুধু মনে পড়ে কাঁদলে চোখ থেকে পানি পড়ে। পুরো প্রক্রিয়াটা মনে পড়ে না। খুব হাসির কথা তাই না? আমার লিখতে গিয়েই অনেক হাসি পাচ্ছে। হা.. হা.. হা....

আমার শয়তানি আনন্দ নিয়ে আমি অনেক সুখে আছি। একা একা। অনেক সুখে, অনেক অনেক সুখে


কৃতজ্ঞতাঃ ভুত.
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
১৫টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×