গুচ্ছ কবিতা-১০
সবর্নাশ
সর্বনাশের মাপকাঠি কিসে?
না কি ধ্বংসের চিহ্ন দেখে বুঝা যায়?
চোখে পরা সর্বনাশ
আর চোখের আঁড়ালে ঘটে যাওয়া সর্বনাশ
তার যে কোন চিহ্ন থাকে না;
তয় থাকে ক্ষত! ঝরে রক্ত বার মাস
প্রেম
আঁড়ালে ঢেকে থাকে বলে
জানতে পারে না কেউ, সে তো গোপনে
করেছে লুট; সিঁদ কেটে চোরের চুরি করার মতো
জেগে উঠলেই, হয়েছে সর্বনাশ, চোখ যেন কোপালে
এমনি স্বপ্ন ঘেটে স্বপ্ন রোসে মোজে
প্রেমাঅনলে যে পুড়েছে সেই জানে শুধু
উঠানে লবঙ্গ গন্ধ
সময় কাল দিয়েছে ঠেলে, যা সরে যা। ক্ষত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরে নিঃশেষ হউক যত রক্ত। কবিতার জীব বুনে। শুষ্ক হৃদ জমিনে। সভ্যতার প্রাচীরে শুধু পাল্টেছে প্রেম। কিন্তু সর্বনাশ স্থিতু হয়নি কখনও। ও আগের মতোই নিরবে সর্বনাশের পথে চলে। মৃত্যুর কফিন। উঠানে লবঙ্গ গন্ধ। বেলা শেষ। আঁধার নামবে, কুয়াশা ঢেকে।
আর কত কত সর্বনাশে
আর কত কত সর্বনাশে
শুদ্ধ জীবন পায়, বাজবে শানাই চুরুইভাতির
সোনা রৌদ্র পরেব গায়।
বৃষ্টি মুখো দিগন্ত ঐ
পাখির পথ আঁকে, সর্বনাশি মেঘবালিকা
পালায় পৌষ শীতে।
১৪২২/২৮,পৌষ/শীতকাল।