৩ পর্বের পর......................

আরব বসন্তের জের ধরে বাহরাইনের একনায়ক ও স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সে দেশের মানুষ যখন বিপ্লবে ফেটে পড়েছিলো, তখন সউদী আরব সেনাবাহিনী পাঠিয়ে তা দমন করেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনে। আরব বসন্তের জোয়ারে মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও তিউনিশিয়ার স্বৈরশাসকরা পদচ্যুত হয়েছিলো বিপ্লবের ধাক্কায়। এখন মোটামুটি পরিষ্কার যে, আরব বসন্তের জোয়ারের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র, সউদী আরব ও তাদের মিত্ররা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পন্থা হিসেবে সিরিয়ায় আসাদ বিরোধীদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তখন রাস্তায় নামিয়ে দেয়।

এখন দেখা যাক ২১ আগস্ট, আসাদ বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এই অভিযোগ কতটুকু যৌক্তিক। রাসায়নিক অস্ত্র হলো এক ধরনের গ্যাস, যা কোনো বড় কামানের শেলের মাধ্যমে বহন করে নির্দিষ্ট টার্গেট এলাকায় ফাটিয়ে গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং যার আওতার মধ্যে পড়লে মানুষসহ সকল প্রাণী মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। প্রেসিডেন্ট আসাদ ভালো করেই জানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান অবধারিত। কারণ এর আগে ওবামা ঘোষণা দিয়েছিলো, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার অর্থ হচ্ছে রেডলাইন অতিক্রম করা। অথচ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের খবর প্রথম প্রকাশ করেছে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা এবং তা প্রকাশিত হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, যুদ্ধ শুরু করার কৌশল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল বিভিন্ন ঘটনার সূত্রপাত করে থাকে। আগামী কিস্তিতে ইনশাআল্লাহ আলোচনা করবো এখন কেন সিরিয়ায় আঘাত হানার অজুহাত সৃষ্টি করা হচ্ছে?



প্রথম পর্ব।

২য় পর্ব।

৩য় পর্ব।