somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম করলেই কি বিয়ে করতে হবে?????? কি বলেন????

০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রেম করে বিয়ে না করায় প্রেমিকার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসেন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক শামীম হোসেনের বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায়। আর ওই মেয়েটির বাড়ি একই জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায়। মেয়েটি পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক প্রায় ছয় বছর ধরে। ২০১০ সালের শেষের দিকে শামীম হোসেন প্রভাষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। গত ১৩ মে ওই মেয়েকে না জানিয়ে শামীম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষকের মেয়েকে বিয়ে করেন।
এ ঘটনা জানার পর ওই মেয়েটি শামীম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মেয়েটি আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। মোবাইল ফোনে শামীম হোসেনকে ডেকে নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনি তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
প্রধান ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ ও প্রহরীরা শামীম হোসেন ও ওই মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে যান।
শামীম হোসেনের দাবি, এক বন্ধুর মাধ্যমে ওই মেয়েটির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। মাঝেমধ্যে মেয়েটির সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোনে কথা হতো। এ ছাড়া মেয়েটির সঙ্গে তাঁর অন্য কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি দাবি করেন।
তবে মেয়েটির ভাষ্য, বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছয় বছর ধরে শামীম হোসেন তাঁর সঙ্গে প্রেম করে আসছিলেন। কিন্তু ১৩ মে শামীম অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে.........।








আমি হয়ত বোঝাতে ভুল করেছি। আবার বলছি, আপনার এই পোষ্ট দেয়ার কারন কিন্তু শুধুমাত্র আপনি কোন রাস্তায় কী দেখেছেন তার জন্যে দুশ্চিন্তায় পড়েই তাই না? মানে আপনি নরনারীর অবৈধ(!?) দৈহিক সম্পর্ককে সমাজের অবক্ষয়ের মাপকাঠি হিসেবে ধরছেন। এখন কী আমি বোঝাতে পারছি?


প্রশ্ন ১. আমরা কী দেখলে মনে করব একটা কাজ খারাপ? মানে কোন কাজের কী ফলাফল থাকলে আমরা তাকে খারাপ বলব বা বলি সাধারনত?

আপনাদের উত্তরঃ
উত্তর : আমরা সমাজের মানুষ , আমাদেকে আমাদের সমাজে এবং পরিবারে বসবাস করতে হয় আর যেসব কাজে আমাদের সমাজ , পরিবার এবং নৈতিক চরিত্রের আবক্ষয় ঘটে , আমাদের জীবনে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষ ভাবে নেমে আসে অ-শান্তি , সেসব কাজকেই বলা হয় খারাপ কাজ ।

আর আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তাদের কাছে খারাপ কাজ হল ঐ কাজ গুলো, যেগুলো করতে আল্লাহ আমাদের নিষেধ করেছেন ।

আপনার সংজ্ঞা আমার কাছে কোথায় ভুল মনে হয়েছে আমি বলছি।
আপনার কাছে খারাপ জিনিসের সংজ্ঞা হল যে জিনিস নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটায়। এখানে কিন্তু একটা ঝামেলা আছে আমি যে জন্য বলেছিলাম ধর্মগ্রন্থের আলোচনা আনতে। ধরেন মুসলমানদের কাছে কোরবানীর সময় গরু জবাই করা খুবই স্বাভাবিক। যেটা হিন্দুদের কাছে নৈতিকতার চরম অবক্ষয়,কারন তাদের ধর্মগ্রন্থে আছে গরু হল মা, আর মাকে হত্যা করা নৈতিকতা বিরোধী বলেই তারা মনে করে। বৌদ্ধ ধর্মে জীব হত্যাই মহা পাপ। কারন তাদের কাছে সেটা নৈতিকতা বিরোধী বলেই গৌতম বুদ্ধ সেটা নিষেধ করে গেছেন
ক্রিশ্চিয়ানদের কাছে শুকর খাওয়া আলু খাওয়ার মত। কিন্তু মুসলমানদের কাছে শুকর অপবিত্র, এটা খাওয়া অনৈসলামিক।

এখন আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই কোন ধর্মের না হই তাহলে আমার নৈতিকতা মাপার মাপকাঠি কী হবে? যেহেতু আমি এই ধর্মগ্রন্থের ঈশ্বরকে মানব না।

আমি আমার কাছে খারাপ কী সেটার সংজ্ঞা দেই দেখেন আপনার মনমত হয় কী না। খারাপ হল তাই যা মানুষের ক্ষতি করে। ধর্ম,বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে। যেমন ধরেন চুরি। আমি যদি মুসলমানের ঘরে চুরি করি এইটা হিন্দুর কাছে নৈতিক মনে হবে না, আবার হিন্দুর ঘরে চুরি করলে মুসলমানের কাছে নৈতিক মনে হবে না। যেসমস্ত ব্যাপার মানুষের ধর্ম বর্ণ গোত্র ভেদে আলাদা হয় সেগুলোকে খারাপ ভালো এমন কোন সহজ সরল সংজ্ঞায় ফেলা সম্ভব নয়। কারন সেটা আপনার কাছে যা হবে আমার কাছে তা হবে না। আমি কি বোঝাতে পারলাম?

এখন আসি নরনারী দৈহক মিলনের ব্যাপারে। আমার কাছে যদি গলাপ ফুল পছন্দ হয় আমি নিশ্চই সেটা কেনার জন্য বা পছন্দ করার আগে আপনার কাছে অনুমুতি নেব না? আপনার কোন পছন্দের কাজ যদি আরেকজনের মর্জি অনুযায়ী করতে হয় তাহলে সেটার চেয়ে দুঃজনক আর কী হতে পারে বলেন? এটা অনেকটা সামরিক শাসনের মত হয়ে গেল। আমি কী করব না করব সেটা জেনারেলকে বলে করতে হবে। যেটা পরিষ্কারভাবেই মানবতাবিরোধী, মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতার উপরে হস্তক্ষেপ। আমি যতক্ষন না আপনার কোন ক্ষতি না করছি ততক্ষন পর্যন্ত আপনার বা অন্য কারো অধিকার নেই আমার কাজে বাধা দেয়ার।

এখন প্রশ্ন হল নরনারীর দৈহিক সম্পর্ক আপনার কোনো ক্ষতি করেছে কী না। আমার চোখে পরে না দুজন মানুষের এই চমৎকার আনন্দ অন্য মানুষের কী ক্ষতি করতে পারে।
আমার তো খারাপ লাগে ভাবতে যে দুজন নির্দোষ প্রেমিক প্রেমিকাকে কাছাকাছি আসার জন্য রাস্তার ধারে বসতে হয়। তাদের টাকা খরচ করে হোটেলে যেতে হয়। আশুলিয়াতে ৫০০, ১০০০ টাকা খরচ করে নৌকা ভারা নিতে হয়। কেন ভাই, তারা আমাদের কোন বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে? তাদের ঐ নির্দোষ কাজ দেখে আপনার আমার কেন গাত্রদাহ হচ্ছে?

এখন দেখা যাক এই কাজকে অবৈধ বলার যৌক্তিকতা কতটুকু।
দুজন নরনারীর দৈহিক সম্পর্কের ব্যাপারটা সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত এটা তো মানছেন? আপনার কোন ব্যক্তিগত কাজ আপনি কিভাবে করবেন, কার সাথে করবেন, কেন করবেন সেটা যদি আমি জিজ্ঞেস করতে যাই তাহলে কেমন হয়? আপনি কি প্রেম করবেন না করবেন না, করলে কেন করবেন, না করলে কেন করবেন না এগুলো কই আমি কিজ্ঞেস করার অধিকার রাখি? নাকি অন্য কেউ রাখে? কেউ না। যার যার ব্যক্তিগত কাজের ব্যাপারে তাকেই বুঝতে দেয়া উচিত, যতক্ষন না আপনার সেই কাজ কাউকে সরাসরি ক্ষতি করছে।

দুজন নরনারী সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় কী করবে সেটা সম্পূর্ণই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিয়ের পরে তারা কী করে সেটা কি আপনি আমি জিজ্ঞেস করতে যাবো? কেন যাব না?কারন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর বিয়ের আগে কেন করব তাহলে? তখন কী ঐ দুজন আপনার আমার বাপ দাদার সম্পত্তি থাকে? তাহলে কেন আমরা অন্যের ব্যাপারে নাক গলাবো??

আপনাদের সাথে আলোচনা করে ভালো লাগল।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
৫৫টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×