## জাতি হিসেবে বাঙালি বাচাল ও বাকসর্বস্ব; অপ্রয়োজনেও প্রচুর কথা বলে।
ক## বাঙালিরা প্রচুর মিথ্যা কথা বলে থাকে। অনেকে মিথ্যা বলাকে মনে করে চাতুর্য ও এক ধরণের উৎকর্ষতা।
## বাঙালি নতুনত্ব চায় না, বিশ্বাস করে পুনরাবৃত্তিতে।
## বাঙালির স্বভাবে রয়েছে অতিশয়োক্তি, সে কোন আবেগ ও সত্য প্রকাশ করতে পারে না অতিশয়োক্তি ছাড়া।
## সুবিধা আদায়ের সময় বাঙালি অনুনয়-বিনয়ের শেষ সীমায় যেতে পারে, কিন্তু সাধারনত অন্যদের সাথে ভদ্র আচরণ করে না।
## বাঙালি অন্যকে অপমান করে নিজেকে সম্মানিত করে।
## বাঙালি দাম্ভিক বা স্তাবক, ভদ্র নয়।
## বাইরে বাঙালি সব আদর্শের সমষ্টি, ভেতরে আদর্শহীন। বাঙালি সততার কথা নিরন্তর বলে কিন্তু জীবনযাপন করে অসততায়।
## বাঙালি শক্তিমানের কোন ক্রুটি দেখে না। শক্তিমানের সমস্ত অন্যায়কে মেনে নেয়। বাঙালির চোখে শক্তিমান কখনো চরিত্রহীন নয়। শক্তিমানের চরিত্র থাকার কোন দরকার আছে বলেও মনে করে না বাঙালি; কিন্তু চরিত্রবান হওয়া দুর্বলের জন্য বিধিবদ্ধ।
## বাঙালি অশেষ ভন্ডামির সমষ্টি, শক্তিকেই মনে করে বিধাতা।
## রাষ্টীয়ভাবে বাঙালির অপচয়ের কোন শেষ নেই, এটা ব্যক্তির অপচয়েরই রাষ্ট্রীয় পরিণতি।
## বাঙালি মনে করে সময়বোধহীন বিলম্বীরাই মূল্যবান। যে ঠিক সময়ে এসেছে বাঙালি তাকে খেয়াল করে না; কিন্তু যে আসেনি, আসবে কিনা সন্দেহ, বাঙালি তার কথা বারাবার বলে থাকে। তার জন্য বড় আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে।
## ঋণশোধ না করা বাঙালির স্বভাব।
## বাঙালি একনায়কত্বকে পছন্দ করে ও ওপরের একনায়কের বশ্যতা মেনে নেয়। নিচের সবাই তাদের কাছে ‘ভৃত্য’, ওপরের সবাই ‘প্রভু’। একনায়কত্ব বাঙালি সমাজে বিকাশ ঘটিয়েছে স্তাবকতার, স্তাবকতায় বাঙালি যেন অদ্বিতীয়?
## বাঙালি কখনো প্রভুভক্ত নয়। এক প্রভু নিঃশেষ হয়ে গেলে বাঙালি আরেক প্রভু ধরে। আগের প্রভুর নিন্দায় ও নতুন প্রভুর জয়গানে মুখর হয়।
## যার প্রশংসা প্রাপ্য, তার প্রশংসা করাকে বাঙালি গণ্য করে নিজের অপূরনীয় ক্ষতি বলে।
## কোন কাজের সাথে যদি নিজের স্বার্থ জড়িত না থাকে, তাহলে বাঙালি সেটি দিনের পর দিন ফেলে রাখে এবং চাপ ছাড়া কোন কাজ করে না।
## বাঙালি সবসময়েই সুযোগে থাকে কিভাবে অন্যকে ফেলা যাবে অসুবিধায় এবং ঘুষ খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। বাঙালির রাষ্ট্রব্যবস্থাই যেন ঘুষ খাওয়ার যন্ত্র।