somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলুন যাই চট্টগ্রামে - ২

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খাওয়া দাওয়া তো অনেক হল, এইবার একটু ঘোরাঘুরি হয়ে যাক। চট্টগ্রামে আসলেন সাগর দেখবেন না তা কি করে হবে? শহর থেকে দূরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে চলে যেতে পারেন আপনি। সময় লাগবে বড়জোর ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা। জোয়ার না থাকলে বালুর চড়ে হাটাহাটি করতে করতে সাগরের জলে পা ভিজিয়ে ভুলে যেতে পারবেন সব শহুরে জঞ্জাল। এখানে আপনি সাগরের পাড়ে বসে খেয়ে নিতে পারেন চটপটি, বাদাম বা ছোট ছোট পিয়াজু। আশা করি খারাপ লাগবে না।



আপনি চাইলে চড়তে পারেন ঘোড়ার পিঠে অথবা স্পিডবোটে করে সাগরের বুকে। সমুদ্র দেখা শেষ হলে বিকেলের দিকে করে চলে যান নেভাল এর দিকে (এয়ারপোর্ট এর পাশে)। এখানে রাস্তার পাশে বাধের উপর পা মেলে বসে দেখতে পারবেন নদীর মোহনাতে ভাসমান দেশী বিদেশি জাহাজ, অপর তীরের ফ্যাক্টরিগুলো। সন্ধ্যার দিকে যখন ফ্যাক্টরিগুলোতে আলো জ্বলে ওঠে তখন এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের মাঝে নিজেকে খুঁজে পাবেন। এখানে একটি প্রজাপতি পার্ক আছে, দিনের আলো থাকতে থাকতে ঘুরে নিতে পারেন এর ভিতরটাও। নেভালে রাস্তার পাশে ছোট ছোট বেশ কিছু খাবার দোকান আছে। আপনি এখানে পেয়ে যাবেন কাঁকড়া ভাজা। চেখে দেখতে পারেন যদি ইচ্ছা হয়।


সাগর তো দেখলেন, পাহাড় দেখবেন? তাহলে আপনাকে যেতে হবে ফয়েজ লেক কিংবা বাটালী হিলে। ফয়েজ লেক-এ পাবেন অ্যামিউজমেন্ট পার্ক সহ একটি বিশাল লেক, যেখানে আপনি নৌকা নিয়ে ঘুরতে পারবেন। আর পাবেন পাহাড়ের গা ঘেষে করা আঁকাবাঁকা রাস্তায় পাহাড়ের উপর থেকে শহর দেখার আনন্দ। পাহাড় আর লেক দেখার আনন্দ আপনি আরো পেতে পারেন শহর থেকে ঘন্টা খানেক দূরে ভাটিয়ারি গলফ ক্লাবের আশে পাশে। যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি জোগাড় করতে পারেন তাহলে দেখে আসতে পারেন গলফ ক্লাবের ভিতরটাও।

শহরে আরো বেশ কিছু শিশু পার্ক আছে যেগুলোতে আপনি আপনার বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন। কর্ণফুলী শিশু পার্ক (আগ্রাবাদ সংলগ্ন), জিয়া শিশু পার্ক (কাজির দেউরি) অথবা স্বাধীনতা পার্ক (বহদ্দারহাট টার্মিনালের অপর পাশে)। দিনের বেলায় ঘুরে দেখতে পারেন সার্কটি হাউস (কাজির দেউরি) অথবা আগ্রাবাদ হোটেলের কাছে নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর।
চট্টগ্রামের আরেক নাম বার আউলিয়ার শহর। যারা এই শহরে এসে বিভিন্ন অলি আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে যেতে চান তারা যেতে পারেন আমানত শাহ এর মাজার (জেল রোড, লাল দিঘির পাড়), গরম বিবির মাজার (দামপাড়া পুলিশ লাইন এর পাশে), গরীবউল্লাহ শাহ এর মাজার (দামপাড়া থেকে জিইসি যাবার পথে পশ্চিম দিকে), মিসকিন শাহ এর মাজার (কলেজ রোড, মহসিন কলেজ এর পাশে), বায়জিদ বোস্তামির মাজার (বায়েজিদ ক্যান্টনমেন্ট এর পাশে), বদনা শাহের মাজারে (প্রবর্তক মোড়)।

সনাতন ধর্মের যারা আছেন তারা যেতে পারেন বিভিন্ন আশ্রম কিংবা মন্দিরে যেমন- তুলসী ধাম (নন্দনকানন), কৈবল্যধাম (মনছুরাবাদ, এ কে খান), পঞ্চানন ধাম (আন্দরকিল্লা), গোলপাহাড় কালী বাড়ি, চট্টেশ্বরী মন্দির সহ শহরে বিদ্যমান অন্যান্য মন্দিরে।
শহরে এসে কেউ যদি কেনাকাটা করতে চান তাহলে যেতে পারেন নিউমার্কেট, সানমার ওশান সিটি (জিইসি), মিমি সুপার মার্কেট (প্রবর্তক মোড়), আফমি প্লাজা (প্রবর্তক মোড়), শপিং কমপ্লেক্স (২ নং গেইট), আমিন সেন্টার (লালখান বাজার), রেয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমুন্ডী লেইন কিংবা জহুর মার্কেট।
অনেকে চট্টগ্রাম এসে শুটকী কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। আপনি ভালো শুটকী পাবেন কাজীর দেউরী বাজার, রেয়াজ উদ্দিন বাজার এর ভিতর অথবা চাক্তাই ব্রিজের ওখানে।

চট্টগ্রাম নিয়ে প্রথম লেখা (হোটেল রেস্টুরেন্টের কথা)পাবেন এখানে
আমাদের ব্লগ - জলেডাঙ্গা'র লিঙ্ক এখানে
চট্টগ্রামের যে এরিয়েল ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা নিয়েছি, এখান থেকে।
পতেঙ্গা সৈকতে সূর্যাস্তের ছবি তুলেছেন রাসেল জন
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×