somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নষ্ট দর্শন (৪খন্ড একত্রে)

০৭ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
হিন্দুশাস্ত্রে নারীর অবস্থান।

হিন্দু শাস্ত্রমতে স্ত্রীলোক অত্যান্ত ঘৃন্য জীব। মনু সংহিতার ৯ম অধ্যায় ১৪নং শ্লোকে বলা হয়েছে "স্ত্রীরা পুরুষের সৌন্দর্য বিচার করে না, যুবা কি বৃদ্ধ তাও দেখে না । সুরুপ হোক বা কুরুপ হোক পুরুষ পেলই তার সাখে সম্ভোগের জন্য লালায়িত হয়।"

আবার স্কন্ধ পুরানের নাগর খন্ডে ৬০ নং শ্লোকে বলা হয়েছে " নারী জাতির অধরে পিযুষ এবং হৃদয়ে হলাহল পুর্ণ। সুতরাং তাদের অধর আস্বাদন করা এবং হৃদয় পীড়ন করা কর্তব্য।"

উক্ত ধর্মীয় কিধানের কারনেই কুমারী হিন্দু মেয়েদের মন্দিরে সেবাদাসী বা দেবদাসী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়ে থাকে এবং তারা শেষ পযর্ন্ত সেবায়েত, মোহন্ত , পুরোহিতদের লালসার বস্তুতে পরিনত হয়। সতীদাহ প্রথা অনুযায়ী বিধবা স্ত্রীকে স্বামীর চিতায় তোলা হয়, তখন তার মর্মন্তুদ আর্তচিৎকার যাতে বাইরে শোনা না যায়, তজ্জন্য জোরে জোরে বাদ্য বাজানো হতো। ঠিক তেমনি মন্দিরে কুমারী সেবাদাসীদের উপর সেবায়েৎরা বলৎকার করার সময় মেয়েটির আর্তনাদ বাইরে শোনা না যায় তার জন্য মন্দিরে জোরে জোরে কাসর ঘন্টা বাজানো হতো। এখনও ভারতের কোন কোন অঞ্চলে এ সেবাদাসী বা দেবদাসী প্রথা প্রচলিত আছে এবং মন্দিরে কাসর ঘন্টা বাজানো পুজার অপরিহায্য অঙ্গ।

বৈদিক সংস্কৃতিতে ঐ ধরনের যৌন নিষ্টুরতার এবং অশ্লীলতার বহু ইতিহাস রয়েছে। পাঠক চাইলে সবগুলো পোস্ট করা হবে

শিবপুজা


শিব পুরাণ, মার্কন্ডেয় পুরাণ ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, একদা দূর্গার সাথে সঙ্গমকালে শিব এত বেশী উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন যে, তাতে দুর্গার প্রাননাশের উপক্রম হয়। দুর্গা মনে মনে শ্রীকৃষ্ণকে স্বরন করতে থাকেন, এমন সময় শ্রীকৃষ্ণ আর্ভিভূত হয়ে নিজ হস্তস্থিত সুদর্শন চক্রধারা আঘাত করল উভয়ের সংযুক্ত যৌনাংঙ্গ কেটে আসে। ঐ সংযুক্ত যৌনাঙ্গের মিলিত সংস্করনের নাম বানলিঙ্গ বা শিবলিঙ্গ যা হিন্দু সমাজের একটি প্রধান পূজ্য বস্তু এবং ঐ শিবলিঙ্গের পুজার জন্য বহু বড় বড় শিব মন্দির গড়ে উঠেছে।
মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে কাসর ঘন্টা বাজিয়ে হিন্দু সমাজ মহাসমারোহে ঐ শিবলিঙ্গ পুজা করে থাকে।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণশ্বরে শিবের সঙ্গমের অবস্থান প্রদর্শনের জন্য পর পর বারটি মন্দির রয়েছে। ঐ মন্দিরগুলিতে সঙ্গমকালীন সময়ের বাররকমের প্রমত্তাবস্থা প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার মহিলা দর্শনার্থীর সমাগম হয়। সেখানে পুরুষ খুবই কম যেতে দেখেছি।

বালখিল্য মুনি


প্রজাপতি দক্ষের একশত পাঁচটি কন্যার মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠা সতীর বিয়ে হয়েছিল মহাদেবের সাথে। ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণু সহ সকল দেবতাই এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলে। দক্ষের অনুরোধে ব্রক্ষ্মাকে এই বিয়েতে পৌরহিত্যের ভার নিতে হয়।

বিবাহ অনুষ্ঠানকালে বেদীতে উপবিষ্টা ঘোমটায় ঢাকা সতীর প্রতি দৃষ্টি পড়তেই চতুরানন অর্থাৎ, চার মুখবিশিষ্ট ব্রক্ষ্মা উপস্থিত সকলের অজান্তে সতীর সর্বশরীর দর্শন করে কামতাড়িত হয়ে পড়েন। কিন্তু ঘোমটার কারনে সতীর মুখ দেখা যাচ্ছিল না । কৌশলে সতীর মুখ দেখার জন্য ব্রক্ষ্মা তখন যজ্ঞকুন্ডে কাঁচা কাঠ নিক্ষেপ করেন। ফলে প্রচন্ড ধোঁয়া চারিদিকে ছেয়ে যায় এবং বেদীতে উপবিষ্ট সকলের চোখ বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগে ব্রক্ষ্মা ঘোমটা সরিয়ে সতীর মুখ দর্শন করেন।

এমনিতেই সতীর সর্বাঙ্গ দর্শন করে ব্রক্ষ্মা কামাতুর হয়ে পড়েছিলেন এখন মুখ দর্শন করে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না, ঐ বেদীর উপরই ব্রক্ষ্মার বীর্য স্খলিত হয়ে পড়ে। কেউ দেখে ফেলবে ভয়ে ব্রক্ষ্মা সেই বীর্যকে বালি চাপা দিয়ে ফেলেন। পরে ঐ বীর্য হতে ৮৮ হাজার মুনির জন্ম হয়, যাদের বলা হয় বালখিল্য মুন।
সুত্র : স্কন্ধ পুরানর, নাগর খন্ড, ৭৭ অধ্যায়

রাধা কৃষ্ণ, দোল পুজা এবং হোলি খেলা।


রাধা কৃষ্ণ লীলা সম্পর্কে ব্রক্ষ্ম বৈবর্ত পুরানে বর্নিত আছে ব্রক্ষ্মা বলছেন " হে বৎস! আমার আজ্ঞানুসারে আমার নিয়োজিত কার্য করিতে উদযুক্ত হও।" জগদ্বিধাতা ঈশ্বরের বাক্য শ্রবন করিয়া রাধা কৃষ্ণকে প্রণাম করত: নিজ মন্দিরে গমন করিলেন। ব্রক্ষ্মা প্রস্থান করিলে দেবী রাধিকা সহাস্যবদনে সকটাক্ষ নেত্রে কৃষ্ণের রদনমন্ডল বারংবার দর্শন করত: লজ্জায় মুখ আচ্ছাদন করিলেন। অত্যান্ত কামবানে পীড়িত হওয়াতে রাধিকার সর্বাঙ্গ পুলকিত হইল। তখন তিনি ভক্তিপূর্বক কৃষ্ণকে প্রণাম করত: তাহার শয়নাগারে গমন করিয়া কস্তুরী কুম্কুম মিশ্রিত চন্দন ও অগুরুর পন্ক কৃষ্ণের বক্ষে বিলেপন করিলেন এবং স্বয়ং কপালে তিলক ধারন করিলেন।

তৎপর কৃষ্ণ রাধিকার কর ধারন করিয়া স্বীয় বক্ষে স্থাপন করত: চতুর্বিধ চুম্বনপূর্বক তাহার বস্ত্র শিথিল করিলেন। হে সুমে । রতি যুদ্ধে ক্ষুদ্র ঘন্টিকা সমস্ত বিচ্ছিন্ন হইল, চুম্বনে ওষ্ঠরাগ, আলিঙ্গনে চিত্রিত পত্রাবলী, শৃঙ্গারে করবী ও সিন্দুর তিলক এবং বিপরীত বিহারে অলন্কাঙ্গুর প্রভৃতি দূরীভুত হইল। রাধিকার সরসঙ্গম বশে পুলকিত হইল। তিনি মুর্ছিতা প্রায় হইলেন। তার দিবা-রাত্রি জ্ঞান থাকিল না। কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা রাধিকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ আলিঙ্গন করত: অষ্টবিধ শৃঙ্গার করিলেন, পুর্নবার সেই বক্রলোচনা রাধিকাকে করিয়া হস্ত ও নখ দ্বারা সর্বাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করিলেন।

শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নিষ্টুরভাবে শরীর ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় এবং সারা রাতভর যৌন নিপীড়নের কারণে প্রভাতকালে দেখা গেল রাধিকার পরিহিত বস্ত্র এত বেশী রক্ত রঞ্জিত হয়ে পড়েছে যে, লোক লজ্জায় রাধিকা ঘরের বাইরে আসতে পারছেন না। তখন শ্রীকৃষ্ণ দোল পুজার ঘোষনা দিয়ে হোলি খেলার আদেশ দেন। সবাই সবাইকে রঙ দ্বারা রঞ্জিত করতে শুরু করে। তাতে রাধিকার বস্ত্রে রক্তের দাগ রঙের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সেই থেকে হোলি খেলার প্রচলন শুরু হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:০৩
২০টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×