somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার যত বিড়ম্বনা -১

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের অফিসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে সিকিউরিটি গার্ড। প্রত্যেকদিন অফিসে ঢোকার সময় নতুন একজনের মুখ দেখতে হয়। অনেক চেষ্টা করেও g4s ধরনের কোন কম্পানির সিডিউল পাইনি। যাই হোক এভাবেই কাটছিল দিন।

আমার একটা সমস্যা হচ্ছে বেশভূষা দেখলে কেউ পাত্তা দিতে চায়না, মানে কোঁচকানো শার্ট, ময়লা হয়ে যাওয়া প্যান্ট পরে দিব্বি অফিস করে যাই। (কাউয়ায় দেখছে অফিসে আমার হালত) হালকা "পাগলামির স্বভাব আছে" এই দৃষ্টিকোণ থেকে অফিসও ব্যাপারটা মেনে নিয়েছে।

তো সেদিন সারে দশটার দিকে অফিসে ঢুকছি, সাধারণত গেট খুলে দিলেই আমি ঠুস করে ঢুকে পরি। তা আর হলোনা, পেছন থেকে হাত টেনে ধরায় থেমে গেলাম। তাকিয়ে দেখি নতুন এক গার্ড, আমাকে হল্ট করে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে। বললাম এখানেই চাকরি করি। বিশ্বাস করেনি সম্ভবত, তাই আই.ডি কার্ড চেয়ে বসল। মহা যন্ত্রণা, আই.ডি কার্ড সাথে থাকেনা প্রায় সময়েই। সেদিনও ছিলনা। উনিতো তখন দিল্লি জয় করে ফেলেছেন ভাব নিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করলেন। কোথায় থাকি, আসলে কার কাছে এসেছি ইত্যাদি ইত্যাদি। যতই বোঝাতে যাই, মানে না। এক পর্যায়ে মেটাল ডিটেক্টর বের করে আমাকে চেক করা শুরু করলেন।

হঠাৎ ওপরে তাকিয়ে দেখি আমাদের ড্যানিশ এডভাইসার বেটা খিক খিক করে হাসতেছেন আমার দুরবস্থা দেখে। মেজাজ পুরা স্ফুটনাঙ্কে, রাইগা মাইগা কিছু কইতে যামু, এডভাইসারে নাইমা আইসা আমারে উদ্ধার কইরা নিয়া গেল। সিঁড়ী দিয়া উঠতে উঠতে কয় "তোমারে বহুত বার কইছি এপিয়ারেন্স বদলাও, কথাতো কানে যায়না। আইজকা হইলো না??"

এই সব আমার নিত্য সঙ্গী। ব্যাংক ট্যাংকে গেলেও খুব একটা পাত্তা পাইনা। প্রায়ই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফোন করে, ক্রেডিট কার্ডের অফার নিয়ে; অফিসে আইসা দেখা করতে চায়। মাঝে মাঝে বাধ্য হইয়া কাউরে আইতে কইতে হয়, আসেও ওরা। আমার রুমে ঢোকার পরেই প্রথম প্রশ্ন, আপনাদের উনি কোথায়? যখন শুনে আমিই সেই মানুষ, পুরা ফাটা বেলুনের মত চুপ্‌সায় যায়।

একদিন প্রাইম ব্যাংকের মিরপুর শাখায় গেছিলাম কি এক কাজে, ম্যানেজারের রুমে ঢোকার পর উনি সাথে সাথেই কাকে যেন ফোন করলেন। ফিস ফিস করে বললেও শুনতে পেলাম "এই সব মানুষকে আমার রুমে ঢুকতে দ্যান ক্যান?"। সেইদিন আসলেই লজ্জা পাইছিলাম। ইগোকে বাঁচাতেই পকেট থেকে ভিজিটিং কার্ড বের করে দেখাইছি। বেচারা থতমত খাওয়া চেহারা নিয়া পারলে তার নিজের চেয়ারে বসতে কয়.....

এই হইলো আমার কাহিনী। ক্যান জানি ছোটব্যালা থিকাই নিজে ব্যাপারে খুব বেশি উদাসীন। হাতের কাছে যেইটা পাই তাতেই গা হান্দায়া দেই। চুল আচড়ানো বা শেভ করা বহুত দূরের কথা।

অপমান অপমান। এই জীবন আর রাখপোনা :|

(এডিট কর্তে গেলেই পোস্ট নাই হইয়া যায় :( )
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
১৩২টি মন্তব্য ১১৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×