আওয়ামী লীগের ১২ সাংসদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈঠকে জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংসদদের সহযোগিতা চেয়েছেন। লক্ষ্য অর্জনে তিনি সাংসদদের কাছ থেকে আরও উদ্যোগী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে
তরুণ সাংসদরা আওয়ামী লীগের মূলধারার নেতৃত্বে আসার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর তারা আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্বে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেখতে চান।
এই প্রথম আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ব্যক্তিগত জীবনে একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী জয় আমেরিকায় তার কর্মস্থলে ব্যস্ত থাকেন। তারপরও সুযোগ পেলে তিনি দেশে এসে পর্যায়ক্রমে তরুণ সাংসদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন।
বৈঠকে সাংসদরা মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন।তিনি আগামীতেও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ডিজিটাল বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তরুণ সাংসদদের সমৃদ্ধ করবেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য সাংসদদের কয়েকজন জানিয়েছেন, মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রসঙ্গ নিয়েই জয়ের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় গ্রামপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি পেঁৗছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের চলমান বিভিন্ন কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংসদদের মতামত জেনেছেন।
বৈঠকের পর সাংসদরা জয়ের বেশ উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে, মাঝে মধ্যে এ ধরনের বৈঠক ডাকা হলে সাংসদরা নতুন করে উজ্জীবিত হবেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় কি আসলেই একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ?
আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমাদের মনে হয় তিনি সর্বোচ্চ ইসলামের ইতিহাসে আন্ডার গ্রেজুয়েট। যদি তাই না হবে তাহলে প্রায় দুই বছর হলো তাঁর মাতা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছে যতদূর জানি তিনিই প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারনাটি দিয়েছেন আর এর পরও কেন নিচের এই প্রথমিক বিষয়গুলোও এখনও দেশে চলছে ?
১. দেশের চার ভাগ ব্যান্ডউইথ সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হচ্ছে যেখানে আমাদের নেটের গতি চার পাঁচ কেবি ? আবার ৫০ টাকার ইন্টারনেটের দাম ১০০০ টাকা নেয়া হচ্ছে ।
২. দুই বছরেও শুধু ঢাকাতেই কেন অপটিক ফাইবার স্থাপন হলো না ?
৩. কেন ওয়েব সাইটের নামে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জুমলা দিয়ে প্রধান অতিথির চেয়ারের পেছনের ব্যানার বানাচ্ছে ইউএনডিপির টাকায় এ২আই এর দারা ?
৪. ২০১০ সালেও কেন বাংলাদেশে থ্রীজি ওপেন করা হলো না ? যেখানে বাংলাদেশের জন্য থ্রীজি(3g) কেবল মোবাইল কমিউনিকেশন না বরং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ার একমাত্র মাধ্যম কারন আমাদের কোন ন্যাশনাল অপটিক ফাইবার নেই/সম্ভাবনাও নেই আর ওয়াইম্যাক্স ইজ আনসাক্সেসফুল কেইস হেয়ার ।
৫. ১৯৪৬ সালের কমিনিটি রেডিও কেন ২০১০ সালে এদেশে এসে এতদিনে মাত্র দশ বারটা এনজিওকে লাইসেন্স দেওয়া হয় ?
৬. দেশে আইটি ডিভাইস আমদানীর কোন নীতিমালা না থাকায় কেন এ সেক্টরে অসাধু ব্যাবসায়ীরা রদ্দি মাল এনে সরকারী প্রতিষ্ঠানে দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে ?
৭. কেন দেশের ৮০% মানুষকে টেরেষ্টারিয়াল টেলিভিশনের নামে বিটিভির অখাদ্য গেলানো হচ্ছে ? বাকী সবাইকে আইন করে টেরেস্টারিল টেলিকাস্ট থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
৮. পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশে কেন পে পল নাই মানে ইন্টারনেট ব্যাংকিং নিষিদ্ধ ? এসএমএস ব্যাংকিকে কেন শুধু শহরের মানুষের জন্য লিমিটেড রাখার জন্য একমাত্র ট্রাস্ট ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়া হলো ?
৯. আর ভিওআইপি ওপেন না করে বরং এই বাণিজ্যকে বহাল রাখার জন্য কেন সমস্ত আইটি সেক্টরকেই অবদমিত রাখা হচ্ছে ?
যাক এটুকুই বলতাম। শেখ হাসিনা ধরে নিলাম ডিজিটাল বিষয়ে বকলম কিন্তু আপনি কি আসলেই কম্পিউটার বিজ্ঞানী ? যদি হয়ে থাকেন তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার ভেতর দেশপ্রেমের 'প' টাও নেই। তারচেয়ে বরং আপনি সর্বোচ্চ ইসলামের ইতিহাসে আন্ডার গ্রেজুয়েট। আমি ঐ মিটিংয়ে এমপি হিসাবে থাকলে তাই বলতাম কিন্তু ওখানে ছিল ১২ জন চামচা। দিনাজপুর-৩ আসনের ইকবালুর রহিম বাবু, রাজশাহী-৪ আসনের প্রকৌশলী এনামুল হক, রাজশাহী-৬ আসনের শাহরিয়ার আলম, নাটোর-৩ আসনের অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের তানভির শাকিল জয়, ভোলা-৪ আসনের আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জামালপুর-৪ আসনের ডা. মুরাদ হাসান, ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-১২ আসনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর-২ আসনের জাহিদ আহসান রাসেল, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আবদুল্লাহ আল কায়সার এবং সুনামগঞ্জ-১ আসনের ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




