প্রথম পর্বঃ দেশের মানুষের টাকা পয়সা মেরে আমাদের রাজপুত্রেরা লন্ডন , আমেরিকা , থাইল্যান্ড এ মিলিয়ন ডলারের ঘরে থাকে, জাগুয়ার-বিএমডাব্লিউ চড়ে , ড্রাইভার রাখে, কাজের লোক রাখে , বডিগার্ড রাখে । সপ্তাহে হাজার হাজার ডলারের শপিং করে। এই রাজপুত্রদেরকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসে জার্মান, ইতালী,সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া থেকে শত শত শিক্ষিত তরুণ নিজেদের রক্তের উপার্জিত টাকার প্লেন ফেয়ার দিয়ে।আমি তা নিজের চোখেই দেখেছি। এইসব খবর জেনে বাল হবে। আমরা পড়ব, আর আঙুল চুষবো। আমাদের মত শোষিত জনগনের জন্য আসলেই আরো শোষন দরকার। এই আমাদের অনেকেই রাজপুত্রের জয় / জিন্দাবাদ বলে এয়ারপোর্ট গরম করবে !
আচ্ছা বাংলাদেশের প্রবাসী চুদনাদের মত আর কোন দেশের প্রবাসীরা কি বিদেশে দেশের রাজনীতি বিদেশে নিয়া গেছে ? আবার এক একটা দলের চৌদ্দ পনেরটা গ্রুপ সহ।
আসলে জাঙ্গীয়া ছারা প্যান্ট পরা যেমন অস্বস্তিকর বাংঙ্গাল চুদনাদের চুতিয়া রাজনীতি ছারা থাকা তেমনই অস্বস্তিকর। আর নেতাগুলি হইলো আমাদের জাঙ্গীয়া।
আর দেশ থেকে যখন কোন নেতা যায় তখন এই সব চুদনা প্রবাসীরা জাঙ্গীয়া খুলে তাদের দিয়া ... আহ্
আর আমাদের নেতা নেত্রীদেরও বিদেশ গিয়া দেশিদের সাথে পরষ্পর জাঙ্গীয়া খুলাখুলি না করলে আরাম হয় না।
উল্লেখ্যঃ কুয়েত আওমীলিগের ১৪ টি ফ্রাকশন আছে আর বিএনপির ৮ টা। চুদনারা রাস্তায় ঘুমায়, ফুতপাতে পায়খানা করে, রাস্তার মোড়ে দাড়াইয়া পর্ণ সিডি বেচে আর আওয়ামীলীগ বিএনপি করে। দেশের হারামজাদা নেতা নেত্রীরাই ওদের কমিটি কইরা দেয়।
আবার প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অধিকার ও বাইন্নার পুতেগ বিদেশেও চামচাগিরির সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধন আইন-২০১০ সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বঃ বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য একজন নেতা দেয়া হবে যায় জন্ম ১৯৭১ সালে জুলাই মাসে। যে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে ভারতে এর পর চলে গেছে আমেরিকায় সেখানেই থেকেছে বড় হয়েছে এবং পড়াশুনা শেষ করে সেখানেই বিয়ে করেছে।
আশা রাখি সে এদেশের মানুষ এবং তাদের সমস্যা ভালোই বুঝতে পারবে এদেশের গরীব দূঃখি মানুষের কষ্ট উপলব্দি করতে পারবে এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবে (?)
আচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় কি আসলেই একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ?
আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমাদের মনে হয় তিনি সর্বোচ্চ ইসলামের ইতিহাসে আন্ডার গ্রেজুয়েট। যদি তাই না হবে তাহলে প্রায় দুই বছর হলো তাঁর মাতা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছে যতদূর জানি তিনিই প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারনাটি দিয়েছেন আর এর পরও কেন নিচের এই প্রথমিক বিষয়গুলোও এখনও দেশে চলছে ?
১. দেশের চার ভাগ ব্যান্ডউইথ সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হচ্ছে যেখানে আমাদের নেটের গতি চার পাঁচ কেবি ? আবার ৫০ টাকার ইন্টারনেটের দাম ১০০০ টাকা নেয়া হচ্ছে ।
২. দুই বছরেও শুধু ঢাকাতেই কেন অপটিক ফাইবার স্থাপন হলো না ?
৩. কেন ওয়েব সাইটের নামে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জুমলা দিয়ে প্রধান অতিথির চেয়ারের পেছনের ব্যানার বানাচ্ছে ইউএনডিপির টাকায় এ২আই এর দারা ?
৪. ২০১০ সালেও কেন বাংলাদেশে থ্রীজি ওপেন করা হলো না ? যেখানে বাংলাদেশের জন্য থ্রীজি(3g) কেবল মোবাইল কমিউনিকেশন না বরং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ার একমাত্র মাধ্যম কারন আমাদের কোন ন্যাশনাল অপটিক ফাইবার নেই/সম্ভাবনাও নেই আর ওয়াইম্যাক্স ইজ আনসাক্সেসফুল কেইস হেয়ার ।
৫. ১৯৪৬ সালের কমিনিটি রেডিও কেন ২০১০ সালে এদেশে এসে এতদিনে মাত্র দশ বারটা এনজিওকে লাইসেন্স দেওয়া হয় ?
৬. দেশে আইটি ডিভাইস আমদানীর কোন নীতিমালা না থাকায় কেন এ সেক্টরে অসাধু ব্যাবসায়ীরা রদ্দি মাল এনে সরকারী প্রতিষ্ঠানে দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে ?
৭. কেন দেশের ৮০% মানুষকে টেরেষ্টারিয়াল টেলিভিশনের নামে বিটিভির অখাদ্য গেলানো হচ্ছে ? বাকী সবাইকে আইন করে টেরেস্টারিল টেলিকাস্ট থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
৮. পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশে কেন পে পল নাই মানে ইন্টারনেট ব্যাংকিং নিষিদ্ধ ? এসএমএস ব্যাংকিকে কেন শুধু শহরের মানুষের জন্য লিমিটেড রাখার জন্য একমাত্র ট্রাস্ট ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়া হলো ?
৯. আর ভিওআইপি ওপেন না করে বরং এই বাণিজ্যকে বহাল রাখার জন্য কেন সমস্ত আইটি সেক্টরকেই অবদমিত রাখা হচ্ছে ?
যাক এটুকুই বলতাম। শেখ হাসিনা ধরে নিলাম ডিজিটাল বিষয়ে বকলম কিন্তু আপনি কি আসলেই কম্পিউটার বিজ্ঞানী ? যদি হয়ে থাকেন তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার ভেতর দেশপ্রেমের 'প' টাও নেই। তারচেয়ে বরং আপনি সর্বোচ্চ ইসলামের ইতিহাসে আন্ডার গ্রেজুয়েট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




