সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে সরকার বিরোধী বা দাবী আদায়ের আন্দোলনে পুলিশ হাতে নতুন এক স্প্রে ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। যা রাসায়নিক জগতে, অত্যন্ত ক্ষতিকারক পিপার স্প্রে নামে পরিচিত।
সাধারনত কোন হিংস্র পশুর আক্রমন থেকে বাচার জন্য মূলত এই রাসায়নিক দ্রব্যটি ব্যবহার করা হয়।দেহের জন্য বিশেষ করে কর্ণিয়া এবং এর গ্লুকোমাকে সরাসরি ব্যপক ক্ষতি করে এই রাসায়নিক গ্যাসটি।এবং হাপানি , এ্যজমা বা শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত যেকোন এলার্জি জনিত রোগে এর ক্ষতিকর দিক ব্যাপক। ব্রন্কাইটিস রোগীর তাৎক্ষনিক মৃতুর কারন ও ঘটতে পারে এর মাধ্যমে বলে চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রতীয়মান।
এর ব্যাপক ভয়াবহ ক্ষতিকর দিকের কারনে, কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন এর ১.৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যুদ্ধে প্রতিপক্ষ দমনেও এর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর এই ক্ষতিকারক পিপার স্প্রে ব্যবহার করার জন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয় এবং তাদের মামলা বিচারাধীন।যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবিদের মতে তাদের আর্থিক জরিমানা এবং সশ্রম কারাদন্ড হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
একারনে বিশ্বে রায়ট কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে ও এর ব্যবহার সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
সারা বিশ্বে যখন এই ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যটি নিষিদ্ধ, তখন সরকারের শেষ পর্যায়ে এসে পুলিশের মাধ্যমে এর যথেচ্ছ ব্যবহার দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এবং সকল রাজনৈতিক পক্ষকেই বুঝতে হবে, দমন-পীড়নের নামে দেশে কখনও এমন কোন ক্ষতিকারক কালচার তৈরী করা ঠিক হবেনা, যা বুমেরাং হতে পারে।
পাশাপাশি এর ব্যবহারকারীদের ও সজাগ হতে হবে।কেননা, আপাত দৃষ্টিতে পিপার স্প্রে এর ব্যবহারকারীর সরাসরি মুখে না লাগলেও বিশ্বে বহু প্রতীয়মান যে, যেকোন রাসায়নিক গ্যাস মাস্ক ছাড়া এর ব্যবহার করলে, ব্যবহার কারীর ক্ষতির পরিমান কয়েকগুন। পাশাপাশি তার হাতে পর্যন্ত ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি সর্ম্পকে সবার সজাগ হওয়া উচিত।