১.
মেয়েটার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে সাগর দে। মেয়েটা বাঁধা আছে বেডের উপর। ওর কনুইয়ের কাছের ভেইনে সূঁচটা ফুটানো। আর সূঁচের আরেক মাথায় লাগানো নলটা দিয়ে টপটপ করে রক্ত গড়িয়ে এসে পড়ছে বালতিতে।
মেয়েটার শরীরের রক্ত বেরিয়ে বালতিতে এসে জমা হচ্ছে। প্রথম দিকে মেয়েটা তরপাচ্ছিলো। এখন ধীরে ধীরে নিথর হয়ে পড়ছে। নড়া-চড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
বিষয়টা খুব উপভোগ করছে সাগর দে...............
দুইটা জিনিস সাগর ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। মানুষের শরীরে রক্ত কি পাম্প করে ঢুকানো থাকে???!!! শরীরের রক্তের এত চাপ কেন? একটা সূঁচ ফুটালেই সব রক্ত বের হয়ে আসে.........
আর কিশোরী মেয়েদের রক্ত এত নোনতা কেন হয়.......?
২.
শাল্টুর যে নতুন আইটেমটা আবিস্কার করেছে সাগর তাতে তাজা রক্ত লাগে। কিশোরী মেয়ের তাজা রক্ত! কিশোরীর মেয়ের তাজা নোনতা রক্ত........
দেড় লিটার রক্তে আড়াইশো গ্রাম শাল্টু। পারফেক্ট মিক্সচার! ঠিক সোয়া সাত ঘন্টা হয়ে গেছে শাল্টু আর রক্তের মিক্সচারটা রোদে দিয়ে। সোয়া সাত ঘন্টায় মিক্সচারটা দুই পারসেন্ট ভেজা থাকে। তাতে স্বাদটা জমে ভাল.......
ছাদে উঠে এল সাগর। পানির ট্যাংকির উপরে। মিক্সচারটা গুঁড়ো গুঁড়ো করে কল্কিকে ভরলো। আগুন জ্বালিয়ে লম্বা করে একটা সুখটান দিলো....
গলগল করে ধোঁয়া বের হচ্ছে মুখ দিয়ে। ছোট একটা মুচকি হাসি দেখা দিল সাগর দের মুখে। নতুন একটা কিশোরী মেয়ের খোঁজ করতে হবে। ফাঁদে ফেলতে হবে। কিশোরীর মেয়ের রক্ত অনেক নোনতা! তাতে নেশাটা জমে ভাল..............!!!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩