somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিউশন ফাইভ এবং সবাকের মুখোশ খুলে গেছে

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেলানীর মৃত্যুর পর দু:খ সহ্য করতে না পেরে এখন পর্যন্ত ৩২জন শিবির সাথী, ১৯ জন কর্মী এবং প্রায় ১ জন সমর্থক মগবাজারের জনৈক ইউসুফ আখন্দের সীমানা প্রাচীরের ওপরে লাগানো কাঁটাতারের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন (ইন্নালিল্লাহির ডট ডট ডট রাজেউন )। তারপরই মূলত দেশে আগুন লাগে।

একের পর এক সিএনজি স্টেশনগুলোর স্টক শেষ হয়ে যায়, দেশের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, মেঘনা নদীর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে শাপলা চত্ত্বরে ধেয়ে আসে তুষার বন্যা। চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে এবং ভার্সিটি এলাকায় রাস্তায় নেমে পড়ে পেংগুইনের দল। এক কথায় সারা দেশের ছাগলের খোয়াড়গুলোতে ঈদের আনন্দ নেমে আসে। তারপর দেশের সকল (গ্রাম, গঞ্জ, চরাঞ্চল, উপকূলীয়) দেশপ্রেমিক ব্লগার প্রায় একই সাথে সিদ্ধান্ত নেন একটি মানববন্ধনের। কারণ এ মানববন্দনটি যতক্ষণ না করবেন, ততক্ষণ তারা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারছেন না। ৯০% কষা হয়ে আসা বর্জ্য পরিক্ষেপনের জন্য মানববন্দনটি ফরজ হয়ে যায়।

কিন্তু সারা দেশে চালুনি খোঁজা খুঁজেও দেশপ্রেমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অলি গলি, আগান বাগান, বহুতল ভবনের লিফ্ট, মওদুদীর দাড়ির ফাঁক ফোকর, বোরকার তলা - কোথাও দেশপ্রেমিক নেই। ঠিক সে মূহুর্তে মগবাজার এক্সপ্রেসে চড়ে চট্টগ্রামের বুকে আবির্ভাব ঘরে এক ঝাঁক দেশপ্রেমিকের। ঘনিয়ে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ। হয়ে গেলো মানববন্ধন।

হায়! তীব্র কুয়াশার কারণে কষাখোলন বায়ু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। আবারো প্রয়োজন পড়ে মানববন্ধনের। মোদ্দাকথা সারাদেশের কষাবস্থা খোলার জন্য মানববন্ধন ব্যতীত বিকল্প কোন পথ্যের সন্ধান ছিলো না বললেই চলে। আবারো এগিয়ে আসলো মগবাজার এক্সপ্রেস। ২১ জানুয়ারি ডাক আসলো মানববন্ধনের । সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলছিলো।

২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার আকাশে আচমকা এক বজ্রের মতো আঘাত হানলো হারিকেন ফিফা । কোথাও থেকে উদয় হলেন তিনি! এসেই মারমার কাটকাট প্রমাণসহ বলতে লাগলেন "এ মানবন্ধন তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীদের(!), আপনারা একে বয়কট করুন"। উনার সাথে সাথে ঝাঁপিয়ে পড়লেন "সবাক " "রাজসোহানের " মতো স্বঘোষিত দেশপ্রেমিকরা। তারা এ মানববন্ধন বানচাল করেই ছাড়বেন। যুদ্ধাপরাধীদের কথা শুনে আমি টিকিট বিক্রি করে দিলাম ব্ল্যাকারের কাছে। চলো চলো ঢাকা চলো স্লোগান থেকে সরে আসলাম।

অবশেষে ৬০জন মতান্তরে ৬১জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত সে মানববন্ধন হয়ে যায় । কিন্তু প্রশ্ন থেকে এ মানববন্ধনের বিরোধিতা নিয়ে। আসলে কি এ মানববন্ধনের সাথে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকরা জড়িত ছিলো?/:)

যারা মানববন্ধনে গেছেন, বিশেষ করে "শামসীর", "শিপু ভাই", বুয়েটিয়ান আপুর অনুরোধে "পেইড ব্লগার" - উনারা বলছেন "ওদের" সংশ্লিষ্টতা বিন্দুমাত্রও ছিলো না। এতোগুলো মানুষ নিশ্চয় মিথ্যা বলছে না! নেমে পড়লাম অনুসন্ধানে। :|

প্রথমে গুগল মামার উপর নির্ভরশীল থাকলেও তিনি আমাকে কোন সাহায্য করতে পারেননি। শেষে আমি খবর লাগাই আমার কিছু ভারতীয় বন্ধুবান্ধবের সাথে। তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ চালাই ইন্ডিয়ার Central Bureau of Investigation এর জোনাল অফিসার আর.কে মাইডেন এর সাথে। অনেক দরকষাকষির পর জানতে পারলাম Research and Analysis Wing (RAW) এর জনপ্রিয় উইং ভাদা (BHADA) এর চৌকষ দু' অফিসারের নাম।;)

আমি অবাক হয়ে গেলাম নামগুলো শুনে। যদিও বুকের বামপাশে তখনই চিনচিন ব্যাথা শুরু হয়েছিলো, তবুও ওই দুই বাংলাদেশ বিরোধীর পরিচয়পত্রের স্ক্যানকপি নিতে ভুলিনি। আমি তাদের নাম মুখে আনতে ঘৃন্যবোধ করছি। আপনারা নিজ চোখে দেখে নিন একটু নজর বুলিয়ে। এবং ঘৃণার আকন্ঠ ল্যাদানি নিক্ষেপ করুন উনাদের চোখে মুখে।:P;):-*




সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৪
৪০টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×