somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৮+ কৌতুক । এলার্জি থাকলে পড়ার দরকার নাই ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সব নেট থেকে নেয়া । আগে পড়ে থাকলে দায়-দায়িত্ব আপনার ।

০১.
ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের
মরুভুমিতে একটা দুর্গ।
সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যাভিমানী এক
ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু
করছে হম্বি -তম্বি। এরে ধমকায় ত
ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ
হয় না। ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই।
চোর -বাটপার সব কয়টা। প্রথম
দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময়
সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা। "
ওই হারামজাদা। উট এইটা কিসের
জন্য ? " একজন কাচুমাচুভাবে বলল
" আমরা তিন-চার মাস
একটানা দুর্গে থাকি।
এইখানে কোনো মেয়ে নাই।
সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ
করলে এই উট ব্যাবহার করে। "
সেনাপতি ত bloody indian দের
কথা শুনে থ। শুয়োরের
বাচ্চারা উটকে "কামে"
লাগায়...ছি ছি ছি। সে কড়া নির্দেশ
দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ
হারামজাদা উট ব্যাবহার
করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে।
যাই হোক তার
কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম -
শৃংখলা ফিরে আসলো। সবাই সোজা।
সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর
মাস যাচ্ছে।
এক সময় সেনাপতির
একা একা লাগা শুরু করল। শালার
একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার
মাস। আরো এক মাস গেলো। একদিন
সকালে সে হুকুম দিলো , শুয়োরের
বাচ্চারা, উটটা নিয়ে আয় আমার
তাবুতে। কিছুক্ষন ধস্তা-
ধস্তি হল। উটের চিৎকার
শুনা গেল। এরপর
সেনাপতি প্যান্টের চেইন
লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল। বড়
বড় চোখ করে bloody indian
গুলো তাকিয়ে আছে। এদের
দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল
- খারাপ না, তোরাও কি এইভাবেই
ব্যাবহার করিস?
- না হুজুর।
আমরা এইটাতে চড়ে মাইলদুয়েক
দুরের একটা শহরে যাই।

০২.
বিদেশের এক রেস্টুরেন্ট। তিনজন
বাবুর্চি সেখানে কাজ করে। একজন
চাইনিজ , একজন জাপানিজ আরেকজন
বাংলাদেশী। তিনজনের ভিতর খুব
রেষারেষি। একদিন
একটা মাছি ঢুকছে কিচেনে।
সাথে সাথে চাইনিজটা একটা ছুরি নিয়া এগিয়ে গেলো।
কিছুক্ষন সাইসাই
করে চালালো বাতাসে।
মাছিটা পরে গেলো চার টুকরা হয়ে।
সে বাকি দুইজনের
দিকে তাকিয়ে বলল , "
এইভাবে আমরা আমাদের শত্রুদের
চার টুকরা করে ফেলি। "
আরেকদিন মাছি ঢুকতেই
জাপানিজটা এগিয়ে গেলো। সাইসাই
করে ছুরি চালালো। মাছি আট
টুকরা হয়ে গেলো।
সে বাকি দুইজনের
দিকে তাকিয়ে বলল , " এইভাবেই
আমারা আমাদের শত্রুদের আট
টুকরা করে ফেলি "
পরেরদিন মাছি ঢুকছে একটা।
বাংলাদেশীটা এগিয়ে গেলো।
বেচারা অনেকক্ষন ছুরি চালালো।
হাপিয়ে গিয়ে এক সময় চলে এলো।
বাকি দুইজন বলল
- কি তোমরা তোমাদের শত্রুদের
কিছুই করো না?
-হুমমমম...তোরা বুঝোস না কিছুই।
এমন কাম করছি যে অই মাছি আর
কোনোদিন বাপ হইতে পারবো না।

০৩.
এক লোক অতি বিকট শব্দে বায়ু
ত্যাগ করে। তার যেমন বিকট আওয়াজ
তেমনি উৎকট গন্ধ।তার বউ বিরক্ত।
- তুমি কি এটা ইচ্ছা করেই
করো নাকি?
-ইচ্ছা করে আবার করা যায়?
-কি জানি। তবে তোমার জ্বালায় ত
আর থাকতে পারছি না।
দেখো কমাতে পারো কিনা।
এত কথা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে।
পরদিন সকালেই আবার বিকট
শব্দে কাজ শুরু করেছে। বউ
বিরক্ত হয়ে বলল
-
তুমি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছো তাতে কদিন
কিন্তু পাদ দিতে গিয়ে নাড়ি-
ভুড়ি বের হয়ে যাবে।
- তুমি কি সব কথা বলো। নাড়ি-
ভুড়ি বের হবে কেনো?
-বের হবে ...একশবার হবে...তুমি জোর
করে এমন বিকট আওয়াজ করো।
একদিন সকালে সে অভ্যাসগত ভাবেই
বিকট শব্দে ত্যাগ করছে। তার বউ
আর শুয়ে থাকতে পারল না।
উঠে যেতে যেতে বউয়ের মাথায়
এসেছে এক বুদ্ধি।
নীচে নেমে ফ্রিজ থেকে মুরগি বের
করল। এরপর মুরগির নাড়ি-
ভুড়ি নিয়ে এসে স্বামীর পাজামার
ভিতর দিয়েছে ঢুকিয়ে। চুপ
করে নেমে এলো।
রান্না করতে করতে দুই কান
খাড়া করে রাখছে সে। কখন তার
স্বামী চিৎকার করে ঊঠবে।
কিছুক্ষন পর যথারীতি এক চিৎকার।
বউয়ের মুখটা আনন্দে ভরে গেছে।
এইবার হইছে উচিত শিক্ষা।
আধা ঘন্টা পর নেমে এসেছে জামাই।
এসেই বলে
- ও বউ ,তুমি ঠিকই বলেছিলে।
এতো জোরে পাদ দেয়া ঠিক না ।
আজকে সকালেই পাদ দিয়ে ত নাড়ি-
ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল আমার।
- তাই নাকি?
-তবে বলছি কি আর। তবে খোদার
রহমতে, একটু
চেষ্টা করে সমস্তটা আবার
ভিতরে ভরে ফেলতে পারছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:১০
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×