আল কুরআন বলে সকল কাফের, মুশরিক, ও পাপিষ্ঠ মুসলিমদের পরকালে জাহান্নামে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি ভোগ করতে হবে। কতকাল জাহান্নামে থাকতে হবে? কুরআন বলে অনন্তকাল। অনন্তকালের অর্থ কি? অনন্তকাল মানে যার শুরু হবে আর শেষ হবে না।হাদিস থেকে জানা যায় জাহান্নামের আগুনের তাপ সূর্যের তাপ থেকেও প্রখর। আর আল কুরআন থেকে জানা যায় সে আগুন এত প্রখর যে মানুষের হৃদয়টুকু জ্বালিয়ে দিবে।
এ বক্তব্যগুলো যদি বলা হয় মানব রচিত কোন বই থেকে নেয়া হয়েছে তাহলে কোন কথা থাকে না। মানুষ যাতে পাপ না করে সে জন্য ভয় দেখানোর জন্য এরুপ কোন কথা কেউ লিখলে লিখতেই পারে।
কিন্তু যখন বলা হয় এটা কোন মানুষের বক্তব্য নয়, এ বিশ্ব জাহানের স্রষ্টার বক্তব্য- ঠিক তখনই এ ধরনের বক্তব্য সিরিয়াস মনোযোগের দাবি রাখে। স্রষ্টার কথার ওজন সাধারণ কথা থেকে বহু উচ্চে হবে।
পরকাল যদি সত্যিই থাকে তা হবে ন্যয় বিচার কায়েমের জন্য। এ দুনিয়াতে যেহেতু সদিচ্ছা থাকলেও ন্যয় বিচার কায়েম সম্ভব নয়, সুতরাং পরকালে ন্যয় বিচার হবে সেটাই আশা করা যেতে পারে। কেউ পাচজন লোক হত্যা করলে উক্ত ব্যক্তিকে এ দুনিয়াতে পাচবার হত্যা করা যাবে না।
পরকাল যদি ন্যয়বিচার কায়েমার্থে হয়ে থাকে, আল কুরআনে পরকালে মানুষের শাস্তি সম্পর্কে যে বক্তব্য বিবৃত হয়েছে তা তো ন্যয়বিচার নয়ই বরং অনেক বড় অবিচার ও জুলুম। ন্যয়বিচার হল আপনি যতটুকু অপরাধ করেছেন ঠিক ততটুকু শাস্তি দেয়া।মানুষ মানুষের বিচার করলে ১০০% চেষ্টা করলে ১০০% ন্যয়বিচার করা সম্ভব হয় না। কিন্তু স্রষ্টার পক্ষে তো সম্ভব। কেউ আপনার মনে কষ্ট দিলে স্রষ্টা ঠিক ততটুকুই আপনার কষ্টদাতার মনে কষ্ট দিতে সক্ষম। কেউ ১০০০ লোককে হত্যা করে থাকলে স্রষ্টা ঠিক হত্যাকারিকে ১০০০ লোক হত্যার কষ্ট ও বেদনা যথার্থভাবে পরিমাপ করে দিতে সক্ষম।কিন্তু অনন্তকাল জাহান্নামে পুড়ার শাস্তি কিভাবে জাস্টিফাইয়াবল হয়? কুরআনে বর্ণিত এ ধরনের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে উহা মানব রচিত পুস্তক যা স্রষ্টার বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।