নবী অবমাননার প্রতিবাদ করা কি পাপ ? মৌলবাদ ? জংগী ততপরতা ? হেপাজতের ১৩ দফার একটাতেও কি রাজাকার বাচানোর কথা আছে ? সমাবেশে কোন দাবী রাজাকারের পক্ষে তোলা হয়েছে ? নিজামী - সাঈদী - গো আজমকে কওমীরা তো আলেমই মনে করে না! দাবী তোলা হয়েছে কওমী ওলামাদের মুক্তির, যাদের সাথে জামাতের আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। পরিকল্পিতভাবে তথ্য বিকৃতি করে বলা হচ্ছে হেফাজত যুদ্ধাপরাধী বাচাতে পথে নেমেছে !
এর উল্টা যদি বলা হয় আমাদের প্রণপ্রিয় নবীর অবমাননাকারীদের বাচাতে "কিছু" "সুশীল" ও " ইসলামী সুশীল" হেফাজতের নামে অপপ্রচার শুরু করেছে, তখন কি বলবেন ? এসব পাল্টাপাল্টির প্রয়োজন নেই নবী প্রেমিকদের। আমাদের প্রণের দাবী একটাই, রসুলের অবমাননা বন্ধ হোক । ১৩ দফা শুনে লং মার্চে যাইনি, গিয়েছি প্রাণের একটা ডাবী নিয়েই ।
হেফাজতীরা জামাত পন্হী হলে, সমাবেশে ট্রাইবুনালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলত । ট্রাইবুনালকে দলীয়করণের অভিযোগ উঠাত । সাঈদীয় সাক্ষী গুম নিয়ে আলোচনা করত। এসব কিছুই তারা করে নি ।
আর সমাবেশের পরদিন ৭ই এপ্রিল প্রথম আলো দেখেছেন ? হানিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ধন্যবাদ জানাচ্ছেন হেফাজতকে, জামাত- বিএনপির পরিকল্পনা/দাবী মত কাজ না করায় ! জামাত - বিএনপি চেয়েছিল দুই দিন লাগাতার হরতাল, টানা মতিঝিলে অবস্হান, সরকারের সাথে হার্ড লাইন । হেফাজতের আমীর বলেছেন না ।
হেফাজতের আমীরের গত ৫০-৬০ বছরের ইতিহাস দেখেন, জামাতের সাথে কোন সক্ষতা পান কিনা ! বরং ওনার লেখা বই -" হক ও বাতেলের চিরন্তন দ্বন্দ " বইটি পড়ে দেখেন কিভাবে জামাতকে ভ্রান্ত প্রমাণ করা হয়েছে।
কওমী মাদ্রাসায় ১০ বছর পড়ে এতটুকু ইমান হাসিল হয়েছে, যে জামাতকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি । আর আমাদের হুজুররা জামাত যুদ্ধাপরাধী বাচানোর চেষ্টা করলে আমি নিজেই সবার আগে ফেফাজতের বিরোধিতা করব ।
এই ব্লগে বেশ কিছু কওমী পড়া/পড়ুয়া ব্লাগার পাবেন যারা জামাত বিরোধিতায় খুবই একটিভ । আলতামাশ/ মোমের মানুষ / আফিফা এদের দেখেন । সাধারণ ধর্ম প্রাণ কোটি কোটি মানুষের কাছে আমাদের (কওমী/হুজুরদের) গ্রহণ যোগ্যতা আপনাদের মত সুশীল অথবা ওরশ- মাজার - লালশালু ভক্তদের তুলনায় অনেক বেশী। তাই জামত প্রতিরোধে আমরা "সুশীলদের" থেকে অনেক অনেক বেশী কার্যকর । আর সুশীলদের অতি চুলকানীর কারণে সমাজে উগ্রবাদ - জংগীবাদের -ই প্রসার ঘটে, শান্তি স্হাপিত হয় না।
কোন ভাবে পাশ না কটিয়ে সোজা সত্য কথাটা বলতে পারবেন ? বর্তমানে দেশের এই সংঘাতময় অশান্ত অবস্হার জন্য দায়ী কে ? কিছু অতি চুলকানীর রুগী ব্লগার কি এর জন্য দায়ী নয় ? সৎ সাহস থাকলে সত্য বলুন ।
আর চোখের সামনে নবীর অবমাননা হবে আর আপনারা চাইবেন দেশের মানুষ চোখে ঠুলি পরে নবীর প্রতি ভালবাসাকে দান করে বোবা শয়তান হয়ে বসে থাকবে, সেটা কি সম্ভব ?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




