somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষুদ্রঋণ কি ব্যবসায়িক ভাবে সাফল ? প্রমাণ কি?-

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসায়িক সাফল্যের প্রমাণ কি?- ঋন পরিশোধের হার, যা কি না ৯৮%। এটা একটা ম্যাক্রো + কোয়ান্টিটেটিভ তথ্য। এটা অবশ্যই ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসায়িক সাফল্যের একটা খুবই শক্তিশালী প্রমাণ। এবার দেখা যাক, এই তথ্য কিভাবে সংগ্রহ+বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

Morduch (1999) দেখিয়েছেন যে, এই তথ্য আসলে খানিকটা ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ করা, নন-স্ট্যান্ডার্ড একাউন্টিং পদ্ধতি অনুসরন করে। সেটা কি রকম?- তিনি দেখিয়েছেন যে, Grameen calculates the value of overdue loans by dividing one-year-old amounts in arrears by the current portfolio. Because their portfolio has expanded so rapidly, it is much greater than the one that existed when these same loans first became “at risk.” Correcting the denominator to the one-year-old portfolio, as done in standard banking practices, produces an average default rate of 7.8%, a figure still impressive for a development bank but not for a commercial bank. (বিজনেস টার্মস অনুবাদ করতে গিয়ে কি লিখতে কি লিখে ফেলি।- তাই পুরা বাক্যটা ইংরেজীতেই তুলে দিলাম)।- ১৯৮৫-৯৬ সাল পর্যন্ত গ্রামীনের যে “দেড় মিলিয়ন” ইউএস ডলার মুনাফা দাবী করা হয়, ব্যাংকিং খাতে প্রচলিত একাউন্টিং এর রীতি অনুযায়ী ‘বিতরনকৃত ঋণ থেকে প্রাপ্ত সুদের হিসাব’ সূত্রে তা প্রকৃতপক্ষে ৩৪ মিলিয়ন ডলারের ‘লস’ হিসেবে পাওয়া যায়। এখানে প্রশ্ন আসে, তাহলে গ্রামীন ব্যাংক চলছে কি করে?-

বিদেশী অনুদান গ্রামীনের ফান্ডের একটা বড় সোর্স। তারা অনুদানের অর্থকে তাদের হিসাবের মধ্যে ‘ইনকাম’ এর খাতে ধরে। আরেকটা বড সোর্স হল নামমাত্র সুদে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি ঋণ নিয়ে তা মাত্রাতিরিক্ত সুদে বিনিয়োগ করা। এছাড়াও পুর্বোক্ত সময়কালে গ্রামীন ব্যাংক ৪৭+ মিলিয়ন ডলারের ‘অপ্রদর্শিত ভর্তুকি’ পেয়েছে ইকুইটি-মানি ব্যবহার করে। কাজেই, নন-স্ট্যান্ডার্ড একাউন্টিং+ অনুদানের অর্থের অনুল্লেখ দ্বারা গ্রামীন ১৯৮৫-৯৬ সময়ে ব্যালেন্স শিটে সর্বমোট ৮১+ মিলিয়ন ডলারের একটা ‘গোজামিল’ দিয়েছে যাতে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসা-সফল মডেল হিসেবে দেখানো যায়। (এই বিষয়ে এইখানে সাংবাদিকের লিখা একটা সহজপাঠ্য প্রবন্ধ পাওয়া যাবে Click This Link)


আর উপরের বিশ্লষণটা পেয়েছি ক্যাডেট কলেজ ব্লগের মাহমুদ থেকে: http://www.cadetcollegeblog.com/mahmudh/8159


আর এটিও ইউনুসকে একজন সচেতন মিথ্যাবাদী বলার যৌক্তিক কারণ । যেহেতু ইউনুস খুব ভাল ভাবে জানেন তার কার্যক্রম কতটুকু ব্যবসা সফল আর তিনি প্রচার করেন কতটুকু !
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×