বাবাকে হারিয়েছি ছোটবেলায় । হয়তো অনেকের চোখে এইচএসসি পড়া চলাকালিন সময়কে মনে হবে না ছোটবেলা । তবে আমার মানষিক প্রাপ্তবয়স্কতা প্রাপ্তি ঐ সময়টাতেই । আর তাও বাবা মারা যাবার পর পর ।
গল্প শুনতাম বাবার মুখে মাত্র দশটাকা সম্বল করে কিভাবে জীবনযুদ্ধে নেমেছিলেন উনি। গ্রামের জীবন থেকে এসে শহরে চাকরি জীবন শুরু করে নিজের পায়ে দাঁড়ালেন সে সব ঘটনাবলি । প্রায়ই শেখাতে চাইতেন জীবনটার আসল রুপ কেমন । আমার সব কিছুরই শিক্ষক ছিলেন তিনি ।
অবাক হতাম উনার কিছু কিছু ব্যপার দেখে । জীবন যুদ্ধের আপাত সফলকাম এই লোকটা প্রফেশনালী একজন নির্মান প্রকৌশলী হওয়া সত্বেও অন্য কলিগদের মতন ছিলেন না । ভীষন কষ্ট করে 60 থেকে 89 সালের চাকরি জীবনে একটা একটা রুম করে একটা মাত্র বাড়ী বানাতে সমর্থ হয়েছিলেন । আর গল্প করতেন তাকে অফিসে নিতে যে ড্রাইভারটা আসতো তার নাকি ঢাকায় দুইটা চারতলা বাড়ি
সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম উনি মারা যাবার পর । যখন ওনার ব্যাংক হিসাবে দেখলাম মাত্র ত্রিশ হাজার টাকার স্থিতি । তখন বুঝলাম কেন উনি এনজিওপ্লাস্টির মত একটা ক্ষুদ্র অপারেশন করাতে না পেরে মাত্র 48 বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন । একাধারে কষ্ট এবং গর্ববোধ হল। হয়ত উনাকে এতো বেশী পছন্দ করি বা ভালবাসি আজও যার দরুন আমি নিজেও এই পর্যন্ত কোথাও ঘুষ দিতে পারিনি ।
আমি হয়ত বোকা অথবা এ যুগের জন্য অচল । তবে তারপরও বাবার আদর্শ ধরে রাখতে চাই আমৃত্যু ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৫:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



