somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষিকার এ কী কান্ড !:|/:)X(:-*:((

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

:|
/:)
:|
/:)X(
:((:((:((

মুহাম্মদ সামি উল্লাহ শাহেদ,বয়স ৯ কি ১০ বছর।
চার বছর বয়সে পিতা হারিয়েছে। মা অসুস্থ,দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত।
শিশুটি পিতৃ স্নেহ- তেমন পায়নি। মায়ের অসুস্থতার কারনে মাতৃ স্নেহ থেকেও বঞ্চিত।
এ প্রতিকূলতায়,এতিম-অনাথ এই বালকটি পথভ্রষ্ট হয়ে যাবার সম্ভবনাকে দূরে ঠেলে, আজ সে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। ছাত্র হিসাবে মন্দ নয়।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে 'ম'আধ্যক্ষরিত বিদ্যাপীঠ নামক একটি বেসরকারী বিদ্যালয়ের ছাত্র। শিশুটির করূন অসহায়ত্বতার কারনে তার দায়িত্ব নেয়-এক নিকটাত্বীয় পরিবার। শিশুটির যত্নআত্তি,অসুখ বিসুখ,লেখাপড়ার রসদ যোগায় এ পরিবার।এ পরিবারই তার বর্তমান অভিবাবক।

সেপ্টেম্ভর'২০১২ মাস। শিশুটির বিদ্যালয়ে যাবার জুতাটি ছিড়ে গেছে। বিদ্যালয়ের পোষাকের অংশ সাদা রঙের জুতা (কেডস)। কিন্তু বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের সাদা রঙের কেডস এর পরিবর্তে বাহারী রঙের,ডঙের বা ডিজাইনের কেডস পরে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায় বলে অভিবাবক ভাবলেন,একটু সাশ্রয়ী ব্যবহারের কথা। কোন বাহারী রঙ বা ডঙ নয়। "সাদা রঙের মাঝে নীল রঙের আচড়" মিশ্রিত ডিজাইনের কেডস কিনলেন। শিশুটি এই কেডস পরেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছিল।
অক্টোবর মাস এর প্রথম সপ্তাহ,'২০১২। একদিন শ্রেণীশিক্ষকা শিশুটির পায়ে ভিন্ন রঙের কেডস কেন-এ কারনে শ্রেণীতে শাস্তি দিলেন (ভিন্নরঙের কেডস কেনার দায়ে অভিবাবকের শাস্তি হওয়া উচিত ছিল) এবং এক পর্যায়ে শিশুটির পায়ের কেডসটি খুলে নিলেন।ছুটির পরও কেডসটি ফেরত দিলেন না।
শিশুটি বাধ্যগত। নিশ্চুপ। নিরূপায়। অপমান বোধ শিশু মনে তাকে আঘাত করল।
বিদ্যালয়ের ছুটির পর- ঢাকার নোংরা আবর্জনা মিশ্রিত কংকরময়- রাস্তা দিয়ে নগ্ন পায়ে হাটতে শুরু করল। পথে ইটের টুকরার আঘাত পেয়েও চোখে পানি আনলো না। পাছে যদি রাস্তার মানুষ দেখে ফেলে।
বুক ফাটা কষ্ট নিয়ে বাসায় ফিরল। বাসায় ঢুকেই নিরব। নিথর।
চোখ লাল হয়ে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। মুখে কোন শব্দ নেই। কি হয়েছে বলছে না। চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি ঝড়ছে।
হঠাত চিতকার দিয়ে উঠল। কান্নার শব্দ তীব্রতর হয়ে উঠল।
মনে তার খুব কষ্ট। বাধভাঙ্গা ক্ষোভ। না পাওয়ার বেদনা।

আজ কেন আব্বু নেই। বন্ধুদেরতো আব্বু আছে। আমার কেন নেই।
আব্বু থাকলে তো আজ শ্রেণী শিক্ষিকা এমন ব্যবহার করতেন না। বন্ধুদের আব্বুর মতো, আমার আব্বু- আমাকে অনেক অনেক কেডস কিনে দিতেন। মজার মজার খাবার কিনে দিতেন,চকলেট আইসক্রিম কিনে দিতেন,রঙ পেন্সিল কিনে দিতেন,গল্পের বই কিনে দিতেন। আরো কত কি। কত আকুতি। বুকভরা আহাকার,কষ্ট। তার যেন কেউই নেই।

না পাওয়ার বেদনা আর শ্রেণী শিক্ষিকার বিরূপ আচরণ ও আন্তরিকতার অভাবমূলক ব্যবহার শিশুটিকে ব্যথিত করবে এ জ্ঞানটুকু হয়ত ঐ শিক্ষিকার নেই। শিক্ষিকার অক্ষর জ্ঞান রয়েছে কিন্তু মানবিক জ্ঞান শূণ্য এ কথাটি তিনি তার ব্যবহারেই প্রকাশ করেছেন।
তাঁর মাঝে একজন আদর্শ শিক্ষকের গুনাবলীর যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
একজন আদর্শ শিক্ষককে বিভিন্ন ধনাত্বক গুনে গুনান্বিত হতে হয়। শিক্ষাদানের আচরন,নিয়ম-নীতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে হয়। অর্জন করতে হয় দূরদর্শিতা। প্রজ্ঞা আর জ্ঞান এ অধিষ্ঠিত হতে হয়। স্নেহ ভালোবাসা মিষ্টিকড়া ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠদান করাতে হয়। শিক্ষককে ব্যক্তিত্ববান হতে হয়। তাঁর ব্যক্তিত্বপূর্ন আচার অচরন,ব্যবহার,আদর্শ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহন করবে। শিক্ষকই হন ছাত্রদের আদর্শ।আর সেখানে যদি উল্লেখিত অনভিজ্ঞ,অনুপোযুক্ত, শিশু সাইকোলোজি বিষয়ে বুঝহীন শিক্ষিকার ন্যায়,বিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকেন-সেখানে ছাত্রছাত্রীরা কী শিখবে-ভাবতে অভাব লাগে।
তা'ছাড়া অনভিজ্ঞ,জ্ঞানহীন,প্রজ্ঞাহীন,বিবেকহীন,অবিবেচক-কিছু শিক্ষকদের কারনে শিক্ষক সমাজ কুলসিত।সেজন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,গভনিং বডির সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের উচিত-সঠিক যোগ্যতা,উপযুক্ততা যাচাই বাছাই করে,যোগ্য,অভিজ্ঞ,যথাযথ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত,প্রজ্ঞাবান,জ্ঞানী শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া। তাতে অন্তত আগামী প্রজন্ম আরো সুন্দর সুশিক্ষিত পৃথিবী উপহার দিতে পারবে।

আর সেজন্য বিবেকহীন,অনভিজ্ঞ আলোচ্য শিক্ষিকাদের মত শিক্ষক শিক্ষিকাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া দরকার। যেন তাদের দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীরা নিগৃত, লাঞ্ছিত, নির্যাতিত, না হয়।




ব্লগার ভাইদের নিকট বিশেষ অনুরোধ- অন্তত একটি কমেন্ট করুন।
যাতে শিক্ষক শিক্ষিকা সহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, গভনিং বডির সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নজর কাড়ে।
ধন্যবাদ।
২০ অক্টোবর'১২ইং




সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:৫৮
৩৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×