somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা সিনেমা, শুধুই কি একটি সিনেমা!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে এখানে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার নিয়ে আলোচনা করব না। করান ইতিমধ্যে অনেকেই এটা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা করেছেন। আমি অনেক সময়ই একটু নেগেটিভ চিন্তা করি, খুব সাধারন বিষয়কে মনে হতে থাকে '' ওরে বাবারে কি ভয়ংকর। সামুর ইদানিংকার আলোচনা থেকে হঠাৎ এরকমই একটা চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। চিন্তাটা এখনও অগুছালো তারপরও আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না।
আমরা যদি এভাবে দেখি, এক জন পরিচালক মনে করি তার নাম এক্স। তিনি একের পর এক সুন্দর সুন্দর সিনেমা তৈরী করছেন, সেখানে তুলে আনছেন সমাজের বর্তমান অবস্হা। হাসির ছলে উড়িয়ে দিচ্ছেন ভয়ংকর কিছু ব্যাপারকে। যেন অনেকটা এরকম এটাতো এ যুগেরই ট্রেন্ড, তাই ব্যাপার না। দেশটা এদিকেই যাচ্ছে, তাই এগুলোকে মেনে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কেমন হবে ব্যাপারটা? একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করি:

একটা সোসাইটি ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে তার অনেক কিছুই কিন্তু নির্ভর করে মিডিয়ার উপর। একটু চিন্তা করুন কোন একটা আন্দোলনকে বা পরিবর্তনকে যদি মিডিয়া সাপোর্ট না দেয় তবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে কিন্তু অনেক পরিশ্রম করতে হয়, এমনকি তা বানচাল ও হয়ে যেতে পারে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন গুলোর দিকে দৃষ্টি দেন।

দেখেন ভাই একটা সময় ছিল যখন একটা ছেলে যদি একটার বেশি দুইটা মেয়ের সাথে ফস্টি নষ্টি করত তখন আমাদের মিডিয়া গুলো তাকে লুচ্চা হিসেবে উপস্হাপন করত।একই সাথে আমাদের সমাজ ও। কিন্তু আজকে এই ধরনের লোক গুলোকে দেখনো হয় বস হিসেবে, মানে আইকন হিসেবে। আর যারা জিনিস গুলোকে হালকা ভাবে নেয় তারা এটাকেই ট্রেন্ড মনে করে চর্চা করতে শুরু করে। আর তাই চলছে এখন।

আজকে যদি মিডিয়া বলতে শুরু করে রাজাকেররাই হল মুক্তিযোদ্ধা তবে একসময় নতুন প্রজন্ম কিন্তু তাই বিশ্বাস করতে শুরু করবে। (আশা করি কখন ও হবে না) ব্যাপারটা হল মিডিয়ার শক্তিশালী উপস্হাপনা।

আমাদের দেশে ডিস কলচার আসার পর আমাদের অর্র্থনীতির কি কোন উপকার হইছে? নাকি পরিবর্তন হইছে শুধু পোষাক আর ব্যবহারের? অথবা নষ্ট হচ্ছে কিছু মূল্যবান সময়?

আমরা দাবি করি আমরা নাকি আধুনিক হচ্ছি। এই আধুনিকতার সংঙ্গা কি?

আধুনিকতা মানে কি খোলাখুলি ভাবে যৌনতার উপস্হাপনা। জাতীর মুল্যবোধের অবক্ষয়। দূর্নীতিতে ১ম হওয়া, সমাজিক ও রাজনৈতিক অস্হিরতা?

বিনোদন কি নেষা না অবসর কটানো উপকরন?

আজকে আমাদের বিনোদন শুধু নিছক বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এর মাধ্যমে পাস করা হচ্ছে কিছু মেসেজ, চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিছু অদ্ভুত আচার আচরন, যা কিনা মোটেও আমাদের কৃষ্টি কালচার বা পরিবেশের সাথে খাপ খায় না।

এখনকার প্রত্যেকটা নাটক আর সিনেমার খিনী মোটামুটি একই রকম, আপনি একটু খেয়াল করে দেখলে শেষটা বলে দিতে পারবেন। তারা কি শিক্ষা দিচ্ছেন আমাদের?

প্রত্যেক চ্যানেলে খোজা হচ্ছে সেরা কন্ঠ, সেরা মুখ, সেরা নায়ক নায়িকা। খুব ঘটা করে এদর কে সামনে উপস্হাপন করা হচ্ছে। বানানো হচ্ছে রোল মডেল আর দেখান হচ্ছে হঠাৎ করে ফেমাস হওয়ার স্বপ্ন, সথে টাকা বাড়ি গাড়িতো আছেই। অনেকেই অন্ধের মত ঝাপিয়ে পড়ছেন এটার পিছনে। সাথে দর্শকরা ও জীবন বাজি রেখে করে যাচ্ছে ভোটের পর ভোট। এস এম এস এর টাকাটা অবস্য যাচ্ছে আপনার আমার পকেট থেকেই। এত কিছুর পর যিনি প্রথম হচ্ছেন কয়েক বছর পর তার ও কোনও খোজ খবর থাকে না।

দিনের শেষে আমাদের জাতীয় জীবনে কি যোগ হচ্ছে???
শুধু মনে হয় একটা শূন্য।

এত কষ্ট করে তারা এইসব প্রতিভা বের করেন, কিন্তু কি আশ্চর্য তাদের চোখে পড়ে না সেই ছেলেটাকে যে পানি দিয়ে গাড়ির ইন্জিন চালানোর কথা বলে। অথবা লিপুকে যিনি এত চেষ্টা করেও তার গড়ির একটা কারখানা এদেশে করতে পারলেন না।
তারা মনে হয় ভয় পান পছে যদি এই দেশটা এগিয়ে যায়, বের হযে যায় হাতের মুঠো থেকে।

আজকে তরুনরা মেতে আছে মদ, মেয়ে মোবাইল আর নেষা নিয়ে। তারা চিন্তা করতে ভুলে যাচ্ছে, অবস্য চিন্তা করার সময়ই বা কোথায়? নিয়ে যাক না কেউ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, আসুক দেশে আমেরিকান আর ভারতীয় সেনারা আমার কি, চাল ডাল আর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে দাম বাড়লে আমার কি করার আছে। কম্পিউটার পার্টস আর মোবাইলের দামতো বাড়েনি, বরং কমেছে, তাছাড়া সিগারেটের দাম বাড়লে চিন্তার বিষয়।

কারন আমরা চিন্তা করলে সে বিসয় গূলো জেনে যাব, যা একটি চক্র আমাদের জানতে দিতে চায় না।
আমরা জেনে যাব আমাদের মানব সম্পদ কিভাবে ব্যাবহার করা যাবে, কি পরিমান তেল গ্যাস আছে আমাদের, কিভাবে আমরা তা তুলতে পারব, কিভাবে আমরা হতে পারব খাদ্য রপ্তানি কারক একটি দেশ।
আমরা একটা সুন্দর গার্লফ্রেন্ডের কথা খুব সহজেই চিন্তা করতে পারি, কারন আমদের মিডিয়া আমাদের শুধু এসব রঙ্গিন স্বপ্ন দেখায়।
আজকে আমরা কিসের আসায় কিসের নেষায় কেন অন্ধ হয়ে ছুটছি?

কিন্তু কেন ও আমরা দুঃস্বপ্নেও চিন্তাকরতে পারি না, অতীতে আমরা পকিদের হারিয়েছি যুদ্ধ করে, আমরা প্রয়োজন হলে আবার হারাব আমেরিকাকে, ছিন্ন ভিন্ন করে দিব ভারতকে। চিন না আমরাই হব ভবিষ্যৎ এর সুপার পাওযার



সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৬
৩৩টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×