somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুটবল বিশ্বকাপ-২০১৪:আমার ফুটবল দর্শন এবং ইদানিংকার ফুটবল বোদ্ধাদের অন্ধ সমর্থন ও একখানা 'ব্রাজিল-নামচা'! শিরোপা জেতার আগে...

২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চলছে ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ সবচেয়ে নজরকাড়া, সবচেয়ে আলোড়ন ফেলা, সবচেয়ে জাকজমক পূর্ণ, সবচেয়ে ব্যয়বহুল, সবচেয়ে চমকপ্রদ, সবচেয়ে গুরুত্ববহ এবং অর্থবহ আসর কিংবা আয়োজনটি-বিশ্বকাপ ফুটবল!
সারা দুনিয়ার ক্রিড়াভক্ত, ক্রিড়া অনুরাগী এবং ক্রিড়ার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিটা মানুষেরই সবচেয়ে আকাংখিত ক্রিড়ায়োজন ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল!! আমি নিজেও এর বেক্তিগত ভাবে এর থেকে দূরে সরে থাকতে পারিনা, তাই খেলা দেখছি, যেমন দেখতাম, দেখছে সারা বাংলাদেশই, দেখছে সারা বিশ্ব... সমরথন দিচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, মন্তব্য করছে, আলোচনা সমালোচনা সবই করে যাচ্ছে লাগাতার...

অনলাইনে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে প্রথম পোস্টটা দিয়ে দিলাম তাই নিজের মতাদর্শ এবং চিন্তা ভাবনাসহ ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, চিন্তন এবং কথকতার আলোকেই নিজের পছন্দ অপছন্দ এবং আশপাশের ফুটবল ভক্ত এবং সমোঝধার সত্তাগুলোর সাথে র যাবতীয় মিথস্ক্রিয়ার আলোকেই..






আধুনিক ফুটবল এখন স্ট্র্যাটেজির কারণে অনেক ঘরানায় পরিণত। কেউ আছে হল্যান্ডের ঘরানার টোটাল ফুটবল খেলে। কেউ আছে ইত্যালির মতো ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে। কেউ আছে আফ্রিকান দেশ তথা নাইজেরিয়ার মতো পাওয়ার ফুটবল খেলে। ইংল্যান্ড খেলে ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবল। ল্যাটিন আমেরিকার দুই খ্যাতিমান দেশ ও চিরবৈরী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই ধরনের ফুটবল খেলে। ব্রাজিলের খেলাকে 'জোগো বনিতো' বলা হলেও আর্জেন্টাইন ফুটবলশৈলীও ল্যাটিন সুষমামণ্ডিত। ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, ইংল্যান্ড খেলে স্পিডি ফুটবল বা গতিময় ফুটবল। জার্মান খেলে মধ্য মাঠ নির্ভর ফুটবল। তাদের মধ্য মাঠের মূল সেনানীই হলো লিবেরো। কলম্বিয়ানদের ফুটবলে গোলকিপারও স্ট্রাইকার হয়ে যায় ক্ষেত্র বিশেষে। পর্তুগালের ফুটবলে ইউরোপীয় ও ব্রাজিলীয় শৈলীর শংকরায়নের দেখা মেলে। এশিয়ান দেশগুলোর ফুটবলে ঘাটতি অনেক। না তারা শৈল্পিক, না তারা শক্তিধর। তাদের না আছে গতি না আছে তুখোড় রণকৌশল। তারপরও এশিয়ানরা মিশ্র ঘরানার ফুটবলে পারদর্শী হয়ে উঠেছে বিদেশী কোচের বদৌলতে।

ফুটবল বিশ্বে ১৯৫৮ সালে এক কালো মানিক শিল্পীর উত্থানে বেড়েছে গ্ল্যামার। পেলে নামের জাদুকরি ফুটবল শিল্পীর ছোঁয়ার ফুটবল আর ক্রীড়াতে আটকে না থেকে হয়ে গেছে শিল্প। সেই যাদুশিল্পী কালো মাণিকের নাম "পেলে" পেলের দেশ ব্রাজিল সেই শিল্পের ধারক-বাহক-জনক। ফুটবল বিশ্ব আজ তাই দু ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ ব্রাজিলের মতো ফুটবল খেলে আর অন্যভাগ ব্রাজিলের মতো খেলে না। ফুটবল শিল্পের জনক ব্রাজিলের খেলাকে তাই ডাকা হয় 'জোগো বনিতো' বা 'সুন্দর ফুটবল' বলে।

ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা দল ১৯৭০ এবং ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের দল দুটি। ১৯৭০-এ পেলে খেলেছেন শেষ বিশ্বকাপ। পেলে, তোস্তা, রিভেলিনো , জাগালো, গ্যারিঞ্চা, ভাভা- সব বিখ্যাত খেলোয়াড়ে ঠাসা দলটি তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে জুলেরিমেকে আটকে রাখে ব্রাজিলে। এরপর হতে নতুন কাপের প্রবর্তন হয়। প্রবর্তিত হয় ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ। ১৯৮২-এর ব্রাজিল দলে ছিলো এক চিকিৎসক-দার্শনিক খেলোয়াড়- "সক্রেটিস"। ছোট ছোট পাসে খুব নান্দনিক ফুটবল খেলতেন। তিনিই দলপতি। ছিলেন সাদা পেলে খ্যাতির মহাতারকা "জিকো"। ছিলেন "ফ্যালকাও"। কিন্তু সেই দলের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েনি। পাবলো রসির দানবীয় উত্থানে ইতালির কাছে ধরাশায়ী হয়ে বিদায় নেয় ইতিহাস সেরা ব্রাজিলের জোগো বনিতোর ধারকেরা।

এরপর ফুটবল দুনিয়া বোধহয় অপেক্ষায় ছিলো কোন অভাবনীয়, অচিন্তনীয়, রোমাঞ্ছকর অসাধারণ যাদুকরী ফুটবল দেখার ...
হুমমমম!!!
ফুটবল বিশ্বকে সত্যিই আর বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ...
সেই কালোত্তীর্ণ ফুটবল যাদু সুষমা এসে গিয়েছেলো, ধরা দিয়েছিলো সারা দুনিয়া মাতিয়ে দিয়ে কালজয়ী এক আর্জেন্টাইন যাদুকরের পায়ে ...

নাম তাঁর "ডিয়েগো ম্যারাডোনা"। ক্যাম্পাসের ১৯৭৮ সালের সাফল্যের পর কার্লোস বিলার্দোর শিষ্য ম্যারাডোনাই ১৯৮৬তে আর্জেন্টিনাকে এনে দেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপা - বিশ্বকাপ। একরকম একাই অসামান্য যাদুকরী স্কিল আর স্পিড দেখিয়ে ঝাঁজ লাগিয়ে দিয়ে মোহনীয় দক্ষতার ঘোর লাগিয়ে সারা ফুটবল বিশ্বের চোখে আর্জেন্টাইন শিল্প সুষমা মন্ডিত ফুটবল কে নিয়ে যান আরো আরো বহু বহু উচ্চতায়। কিন্তু এই ক্ষণজন্মা ফুটবল যাদুকর বেশিদিন খেলতে পারেননি! খুবই অল্প সময়ে লাঞ্ছনা নিয়ে(!) একরকম জোড় করেই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ফ্লাডলাইটের আড়ালে!! ১৯৯০-এ এসে ধরা পড়ে যায় ডোপ কেলেঙ্কারী।

একক নৈপুণ্য অবশ্য ফুটবল দুনিয়া দেখেছে আরো আগে থেকেই। দেখেছে শুধু দুটো পায়ে ধরা দেয়া অসামান্য অভাবনীয় ছন্দকল্পের এবং যাদুশিল্পের মিশেলের দক্ষতায় ফুটবল আসরের সবচেয়ে বড় কাপটি নিজের করে নেয়ার নৈপুণ্য, যাদুঝলক!
১৯৬৬ বিশ্বকাপে শিরোপা না জিতেও বিশ্বকাপের আলো যেন পুরোটাই কেড়ে নিয়েছিলেন "ইউসেবিও", ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ইয়োহান ক্রুইফ, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সাধারণ একটা দল নিয়েও মেক্সিকোয় আর্জেন্টিনার হাতে চলে আসে দ্বিতীয় শিরোপা "ডিয়েগো ম্যারাডোনার" পায়ের যাদুঝলকের সাথে সাথে, ১৯৯৪ তে একক নৈপুণ্য দেখান "রবার্তো বাজ্জো", ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ী দল হিসেবে ব্রাজিলের ঘরে যে শিরোপাটা যায় তার পায় পুরোটা জুড়ে যে ভুবন নন্দিত তারকা স্ট্রাইকার নাম তাঁর "রোমারিও ডি সুজা ফারিয়া" সংক্ষেপে "রোমারিও" -যার পায়ের ঝলকে, নিদারুণ দক্ষতায় এবং মনোমুগ্ধকর শিল্প কুশলের সাথে সাথে ব্রাজিল এক রকম উড়ে চলে যায় শিরোপার পথে। এই অসাধারণ স্ট্রাইকার এবং ফুটবল শিল্পী ফরোয়ার্ড ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল টিমে লেজেন্ড দের মধ্যে তৃতীয় যার অবস্থান ব্রাজিল ন্যাশনাল টিমের জন্য করেছেন ৫৫ টি গোল ৭০ টির ও বেশি এপ্যেয়ারেন্স থেকে, ব্রাজিলিয়ান লীগ ফুটবলে ২য় টপ স্কোরার করেছেন দেড়শোর ও বেশি গোল (১৫৪ টি), এবং বর্ণাঢ্য লিজেন্ডারি ফুটবল জীবনে ছুঁয়েছেন হাজার গোলের মাইলফলক, হয়েছেন ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও ...

১৯৯৮-এ "জিনেদিন জিদান"এর উত্থান ছিলো আরো একটি চমকপ্রদ ঘটনা ফুটবল দুনিয়ায়। ফ্রান্সের এই যাদুকরের পায়ে বিধাতা এমনই স্কিল ঢেলে দিয়েছিলেন যে ২০০৬ এর তারায় তারায় ভরা ব্রাজিল যেন একরকম স্তব্ধ হয়ে স্রেফ উড়েই গিয়েছিলো জিদান যাদুতে। কিন্তু শেষ অবধি ফিফা বর্ষসেরা এই মহাতরকারও সুন্দর শেষ টুকু হয়নি, ২০০৬ ফাইনালে ইতালিয়ান মাতেরাজ্জির সাথে মাঠের অযাচিত অশোভন কেলেঙ্কারিতে তাকেও বিদায় নিতে হয়।
২০১০-এ হট ফেভারিট হয়ে তারায় তারায় ছেয়ে আসে লাল স্রোতের টগবগে স্পেন। বিশ্ব জয় ও করে যায়। কিন্তু এতো জয়ের পরও ফুটবল খ্যাতির পুরোধা জুড়ে আজো এখনো আছে লাতিন আমেরিকান ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা ...
ওটুকু তাঁদের শোকেস থেকে আজো কেউ কেড়ে নিতে পারেনি, হয়তো পারবেও না অদূর ভবিষ্যতে ...


ব্রাজিল যেখানে যায় সেখানে যায় সাম্বা। আর এবার তো খোদ সাম্বার দেশেই হচ্ছে বিশ্বকাপ। তাই অনুপম, অতুলনীয় সাম্বা নৃত্যশৈলীতে ব্রাজিলের গ্যালারী বর্ণিল হয়ে উঠবে যা আর বলার অবকাশ রাখে না। ব্রাজুকা ফুটবলে তিন তিনটি ক্যামেরার সংযোজন শুধুই কি খেলাকে ধরার জন্যে?- অবশ্যই নয়। এতে স্বাভাবিক ভাবেই আঁচ করে নেয়া যায়, যে গ্যালারির ক্যারিশমাও ফুটে উঠবে নান্দনিক হয়ে।

মাঠে যখন হলুদ-সবুজের শিল্পীরা ছোট ছোট পাসে কিংবা দৌড়ে দৌড়ে ছন্দময়তায় ফুটবলকে শাসন করে রচনা করে শিল্পকর্ম তখন মনে হয় ফুটবল খেলার চেয়ে সহজ কাজ পৃথিবীতে আর নেই। প্রতিপক্ষের গোলকীপারের সামনে এসে ব্রাজিলীয় শিল্পী যখন নিজে গোলে শট না নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থকে ঠেলে দেয় তখন একাকী গোলরক্ষক বোকা বনে যান। এ-ও কি সম্ভব? এটা যে ব্রাজিল, সম্ভবতো তার হতেই হবে। বিশেষত ইউরোপিয়ান কিংবা আফ্রিকান উভয় ফুটবলেই যেখানে একক কিংবা দ্বৈত নৈপুণ্য কথা বলে, যেখানে কথা বলে সেলফিশ ফুটবল ব্রাজিল সেখানে ফুটবল মাঠকে করে ক্যানভাস। অনেকটা সময় নিয়ে মনের খুশিমত রং চড়াতে থাকে ইচ্ছেমত, যেদিকে যখন খুশি, এ যেন একরকম শিল্পই! আঁকতে থাকে নিখুঁত আক্রমণ সুষমা, কখনোবা গোল তকমা, মাঝমাঠের চোখ ধাঁধানো পায়ের সিম্ফনি বলের উপর, মুহুর্মুহু ঝলক কিংবা রুদ্ধ প্রাচীর ডিফেন্স আর্ট ...

আপনার চোখ জুড়ে রাজ্যের ঘুম নামতে পারে, আপনার দেহ ক্লান্ত হতে পারে, আপনার শ্রান্ত চিত্ত ক্লিষ্ট থাকতে পারে, কিন্তু ফুটবল মাঠে ব্রাজিলকে দেখতে থাকলে আপনি কাঁপতেই থাকবেন জ্বরে- এ জ্বর মন মাতানো শিল্পের জ্বর, এ জ্বর চোখ ধাঁধানো আর্টের জ্বর, এ জ্বর নান্দনিকতার জ্বর, এ জ্বর মোহনীয় ফুটবলের জ্বর, এ জ্বর জোগো বনিতোর জ্বর আর এর জন্যই দর্শক মাতোয়ারা হয়, আপ্লুত হয়, তৃপ্ত হয় ... জোগো বনিতোর ওই সুন্দর ফুটবলের জন্যে আর গ্যালারীর সাম্বা শৈলীর জন্যে মিশেলের জন্য। আপনি যেই হোন, ব্রাজিল আপনাকে জাগাবেই ...



























ব্রাজিলের গত ম্যাচের গোলধামাকার পরে অনলাইনে বিশেষত ফেসবুকের জয়োৎসব দেখলাম।
দেখলাম আর্জেন্টাইন, জার্মান, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান সাপোর্টারদের নানারকম কথাবার্তা, ইঙ্গিত, তর্ক বিতর্ক। দেখলাম আজকালকার অন্ধ ব্রাজিল সাপোর্টারদের ভাবসাব তুলোধুনো ইত্যাদি এবং ইত্যাদিও!

উহারা গোল আর জয়েই 'সুন্দর-ফুটবল' খুঁজে পাচ্ছেন(!) অথচ "জোগো-বণিতো"র ধারকবাহকদের, 'সুন্দর-ফুটবল' এর তকমা আঁটা তারাদের কিংবা নান্দনিক মোহনীয় ব্রাজিলীয় ফুটবলের ছায়া আমি এই ব্রাজিলে খুঁজে ফিরছি, কিন্তু আফসোস... দেখছিনাহ!

এই দলে ভারসাম্য নাই, ছন্দ নাই, ধারাবাহিকতা নাই, টাইমিং ঠিক রেখে নিখুঁত পাস-ক্রস ডেলিভারি রিসিভিং কিংবা ফিনিশিং প্রায় সবই হযবরল, অনেককিছুই লেজেগোবরে, বেশিরভাগই ভারসাম্যহীণ। বলকে দুটো পা দিয়ে কথা বলানোর যে ব্রাজিলীয় ঐতিহ্য তাই এই দলটায় বোধহয় ধোঁয়াটে। আমি মোহনীয় ভিনগ্রহের সেই ফুটবল নির্যাশ এদলটায় দেখিনা- স্ট্রিক্টলি স্পিকিং।।

সবচেয়ে নির্মম সত্য হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাপের মত আসরে সাফল্যের ছাপ রাখা এবং শিরোপাজয় উভয়েই যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হচ্ছে -চাপ নেয়ার ক্যাপাবিলিটি এবং দক্ষতার সাথে তার যথার্থ মোকাবেলা নৈপুণ্য --যা এই দলটায় একেবারেই অনুপস্থিত!

এই দলটায় টান আছে, কিন্তু তা ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলের টান, ব্রাজিলিয়ান এটাকের বিন্দুবিসর্গও আমি এদলটায় দেখছিনা। এদলের ওই ভারসাম্যহীন এটাকিং লাইনের পুরোটা জুড়ে আছে একজনই বলতে গেলে-নেইমার। অথচ, "ব্রাজিলীয়ান-ফুটবল" বলে যে জিনিসটাকে আমি দেখেছি তা কখনোই 'ওয়ান-ম্যান-আর্মি' টাইপ কিছুনাহ! 'ওয়ান-ম্যান-আর্মি' টাইপ কিছুনা বলেই কালোমানিক কিংবদন্তী পেলেকেও শুনতে হয়েছে "কৈ এর তেলে কৈ" ভাজার অপবাদ। যা কিন্তু আপনারা ফুটবল বোদ্ধা ব্রাজিল সমালোচকরাই দিয়েছিলেন।
পেলের কালোত্তীর্ণ ভুবন ভোলানো অমর যাদুকরী স্কিলের ঝাঁঝ ইতিহাস থেকে কমাতে আপনারা ফুটবল বোদ্ধারাই বলেছেন, "সে ছিলো চমৎকার সব মুক্তাখচিত অর্ণামেণ্টের মাঝে বসানো একটা বিরল গোলাপি মুক্তাদানা যা ঝলক দিচ্ছে"।

সেখানে অস্বাভাবিক দক্ষ সব সতীর্থদের সাথে নিয়ে বিশ্ব জয়কে দেখিয়েছেন তাঁর একার কৃতিত্ব নয় বলে তুলনায় উঠিয়ে এনেছেন পরের প্রজন্মের আরেক ভুবন নন্দিত অমর কিংবদন্তী ম্যারাডোনাকে এবং যেহেতু ম্যারাডোনা প্রায় সম্পূর্ণ একার প্রচেষ্টায় একটা দলকে টেনে নিয়ে গেছেন এতোটা ওপরে সেহেতু ওই হাস্যকর কম্পেরিজনে তাকেই জয়ী ঘোষনা করেছেন এবং করেনও! আপনাদের সহায় হয়েছে ওয়েল অরগানাইজড মিডিয়া ফ্যাসিলিটি, ভিডিও ফুটেজ এবং ক্যামেরা -যার প্রায় কিছুই ছিলোনা পেলের সময়।

আমি ওই কম্পেরিজনটাকে হাস্যকর কেন বলছি জানেন? কারণ, অমন ক্ষণজন্মা দুই কিংবদন্তীর তুলনা করাটা বোকামি ছাড়া কিছুনয়! হয়তো আগামী সহস্র অব্দেও ফুটবল দুনিয়ায় অতুলনীয় ঠিক ওই রকম দুজন ফুটবল জাদুকরের মুখ দুনিয়া দেখবে কিনা সন্দেহ আছে যথেষ্ঠই।।

উজবুকদের ওই পেলে–ম্যারাডোনা ভোটাভোটির অবতারণা এখানে তাদের অবতীর্ণ ওই যুক্তিটা দিয়েই তাদের আবারো একটা জিনিস মনে করিয়ে দেবার জন্যই, এই সেই জোগো-বনিতোর দেশ যার কোচদের আজীবনই সেই মধুর সমস্যা টায় ভুগতে হয়েছে, এতো কোয়ালিফায়েড এতো ক্লাস, স্কিলের এতো ক্যাটাগরি ব্রাজিল মাতার জন্ম দেয়া খুদে খুদে পা জোড়ায়, যে কোন দুজোড়া পা কে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে কোন দুজোড়া কে মাঠে খেলাবেন...
এক চিরন্তন ব্রাজিলীয় দ্বন্দ, এক মিষ্টি যন্ত্রণা। এবারের দলটির দায়িত্বে থাকা অভিজ্ঞ কোচ লুই ফিলিপ স্কলারিও যার আঁচ অন্তত দুবার পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই। কিন্তু, বাস্তব সত্য টা হচ্ছে, এই এবারের সাইড বেঞ্চ টা নিয়ে তাঁর বোধহয় না খুব একটা দ্বন্দে ভুগতে হচ্ছে বা হবে!






ব্রাজিলের গতকালকের গোলধামাকার পরে একনিষ্ঠ এক ফুটবলবোদ্ধা ব্রাজিল সাপোর্টার ভ্রাতা কহিলেন, এখন যুগ পাল্টেছে, এখন সময় মিডিয়া এনালাইসিসের। সফল ফুটবল টিম হবার জন্য সেই সেযুগের নিখুঁত ফিনিশিং লাগবেই, কিংবা সে যুগের মত হলেই ভালো, নইলে খারাপ তেমনটা নয়! ফুটবল বোঝার জন্য এখন অত স্কিলের দরকার নাই! ভালো ভিডিও এনালাইসিস ই যথেষ্ঠ! আমি এই খেলায় পিউর ব্রাজিলীয় এটাক নৈপুণ্য দেখছি, যা গত ম্যাচেও দেখা যায় নি! হোপ সো, ব্রাজিল টিম উইল কেরি অন ইন অর্ডার টু গো ফরোয়ার্ড আপহোল্ডিং দিজ স্ট্র্যাটেজি!

বললাম,

আমিও ব্রাজিল সাপোর্টার, কেন জানেন? -আমি মৌসুমি-হুজুগে-মূর্খ ফুটবল ভক্তদের মাঝে পড়ি না। আমি হুজুগে ভক্তদের অন্ধ কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে নাই।
আমি ব্রাজিল সাপোর্টার, কেন জানেন? -আমি সবচে চড়াই উৎরাই আর উজান ঠেলে হৃৎপিণ্ডে ফুটবল আঁকা দলটার সাফল্যের নয়, ভক্ত তাদের পায়ের স্কিলের।
আমি ব্রাজিল সাপোর্টার, কেন জানেন? -ব্রাজিল জেতে বলে নয়! ব্রাজিলের ঝুলিতে সবচে বেশি শিরোপা আর হিস্টোরিক্যাল ডোশিয়ারে সবচেয়ে বেশি তারকা ফুটবলারের পদধূলি বলেও নয়!

আমি ব্রাজিল সাপোর্টার ক্লাব ফুটবল আর পাওয়ার ফুটবলের দিকে ঝুঁকে পড়া বিশ্বে এই একটা দলই আছে যাদের পায়ে কথা বলেনা হিট, কথা বলে ছন্দ, কথা বলে ভিনগ্রহের ফুটবল। যাদের জন্ম এমন কোন জায়গায় যেখানে পাওয়ার আর ক্লাব ফুটবলের জনক, আর লালনকারিদের মত সাজানো প্লে গ্রাউন্ড নাই! নাই কোটি ডলার ঢালা ফ্লাড লাইট আর হেভিওয়েট গ্যালারী সজ্জিত সুপরিসর স্টেডিয়ামও। নাই উন্নত কোচিং সিস্টেম, নাই দামী বুট-জার্সি-বল। হুম অবশ্যই সময় পাল্টেছে। সেই সাথে পাল্টেছে সেদেশের অনেক কিছুই, এখন অনেক ফ্যাসিলিটি ইউরো ফুটবলের মতই সেখানেও এভেইল এবল যার কিছুই একসময় ছিলোনা। সাউথ আমেরিকার বিশেষত ব্রাজিলের ফুটবল মাতম তারও বহু আগে থেকেই...









“পিউর ব্রাজিলিয়ান এট্যাক” বলতে আপনি যা বুঝাচ্ছেন, আমি তার ছায়া খুজছি এখনো এই দলটায়। পিউর ব্রাজিলিয়ান ছন্দের যতটুকু এই দলটায় আছে তার প্রায় সবটাই জুড়ে আছে শুধু একজন ফরোয়ার্ড বা স্ট্রাইকার। বাকিদের পায়ে অনেকটাই ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলের টান। এই ব্রাজিলে আমি সেই ব্রাজিলের ছায়া এখনো খুঁজে ফিরছি-যা এখনো পাইনি সেভাবে-যা সত্যি। গোল মানেই সুন্দর ফুটবল না। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের যে সৌন্দর্য, তা এই দলের অনেক খেলোয়াড়ের পায়েই এখনো ফোটেনি, অনেকের হয়তো ফুটতে শুরু করলেও অসম্পূর্ণই বলবো। সবশেষে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে এই দলটা কতটুকু চাপ নিতে পারবে। সেখানে দরকার নিয়মিত ছন্দ আর অভিজ্ঞতার, যা এই দলে নেই বলতে...!

স্কিল এক জিনিস টান ভিন্ন জিনিস, বলের উপর দুটা পায়ের সিম্পনি তোলা আর পাসিং এক জিনিস পাওয়ার হিট নেয়া ভিন্ন জিনিস। সুযোগমত বল নিয়ে টান দেয়াটা ইউরোপিয়ান স্টাইল, ব্রাজিলিয়ান নয়। আমি কোনটাকেই ছোট করছিনা, খারাপ বলছিনা। তবে, "ব্রাজিলিয়ান সৌন্দর্য" কথাটায় একটু কথা থেকে যায় যে... ব্রাজিলিয়ান ফুটবল যে নান্দনিকতার দাবীদার তার মূলে তাদের প্রতিটা খেলোয়াড়ের সুদীর্ঘ এমনকি প্রায় সারা জীবনের সাধনা শুধু পায়ের সাথে বলের কথা বলাতেই। ওই জিনিস আমি কোথাও প্রায় কোন সফল ফুটবলেই দেখিনি। সবচেয়ে বড় কথা ওয়ার্ল্ড কাপের মত হেভিওয়েট দের আসরে চাপ নেয়াটা যেখানে স্বাভাবিক এবং তার সুদক্ষ সফল এবং নিখুঁত সুনিপুন মোকাবেলা করাটা যেখানে সাফল্যের প্রধান এবং প্রথম শর্ত সেখানটায় এদলটার স্ট্যাটাস আপ টু দ্যা মার্ক নয়।।

সাফল্য বলুন সুন্দর ফুটবল বলুন তার ব্যাক গ্রাউন্ড, তার বেস কখনই পাল্টে যায় না!
যেটা কোন যুগ কালের ব্যাপার নয়! যেটা ব্যাপার নয় কোন গুড ভিডিও এনালাইসিসেরও।। ব্যাপার সাধনার, ব্যাপার নিয়মিত ছন্দের, ব্যাপার এক্সপেরিয়ান্সেরও।

ব্রাজিল যখন এটাকে যায় তখন সেখানে তা একার টান থাকেনা, সেখানে বলের ওপর ছয় থেকে আট জোড়া পায়ের জাদুঝলক, নিখুঁত ড্রিবলিং, ক্রসিং এবং টাইমলি রিসিভিং আর সুন্দর মুহুর্মুহু এবং সাকসেসফুল পাসের মিশ্রণ থাকে-যেগুলো অনায়াসে যেকোন দূর্ভেদ্দ ডিফেন্স এবং গোলকিপারকে হতভম্ব করে দেয়, এবং দিতে সক্ষমও।।
এই দলটায় তার পরিবর্তে আছে ভারসাম্য হীন একক নৈপুণ্যের প্রচেষ্টা আর ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলের হিট! যাকে আর যাই হোক অন্তত ব্রাজিলিয়ান সৌন্দর্য বলতে চাইলে শুধু অত্যুক্তি না, ব্রাজিলিয়ান সৌন্দর্যের সাথে রসিকতাই হবে।।


















এ সৌন্দর্য এমনই যে আপনাকে মাতাবেই, এ সৌন্দর্য এমনই যে আপনাকে জাগাবেই, এ সৌন্দর্য এমনই যে আপনাকে রাঙাবেই ...





কি মোহনীয় ফুটবল শিল্পে , কি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী সাম্বার ছন্দে ছন্দে .............





























আমি বলছিনা লিজন্ডদের সমাহার মানেই ভালো ফুটবল!
আমি বলছিনা তারায় তারায় ভরা একাদশ মানেই মোহনীয় ফুটবল!
বলছি শুধু ফুটবলের সৌন্দর্য গোল হলেও সুন্দর ফুটবল মানেই গোল নয়!!

অস্বীকার করছিনা, ফুটবল ইজ ইন ইটস বিউটি হোয়েন ব্রাজিল প্লেইজ ইট।।
বাট, দিস ব্রাজিল টিম ইজন্ট শোয়িং আস দ্যাট স্টাফ ফর হুইচ দে আর বিলাভড!

ব্রাজিল সাপোর্টার হিসেবে খেলা শেষ হবার পর থেকে এই পর্যন্ত বিশাল ফেসবুক ফিডের প্রায় কোন স্ট্যাটাসই বাদ দেইনি। অন্ধ হযবরল চিতবাত, গাঁজাখুরি সাপোর্ট কিংবা নিজ ফেভারের মুগ্ধতার আতিশায্যে অন্যান্য দের হেয় করা, ইতরামি পূর্ণ বাক্যালাপ স্যাটায়ার রচনা সবই নোংরামি! স্কিপ করে গেলাম। পছন্দসই কয়েকটা পোস্ট পেলেও, একদম মনের মত কথাটা পেলাম এখানটায়...

এই ডিফেন্স আর ফ্রেড লইয়া কাপ যেতবে? কাপ চেনো যুবক?
সাবাস নেইমাররররররররর


-ব্লগার বাঙ্গাল







সবশেষে একটা কথাই শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই বিশ্ব উৎসবের আসর উপভোগ করছি ঠিক আছে, কিন্তু এই মহা আসরে আজো আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের নামটা উঠে আসেনি- যা আমাদের জন্য শত আনন্দেও সবচেয়ে দুঃখজনক, এবং ভাববার বিষয়! সুদূর পাশ্চাত্যের যেই দেশগুলির খেলা আমরা দেখছি, যাদের সাফল্যে এতো আনন্দবোধ করছি, যাদের ব্যর্থতার জন্য আক্ষেপ হচ্ছে চিন্তা হচ্ছে, আদৌ কি তারা আমাদের কথা ভাবছে বা ভাববে!? আমাদের এই হৃদয়ানুভূতিতে তাদের উপকার হোক না হোক জাতি হিসেবে আমাদের কোন উপকার নিহিত নেই।।

অতএব, সব সার্থক হবে সেদিনই যেদিন আমাদের লক্ষ্য প্রাণের ত্যাগ আর রক্ত বিসর্জনের পর অর্জিত ওই লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব নন্দিত এমন আসরে উত্তোলিত হবে গর্বের সহিত। সেদিনই আমরা ক্রিড়া প্রেমী হিসেবে সার্থক হবো তার আগে নয়।।











অতএব, আমাদের জন্মদাত্রী মাতা এই সুন্দরতম দেশটি আজ ওই ফুটবল আসরে নেই বলে আমরা হয়তো অজানা ভিনদেশী ওই দূর দেশগুলোকে নিয়ে এতোটা উচ্ছসিত এতোটা উল্লসিত! সমর্থন দেই ভালো কথা, কিন্তু দেশ জুড়ে থাকুক হৃদয় মঞ্জিলের সবটুকোয় ... এতকিছুর মধ্যে মাতোয়ারা হয়ে দেশীয় ফুটবলটাকে যেন ভুলে না যাই ... কামনা এটুকুই




সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৪
৪৫টি মন্তব্য ৪৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×