somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি অতিপ্রাকৃত ঘটনার ব্যাখ্যা আবশ্যক

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ভূতে বিশ্বাস করি না। কেউ ভূতের গল্প বললে আমি তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা / যুক্তি দেয়ার চেষ্টার করি। কিন্তু আজ এক পরিচিত মেয়ে আমাকে তার নিজের জীবনের যে গল্প শোনাল, আমি আমার জীবনে গল্প ছাড়া পরিচিত কারও পরপর ঘটে যাওয়া এতগুলা অতিপ্রাকৃত ঘটনা শুনিনি।
আমি এর ব্যাখ্যা দিতে পারছি না। কিন্তু ব্যাখ্যাটা আমার ভীষণ প্রয়োজন কোন এক কারণে, ভীষণ। ওর গল্পটা বলি-

ও টঙ্গিতে থাকে। পড়াশোনা করছে ইডেন কলেজে থার্ড ইয়ারে। যখন ওরা আগের বাসায় (টঙ্গিতেই, বর্তমান বাসা থেকে একটু দূরে) থাকতো তখনকার ঘটনা। বাসায় উঠার কিছুদিন পর থেকেই জানালায় ঘষার আওয়াজ পেতো। বিশেষ করে ওর রুমে। ভাবতো চোর। বাসা ছিল ৩ তলায়। শব্দ শুনে মনে হতো- কেমন জানি নখ দিয়ে কেউ আঁচড় কাটছে। ২ দিন পর হঠাত রাতে মনে হলো- ওর নিজের রুমেই কেউ আছে। কিন্তু কাউকে দেখতে পেতো না।
তাই পাত্তাও দিতো না।

একদিন অনেক রাতে হঠাত করে জেগে গেলো আর মনে হলো- কেউ ওর মাথার কাছে বসে আছে। উবু হয়ে মুখের উপর বসে আছে। তার গরম নিঃশ্বা লাগতেছিল ওর কপালে। সে প্রহম বোঝে নাই, একটু পরে যখন বুঝলো চিল্লায়ে উঠলো। সবাই আসলো। কেউ কথা বিশ্বাস করলো না।
সেদিন ওর মা ওর সাথে থাকলো। পরদিন ও মায়ের সাথে মায়ের রুমে থাকলো আর ওর রুমে বাবা গেল ঘুমাতে। এবার সমস্যা শুরু হলো ওর মায়ের সাথে। ও খাটে শুয়ে ছিল। ওর মা চেয়ারে বসে ছিল। হঠাত করে ওর মা চেয়ার থেকে পড়ে গেল। ওর মাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললো, মনে হলো- কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।
যে খাটে ওরা রাতে ঘুমাতো প্রায়ই মনে হত, সে খাট ধরে রাতে কেউ জোরে জোরে ঝাঁকাচ্ছে। খুব ভয় লাগতো।

তার সাথে প্রায়ই বাসার বিভিন্ন জিনিস খুঁজে পাওয়া যেত না। সব কেমন জানি উলোট-পালোট করে রাখতো কেউ। ওরা বাসায় নেই, ওর মা দরজায় তালা দিয়ে কাজ করছে। হঠাত দেখলো- দরজা খোলা। ভাবতো- হয়ত তালা দিতেই ভুলে গেছে। আবার তালা দিতো, কিন্তু আবার খুলে যেত। ঘরের আয়না হুট করে ভেঙ্গে গিয়েছিল। ওর মাকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়েছিল। রাতে ঘুমালে অনেক রাতে লাফানোর শব্দের আর নুপূরের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যেত সবার। --- ও বাদে সবারই কোন না কোন ক্ষতি হয়েছিল --। আবারও বলছি- ও বাদে সবার।

ওরা তাড়াতাড়ি বাসা চেঞ্জ করলো। কিন্তু তারপরে এখনও সমস্যা হয়। যেমনঃ ও একদিন ওর ভাই আর এক কাজিন মিলে রাতে মুভি দেখছিলো। রাতে ঘুমানোর পর পরদিন সকালে উঠে দেখে ওর ভাইয়ের সারা শরীরে হালকা আঁচড়ের দাগ। আর কাজিনকে রাতে কে জানি গলা টিপে ধরছিল। সকালে উঠে দেখে গলায় টিপলে যেমন দাগ হওয়ার কথা তেমনভাবে লাল হয়ে আছে।
সর্বশেষ ঘটনা কিছুদিন আগের। রাতে হঠাত মনে হলো- কেউ ওর বিছানায় উঠেছে। কিন্তু এতদিন এত ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে পাত্তা না দিয়েই শুয়ে পড়েছিল। হঠাত রাতে মনে হলো কেউ হাত ধরেছে। হ্যাচকা টানে হাত ছাড়াতে গেল হাতে আঁচড়ের দাগ পড়ে যায়।
এই হলো ঘটনা।

------------------------------------------------------

আমি প্রশ্ন করে কিছু এক্সট্রা উত্তর নিয়েছি।

- ছোটবেলাতে দাদী/নানীদের কাছে ভূত-প্রেতের গল্প শুনে ঘুমানো হয়নি। তবে, ছোটবেলা থেকেই খুব বই পড়তো। রুপকথার, ভূতের বই থেকে শুরু করে সব রকমের বই।
- ছোটবেলা থেকেই রাতে একা থাকতো।
- ওর বাবার চাকরির কারণে চট্টগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, রংপুর- বিভিন্ন জায়গায় থেকেছে। ক্লাশ এইট থেকে ইন্টার পর্যন্ত ছিল নিজ জেলা- মাগুড়াতে।
- ওর সাথে এমন ঘটনা ছোটবেলায়ও কয়েকবার নাকি হয়েছিল। কিন্তু ওর মনে নেই। ওর মা'র কাছে শুনেছে।
- অনেক ছোটবেলাতে ও বাসায় বিড়াল পুষতো। এখনকার আর তার আগের বাসার একটাতেও বিড়াল বা পোষা জাতীয় কিছু ছিল না।

........................ব্যাখ্যা কি হতে পারে?
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×