somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রভু সম্পর্কে জ্ঞানঃ যদি তোমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “তোমার প্রভু কে?”

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তা হলে বলঃ সেই মহান আল্লাহ্ যিনি আমাকে ও অন্যান্য সকল সৃষ্টি জীবকে তাঁর বিশেষ নে’য়ামতসমূহ দ্বারা লালন পালন করেন। তিনি আমার একমাত্র প্রভূ, তিনি ব্যতীত আমার অন্য কোন মা’বুদ নেই। এর সমর্থনে পবিত্র কুরআনের প্রমাণ হচ্ছেঃ
اَلْحَمْدُ لِلّهِ رَبِّ الْعالَمِيْنَ
আয়াতের অর্থঃ
“যাবতীয় প্রশংসা কেবল আল্লাহরই জন্য যিনি বিশ্ব চরাচরের পালনকর্তা।” (সূরা আল- ফাতেহাঃ১)
আল্লাহ ছাড়া সব কিছুই হচ্ছে তাঁর সৃষ্ট বস্তু এবং আমিও সেই সৃষ্ট জগতের একটি অংশ মাত্র। আর যখন তুমি জিজ্ঞাসিত হবে, “তুমি কিসের মাধ্যমে তোমার প্রভুকে চিনেছ?”
তথন তুমি উত্তর দেবে, তাঁর নিদর্শন সমূহ ও তাঁর সৃষ্টিরাজির মাধ্যমে (আমি আমার প্রভুকে চিনেছি)। তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে রয়েছে দিবা-রাত্রি, রবিশশী আর তাঁর সৃষ্ট বস্তু সমূহের মধ্যে রয়েছে সপ্ত আকাশ, সপ্ত যমীন এবং যা কিছু তাদের ভিতরে এবং যা কিছু এতদুভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে।
কুরআন থেকে প্রমাণ
وَمِنْ آياتِهِ الَّيْلُ وَالنَّهارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لاَ تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلاَ لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوْا لِلّه الّذِي خَلَقَهُنَّ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ.
আয়াতের অর্থঃ
“আর (দেখ) তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে রয়েছে রাত্রি ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সাজদাহ করবে না, চন্দ্রকেও নয়। বরং সাজদাহ করবে একমাত্র সেই আল্লাহকে যিনি ঐ সবকে সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করতে ইচ্ছুক হও।”(সূরা আল-হা-মীম সাজদাহ্ঃ ৩৭)
আরও প্রমাণঃ
إِنَّ رَبَّكُمْ اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَواتِ وَالْأَرْضَ فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَواى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِى الَّيْلَ النَّهاَرَ يَطْلُبُهُ حَثِيْثًا وَّالشَّمْسَ وَالقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّراتٍ بِأَمْرِه أَلاَ لَهُ الخْلْقُ وَالْأْمْرُ تَبارَكَ اللهُ رَبُّ الْعالَمِيْنَ.
আয়াতের অর্থঃ
“নিশ্চয় তোমাদের প্রভু-প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ যিনি আকাশ ও পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি আরশের উপর আরুহন হয়েছেন। তিনি রজনীর দ্বারা দিবসকে সমাচ্ছন্ন করেন, যে মতে তার ত্বরিৎ গতিতে একে অন্যের অনুসরণ করে চলে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজিকে স্বীয় নির্দেশের অনুগত রূপে (জেনে রাখো!) সৃষ্টি করার ও হুকুম প্রদানের মালিক মুখতার একমাত্র তিনিই। সর্বজগতের অধিস্বামী সেই আল্লাহ মহা পবিত্র।”(সূরা আল-আ’রাফঃ ৫৪)
তিনি আমাদের একমাত্র প্রভু, তিনিই আমাদের উপাস্য।
এ প্রসংগে কুরআনের ঘোষণাঃ
يآيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ. الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الأَرْضَ فِراشاً وَّالسَّماءَ بنَِاءً وأنزلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فأخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمراَتِ رِزْقاً لَّكُمْ فَلاَ تَجْعلُوا لِلّه أنداَدً وَأنتُمْ تَعْلَمُون.
আয়াতের অর্থঃ
“হে মানব সমাজ! তোমরা দাসত্ব বরণ করবে (অর্থাৎ ইবাদত করে চলবে) সেই মহান প্রতিপালক-প্রভুর যিনি তোমাদেকে এবং তোমাদের পুর্ববর্তীদেরকেও সৃষ্টি করেছেন, তাহলে তোমরা সংযমশীল (ধর্মভীরু) হতে পারবে। যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে করেছেন শয্যা স্বরূপ, আস্মানকে ছাদ স্বরূপ। যিনি আকাশ হতে বৃষ্টি ধারা অবতীর্ণ করেন, অতপর এর দ্বারা উদ্গত করেন নানা প্রকার ফলশস্য তোমাদের উপ-জীবিকা হিসেবে। অতএব তোমরা কোন কিছুকেই আল্লাহর সমকক্ষ ও অংশীদার করোনা, অথচ তোমরা অবগত আছ।”(সূরা আল-বাকারাঃ ২১-২২)
ইবনে কাসীর বলেছেন, “এ সমস্ত জিনিসের যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই ইবাদতের একমাত্র যোগ্য।”
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×