আগামী কাল থেকে ৬ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। পারলে ৭/৮-ওয়াক্ত-ও পড়তে পারেন। কয়েক রাকাত বাড়ানোর কথাও চিন্তা করতে পারেন সওয়াবের উদ্দেশ্যে। সমস্যা কি? খারাপ কাজ না করে নামাজ পড়বেন। সমাজে অনেক খারাপ কাজ চালু আছে। সিনেমা হল আছে, মেয়েরা বেপর্দায় চলছে, সুদী কারবার চলছে, ঘুষ চলছে। ঐসব নিয়ে তো আর কেউ বলছে না খালি শবে বারাত নিয়ে কেন যে কেউ কেউ এত কথা বলে?
এই রাতের জন্য হলেও যেহেতু আপনারা ইবাদত করতে চাচ্ছেন, তাহলে আরো কয়েকটা রাত আবিস্কার করুন। আরে করুন না! সহীহ হাদীসের কী দরকার? আল্লাহর ইবাদতই তো করছেন। খারাপ কাজ তো না! ধরেন ১লা জানুয়ারী নতুন বছরের শুরুর রাতে কয়েক রাকাত নফল নামাজ পড়লেন আর রোজাও রাখলেন আপনারা। তাহলে হয়তো বছরটা ভালো যাবে। ও ইংরেজি বর্ষে ভালো হবে না। ঠিক আছে, হিজরী সালেই করুন। সমস্যা কি? আপনার তৈরি করা রাতের মাধ্যমে অনেকেই হয়তো খারাপ কাজ না করে ইবাদত করবে। অনেক ফায়দা হবে।
তাছাড়া বাপ দাদারা করে এসেছেন এত দিন - এটা কীভাবে বাদ দিবেন? তার উপর ওয়াহাবী, সালাফি গালি শোনার কী দরকার? ইসলাম কি শুধু সৌদিদের বাপ দাদার সম্পত্তি নাকি? সৌদিতে সিঁড়ি ঝাড়ু দিয়ে বাংলাদেশে এসে ফতোয়া দেয় লোকজন। ছিঃ। সবচেয়ে বড় কথা খারাপ কাজ না করে নামাজ পড়বেন সওয়াবের উদ্দেশ্যে সমস্য কী???
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১