somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংবিধান দিবস ভারতে ,সহিষ্ণু অসহিষ্ণু

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যাঁ , ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধান দিবস হিসেবে পালন হয় । ১৯৪৯ এর ২৬ নভেম্বর সংবিধানের খসড়া গৃহীত হয় । দু'মাস পরে ২৬ জানুরারি থেকে সংবিধান কার্যকর হয় । এই দিনটিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্ যাপন করা হয় ।

অম্বেডকর সামাজিক ন্যায়ের জন্য উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন । সেই লড়ায়ের জন্যই তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন ।



ভারত স্বাধীন হয় ৬৮ বছর হল । কি পেল স্বাধীন ভারতের জনগণ ? জনগণই বলতে পারবে । ক্ষমতার রাজনীতিতে ভারত নাজেহাল । ধর্ম যদি রাজনীতির মধ্যম হয় ,তবে তাদের কাছে বিভেদ আর অসহিষ্ণুর বার্তা ছাড়া আর কিইবা পাবার আছে ।

সবচে মজার ঘটণা হল অঞ্চলিক দল ও জাতীয় দলের নেতারা গণতন্ত্র আর সংবিধানের দোহায় দিয়ে ভারতের রাজনৈতিক ভূমিকে অসংবিধানীক বার্তার বাহক হয়েছেন ।

সংবিধানের ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ধর্মের উন্নতির জন্য কর দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ।


সংবিধানের এই ধারাকে ভারতীয় নেতা মন্ত্রীরা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অকাতরে খরচ করছেন ।



সংবিধানের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে , সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কোন ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হলে ছাত্রদের তাতে যোগ না দেওয়ার অধিকার আছে ।



সংবিধানের ৪৮ ধারায় বলা হয়েছে , গো হত্যা নিবারনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।


১৯৫০ সাল বিধান রায়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস আমলে পশ্চিমবঙ্গে পশুহত্যা নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ হয় এই আইন পাশ করা হয়েছিল , " দুধের সরবরাহ বাড়ানো এবং পশু শক্তির অপচয় এড়ানোর জন্য কিন্তু এই আইন অনুসারে একমাত্র সেই গোরু হত্যা করা যাবে যা ১৪ বছরের বেশী বয়সি এবং কাজ ও প্রজননে অক্ষম এবং অধিকতর বাঞ্জনীয়ভাবে যা আঘাত , খুঁত বা অনারোগ্য ব্যাধি দ্বারা স্থায়ীভাবে পুঙ্গ শুধুমাত্র ধর্মীয় , ওষুধ সংক্রান্ত ও গবেষনার ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল ১৯৭৮ সালে বামফ্রন্টের আমলে আইনটির কিছু সংশোধন হলেও এ ব্যপারটাতে কোন রকম পরিবর্তন করা হয়নি কিন্তু ২০.৮.১৯৮২ তারিখে কলকাতা হাইকোর্ট এবং ১৫.১১.১৯৯৪ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে , কোরবাণী ঈদ উপলক্ষে এই আইন ১২ ধারা অনুযায়ী ছাড় দেওয়া যাবে না অর্থাৎ কোরবাণীর জন্য ১৪ বছরের কম বয়সী গোরু এবং কাজে ও প্রজননে অক্ষম নয় এমন গোরু এবং অধিকতর বাঞ্জনীয়ভাবে অনারোগ্য ব্যাধি , খুঁত বা আঘাত দ্বারা স্থায়ীভাবে পুঙ্গ নয় , এমন গোরু কোরবাণী করা যাবে না "
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×