ঘরপোড়া গরু যদি সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায়, তবে গরুকে কি দোষ দেওয়া যায়? ঈশান কোণে মেঘ করলে ঝড়ের পূর্বাভাস যদি পান কোনও প্রাচীন, তাকে নির্বুদ্ধিতা বলে উড়িয়ে দেওয়া যে উচিত নয়, এ কথা বুঝতে কি অতিরিক্ত জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে?
কলকাতার বুকে, থানায় ঢুকে এক কিশোরী ও এক যুবককে যে ভাবে পুলিশের হাত থেকে ছিনতাই করে নিয়ে চলে গেল জনা পঞ্চাশেক লোক, তা যে ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার, সেটা বুঝতে কি অতিরিক্ত বুদ্ধি খরচের দরকার আছে? শিবঠাকুরের আপন দেশ ছাড়া অন্যত্র এই সর্বনাশা ব্যবস্থার নির্বিঘ্ন অবস্থান আছে কি?
পুলিশ যখন দলদাসের ভূমিকা পালন করে, থানায় ঢুকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিগদর্শী দৃষ্টান্ত যখন চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে, যখন আইনটাকে নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অভ্যাসটা কাঠামো দিয়ে শক্তপোক্ত করে তোলার আনুষ্ঠানিক প্রয়াস থাকে, যখন আইন ভাঙাটা বেশ দামাল দামাল খেলা হিসেবে প্রশ্রয়প্রাপ্ত হয়, তখনই এই সব কাণ্ড ঘটতে থাকে।
দুর্জনেরা, চক্রান্তকারী একে মুষলপর্ব বলতে পারেন। ‘সুজনেরা’ জানেন, এটা দামালপনা। উলুখাগড়া দেখে অশনি সঙ্কেত। তবে তারা তো দুধভাত।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩