somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবর্জনা আজ দূরে থাক

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নেহাৎই আনুষ্ঠানিকতা নয়। যে ভাবধারা, যে বোধ, যে নৈতিকতাগুলোকে আঁকড়ে রয়েছে আমাদের ঐতিহ্যের শিকড়, সেগুলোকে আরও এক বার ঝালিয়ে নেওয়া।
আরও একটা প্রজাতন্ত্র দিবসে পৌঁছে উপলব্ধিটা এ রকমই।
কুচকাওয়াজ আছে, ট্যাবলো আছে, জমায়েত আছে। রাজধানীর রাজপথে আছে মহামহিম সমারোহ। কিন্তু প্রশ্নও আছে। প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর সাড়ে ছয় দশক কাটিয়েও যখন ভারতীয়ত্বের শিকড়ে কামড় বসাতে চায় অসহিষ্ণু আক্রোশ, যখন লকলকে আগুনের মতো ঝলসে উঠতে চায় বিভাজনকামী হিংসা, যখন পড়শিকে কাছে টানার চেষ্টা করলেই রক্তাক্ত হতে হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে, গণতন্ত্রের এত আড়ম্বর কি শুধু বহিরঙ্গেই? ২৬ জানুয়ারির অনুশীলন কি শুধুই বাধ্যতাজনিত? এ অনুশীলন কি ভারতের আত্মস্থ নয়?
উপলব্ধি বলছে, শুধু আত্মস্থই নয়, গভীর অন্তরে নিহিতও। ঝড়ঝাপটা আসেই। কিন্তু সে সব রুখে দেওয়ার মন্ত্রও এই ভারতীয় জাতিসত্ত্বাতেই মিশে রয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির ভাষণও সে কথাই মনে করিয়ে দিল আর এক বার।



ভারতীয়ত্বের বুনিয়াদি ধারণায় আঘাত হানছে যে সব হিংসা, তাদের থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি। হিংসা, অসহিষ্ণুতা আর অযৌক্তিকতার আঘাত থেকে নিজেদের রক্ষার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে। মনে করিয়ে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারী।
গণতন্ত্রে অভিযোগ থাকবে, দাবি থাকবে, প্রয়োজনে বিদ্রোহও থাকবে।এই সব কিছুই গণতন্ত্রের অংশভাক। বলছে রাষ্ট্রপতির ভাষণ। সঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছে, এই গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, স্বীকৃতি দিতে হবে তাকেও।
সত্যিই তো! অসহিষ্ণুতা, হিংসা আর সন্ত্রাস বলে হতাশ হওয়ার সময় এ নয়। ভারত অনেক অর্জনও করেছে। আরও একটা প্রজাতন্ত্র দিবসে পৌঁছে সেই অর্জনই উষ্ণীষের পালক হয়ে দেখা দিক। বাকি সব আবর্জনা।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×