অবরোধ পবরোধ, হরতাল সব থেমে গেছে, বা যাবে শীঘ্রই: মানুষ খালেদা বেগমের ডাকে বের হয়নি, হবে না; জাতির ১০০ বিলিয়ন সম্পত্তি ধবংস, ৭০০ শতের মত মানুষ হত্যা, ২০,০০০ মতো মানুষকে আহত, দশ হাজারের মতো মানুষকে পংগু করার অপরাধে ভুট্টোর মতো খালেদা বেগমের ফাঁসী বা আজীবনের জন্য জেল হবে। সময় মতো খালেদা বেগমের গ্রেনেড হত্যার বিচার হলে উনি জেলে চলে যাবেন; এটা হওয়ার দরকার: পাকিস্টানের হয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে ৪২ বছর, ডাকাতী করে টাকা নিয়ে গেছে বিদেশ; বেকুব বাংগালীদের লিলিফুটিয়ান মগজে তা ঢুকেনি; পাকিস্তানের গত দুই দিনের পদক্ষেপ দেখার পরও অনেক বিকলাংগ মগজের মাথায় তা হয়তো ঢুকবে না।
শেখ হাসিনার এই সাময়িক বিজয়ের দরকার ছিল, মুলত: শিবিরের গেরিলা যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য: শিবির পাকি বাহিনী থেকে গেরিলা যু্দ্ধের ট্রেনিং নিচ্ছে দেশে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান গিয়ে; আগামী কয়েকদিনের এদের একাংশ ধরা পড়বে, একাংশ ভারত হয়ে পাকিস্টানে পালিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা ও খালেদা বেগম পশ্চিমের কাছে সমান, যাকে পিটায়ে যে টিকে, তাতে পশ্চিমের মাথা ব্যথা নেই; পশ্চিম শুধু মৌলবাদকে পছন্দ করে না: এবার খালেদা বেগম হেফাজতের সাহায্য নেয়াতে খালেদা বেগম লাথ খেয়েছে; জামাত কিন্তু পশ্চিমের জন্য ভয়ের কিছু নয়: পশ্চিম মনে করে জামাত শেখ হাসিনা বা খালেদা থেকেও ভালো ক্যাপিটেলিস্ট।
শেখ হাসিনার বিজয়টা খুবই সাময়িক, সে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে না; তাকে তার দলের মানুষেরাই সরায়ে দেবে, যেভাবে শেখ সাহেবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাঁর দলের মানুষ। শেখ সাহেব ভালো মানুষকে দলে স্হান দেননি কোনদিন, উনি কলাগাছদের ভালোবাসতেন। শামীম ওসমান, নাসিম ওসমানদের নিয়ে হাসিনার অবস্হা বাবার মতোই হবে; যখন মানুষ শেখ হাসিনার পাশে থাকবে না, তখন উনার বিপদ আসবে; হাসিনার পাশে সাধারণ মানুষের স্হান নেই: কারণ উনার পাশে শুধু ফারুক, তাপস, আলমগীর, সালমান, ওরিয়ন, আবুল খায়েরদের জন্য যায়গা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




