মুভিটি পরিচালনা করেছেন ড্যারেন অ্যারোনফ্স্কি। এই ভদ্রলোকের অনেক মুভিই আপনারা দেখে থাকতে পারেন। যেমন- 'ব্ল্যাক-সোয়ান', 'রিকুয়্যেম ফর এ ড্রিম' কিংবা 'পাই'। যারা মুভিগুলো দেখেছেন তারা বুঝতে পারছেন এই মুভিটির ধরণ ও অনেকটা একই রকম; অন্তর্দ্বন্দমূলক। ও...মুভিটি কিন্তু ২০০৬ সালের,যদি ও আমি দেখলাম ২দিন আগে।মুভিতে অভিনয় করেছেন হিউ জ্যাকম্যান।
প্রেম-ভালবাসা, মৃত্যু, আধ্যাত্বিক ব্যাপার-স্যাপার আর পৃথিবীতে মানুষের ক্ষণস্থায়িত্ব-ই মুভিটির মূল প্রেক্ষাপট। এখানে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের তিনটি ঘটনা সমান্তরালে দেখানো হয়েছে- তবে তিনটি ঘটনারই মূল বিষয় ভালবাসাকে চিরস্থায়ী করার এক ব্যর্থ প্রয়াস, অমরত্ব লাভের জন্য মানুষের আপ্রাণ চেষ্টা। তিনটি কাহিনীর মধ্যে একটি হল- মায়ান রাজ্যের একজন বিজেতার একটি বিশেষ বৃক্ষের খোঁজে হণ্যে হয়ে ঘুরে ফেরা তার রাণীকে মুক্ত করার জন্য, যে কিনা ঐ বিশেষ বৃক্ষের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ করতে চায়। দ্বিতীয় কাহিনী - একজন মেডিক্যাল রিসার্চারকে নিয়ে, যিনি বিভিন্ন বৃক্ষ নিয়ে গবেষণা করে একটি প্রতিষেধক আবিষ্কারে চেষ্টা করছেন তার মৃতপ্রায় স্ত্রীকে বাচাঁনোর জন্য। আর ৩য় কাহিনী- একজন স্পেস ট্রাভ্যালারকে নিয়ে, তিনি একটি বৃদ্ধ বৃক্ষ নিয়ে যাত্রা করেছেন একটি মৃত নক্ষত্রের উদ্দেশ্যে। সবারই একই উদ্দেশ্য - অমরত্ব লাভ। কতটুকু সফল বা ব্যর্থ তা নির্ণয় করার দায়িত্ব আপনাদের! এখানে তিনটি মূল চরিত্রেই অভিনয় করেছেন হিউ জ্যাকম্যান।
পরিচালক এই মুভির মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন কিংবা কেন-ই বা তৈরি করলেন এমন মুভি, তা বোঝার সাধ্য আমার নেই; চেষ্টা করা ও মনে হয় বৃথা! কিন্তু কেনো জানি ভালো লেগে গেলো মুভিটা। তাই একটু নিজের মতামত দেয়ার চেষ্টা করি।
বি:দ্র: মুভিটা খুবই আউলা-ঝাউল এবং প্যাচানো। অতঃপর যদি কেউ দেখেন নিজ দায়িত্বে দেখবেন এবং ভালো না লাগলে আমি কিছু জানি না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



