somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'দ্য আর্ট অব ওয়ার' :০৬ : সামর্থ্য এবং সীমাবদ্ধতা

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খেলাফায়ে রাশেদীনের মুসলিম আর্মি যখন দামেস্ক দখলের পর এমেসাও দখল করে নিল, তখন বাইজান্টাইন রোমান সম্রাট হেরাক্লিয়াস উপায়ান্তর না দেখে একটা শেষ চেস্টা করে দেখতে চাইলেন। মুসলিম আর্মি তখন প্যালেস্টাইন, জর্ডান, দামেস্ক আর এমেসায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই সুযোগটা কাজে লাগাতেই হেরাক্লিয়াস পাঁচটা আর্মি রেডি করলেন একের পর এক এই বিচ্ছিন্ন মুসলিম সেনাবাহিনী ধ্বংস করতে। বাইজান্টাইন আর্মিরা যখন এলেপ্পো আর এন্টিওখ থেকে মার্চ করে, তখন এমেসায় মুসলিম কমান্ডার ছিলেন আবু উবাইদা। খলিফা উমরের সাথে খালিদের খুব একটা সদ্ভাব কখনই ছিলনা, কিন্তু এই বিশাল প্রতিপক্ষকে সামলাতে খালিদের কোন বিকল্পও ওমরের নেই।

তাই এই কেম্পেইনে মুসলিম আর্মি কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পেয়েই খালিদ প্রথম যে কাজটা করল, তা হল প্যালেস্টাইন, জর্ডান, দামেস্ক আর এমেসায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব মুসলিম ইউনিট গুলোকে ইয়ারমুখ প্রান্তরে জড়ো হতে আদেশ দিল, এই ব্যাপারটাকে যুদ্ধের ভাষায় বলে ফোর্স কন্সেন্ট্রেট বা মাস করা।

এতে বাইজান্টাইন প্ল্যান দুই ভাবে ধাক্কা খেল;
একঃ বিচ্ছিন্নভাবে মুসলিম আর্মিকে একের পর এক ধংশের প্ল্যান বাতিল করতে হল;
দুইঃ খালিদ ইয়ারমুখের প্রান্তরে কন্সেনট্রেট করায় যুদ্ধক্ষত্র এমেসা থেকে সরে গেল, ফলে বাইজান্টাইন আর্মিকে এবার দ্বিগুন দুরত্ব পেরিয়ে ইয়ারমুখে গিয়ে যুদ্ধ করতে হবে, এবং পথে একমাত্র লজিস্টিক বেইজ দামেস্ক (যা সদ্য মুসলিম আর্মি এবান্ডন করে গেছে) পাঁচটা বাইজান্টাইন আর্মির লোড নিতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত না।
খালিদ ইয়ারমুখের যুদ্ধক্ষত্রে পশ্চিমদিকে মুখ করে বাইজান্টাইনদের জন্য অপেক্ষায় থাকল। এই যুদ্ধে বাইজান্টাইন রোমানরা এমন শোচনীয় ভাবে হারল যে কট্টর ইসলাম বিরোধী ইতিহাসবিদও স্বীকার করেন, খালিদ বিন ওয়ালিদ ছিলেন সর্বকালের সেরা ক্যাভেলরি জেনারেল।


সানজু বলেন, যুদ্ধক্ষত্রে যারা আগে পৌছায় তারাই ধীরেসুস্থে শত্রুর মোকাবেলা করতে পারে, আর যারা পরে পৌছায় তারা তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ভোগে। তাই বিচক্ষন কমান্ডারেরা আগেই যুদ্ধক্ষত্রে পৌছে শত্রুর জন্য অপেক্ষায় থাকেন আর শত্রুকে তার টার্মস এন্ড কন্ডিশনে লড়তে প্রায় বাধ্য করেন। এইটারে বলে ইনিশিয়েটিভ, আর যুদ্ধক্ষত্রে যার ইনিশিয়েটিভ বেশি, সে আগে অ্যাক্ট করে, শত্রু স্রেফ তার অ্যাক্টের এগেইনেস্টে রিয়েক্ট করে যায়। মনে রাখার বিষয় হল, শত্রুর আক্রমনের তোপে আপনার সেনাদল যখন এলোমেলো পিছুহটে, একে বলে পলায়ন। আর শত্রু আপনাকে এনগেজ করার আগেই আপনার সেনাদল যখন পিছুহটে সুবিধাজনক কোন নতুন অবস্থান নেয়, সেইটারে বলে পশ্চাদপসরণ। অবশ্য দিনশেষে ক্যাম্পে ফিরে আসাকে পলায়ন বলে না।

আপনি যদি চান শত্রুকে আপনার সুবিধামত জায়গায় এনে কুপোকাত করতে, সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ছাড় দিতেই হবে যেন সে এগিয়ে আসার আগ্রহটা পায়। আর যদি চান শত্রুকে দূরে রেখেই মোকাবেলা করতে, তাহলে শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে রাস্তায় তাকে হেনস্তা করুন, ক্রিটিকাল পয়েন্টে তাকে পর্যুদস্ত রাখুন।

প্রতিপক্ষ দুই জেনারেলের যুদ্ধ কিন্তু অনেকটাই মনস্তাত্বিক। যেন দাবার বোর্ডে মগ্ন দুই দাবারু, একে অন্যের প্রত্যেকটা চাল দেখছেন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজও পড়তে চেস্টা করছেন। আপনার মুল ধান্দাই হল প্রতিপক্ষকে তার প্ল্যানের বাইরে ছিটকে দেয়া। যখন সে বিশ্রাম খুজছে, তাকে ক্রমাগত উৎপাত করুন; যখনই তার রসদ সরবরাহ স্ট্যাবল হয়, তখনি আপনি তার সাপ্লাই লাইনে হানা দিন; যখনই তাবু গেড়ে বসে, তখনি তাকে স্থান বদলাতে বাধ্য করুন। তার অরক্ষিত অংশে আঘাত করুন, যেন সে নিজেকে বাচাতে ত্রস্ত থাকে; এমন দিক দিয়ে আক্রমন করুন, যার কথা সে স্বপ্নেও ভাবেনি।


শত্রুর বাঁধা না থাকলে আপনার আর্মি মাইলের পর মাইল নির্বিঘ্নে মার্চ করে যেতে পারে। কিন্তু যখন আক্রমন করবেন তখন শত্রুর সেইখানটায় আক্রমন করুন যেখানে সে অপেক্ষাকৃত অরক্ষিত। আর যখন প্রতিরক্ষায় থাকবেন তখন এমনভাবে ডিফেন্ড করুন যেন শত্রু সেখানে আক্রমনের কোন সহজ পথ খুজে না পায়। তাই সেই আক্রমনে সেই জেনারেলই সিদ্ধহস্ত, যার শত্রু ভেবে পায় না কোথা দিয়ে থাকে ঠেকাবে; আর প্রতিরক্ষায় সেই জেনারেলই সিদ্ধহস্ত, যার শত্রু খুজে পায় না কোন পথে আক্রমন করবে।

প্যাটনের মত জাদরেল জেনারেলকে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে ডিসেপশন পারপাসে, যেন জার্মানরা ধরে নেয় নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং অপারেশনটা আসলে হবে ক্যালাইসে। জার্মানরা এতোটাই ডিসিভড হইছিল যে, নরম্যান্ডি দিয়ে আক্রমন শুরু হয়ে যাবার অনেকক্ষন পর পর্যন্ত তারা ধরে নিয়েছিল যে এইটা স্রেফ একটা ডাইভার্সনারি এটাক, আসল এটাক ক্যালাইস দিয়েই আস্তে যাচ্ছে। গোপনীয়তা দক্ষ জেনারেলের অন্যতম হতিয়ার, তিনি তার পরিকল্পনা ঘুর্নাক্ষরেও কাউকে টের পেতে দেননা।

যখন আপনি শত্রুর দুর্বল আর অরক্ষিত অংশের দিকে এডভান্স করবেন, তখন আপনি হয়ে উঠেন অপ্রতিরোধ্য। কারন শত্রু তার প্ল্যানিং এঁর সময় এ রাস্তায় আপনাকে থামানোর যথেস্ট এলিমেন্ট রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং এখন আর তার কেঁচেগণ্ডূষের সময় নেই। আর যখন পিছু হটবেন তখন এতো দ্রুত পিছুহটুন যেন শত্রু আপনার নাগাল পাবার আগেই কেটে পরতে পারেন। কেননা পিছু হটার সময় আপনার যেমন লড়াইয়ের কোন প্ল্যান নেই, তেমনি আপনার সেনাদলও লড়াইয়ের মানসিকতায় থাকেনা, তাই শত্রুর পারসুট বা পশ্চাৎ অনুধাবন থেকে সাবধান!


মধুখেকো ভালুক যখন মৌচাক ভাঙ্গার চেস্টা করে তখন মৌমাছি কিভাবে লড়ে? তারা কিন্তু সবাই মিলে ভাল্লুকের আকার ধারন করে লড়েনা, বরং ভনভন করে ভালুকের সারা গায়ে এমন হুল ফুঁটায় যে বিরক্ত হয়ে ভালুক মধু খাবার প্রোজেক্টে ইস্তফা দেয়। আপনি যদি আপনার শত্রুকে শেষ করার ধনুক ভাঙ্গা পন করে থাকেন, তাহলে শত্রুর সেই সব দুর্বলতাগুলোকে আঘাত করুন যেন সে তার সুরক্ষিত গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে আপনার মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়। আর যদি আপনি তার সাথে লড়াই এড়াতে চান, তবে তার এগিয়ে আসার রাস্তা বরাবর এমন সব প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করুন যেন সে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

ফ্রান্স-জার্মান সীমান্তে মেজিনো লাইন নামের এক প্রতিরক্ষা দেয়াল দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্সকে জার্মান আক্রমন থেকে রক্ষা করে এসেছে। এই মেজিনো লাইনের একটাই গ্যাপ ছিল যা আর্ডেন ফরেস্ট ঘেরা, আর ধারনা করা হত এই বনের ভেতর দিয়ে কোন সেনাদল মার্চ করানো অসম্ভব। তাই এই অংশটা তেমন হেভিলি গার্ডেড ছিলোনা। ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা যখন ফ্রান্স আক্রমনের পায়তারা করছিল, তখন মিত্রবাহিনী ভেবেছিল যে জার্মানরা বোধহয় এবারও বেলজিয়াম হয়ে আক্রমন করবে। কিন্তু জার্মানরা প্রায় অগম্য আর্ডেন ফরেস্ট হয়ে ফ্রান্সের ভেতর ঢুকে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় আর ৬ সপ্তাহে গোটা ফ্রান্স দখল করে ফেলে।

যখন আপনি আপনার সারা ফ্রন্ট জুড়ে সমান ভাবে ফোর্স ভাগ করে শক্তিশালী হবার চেস্টা করবেন, তখন আসলে কোথাওই আপনি তেমন শক্তিশালী হতে পারবেন না। তাই একটা ফ্রন্টের সবটা কখনই একসাথে সুরক্ষিত করা সম্ভব না। বরং প্রতিরক্ষার জন্য একেকটা সেনাদল বা ইউনিট কে ফ্রন্ট জুড়ে একেক এলাকা ভাগ করে দেয়া হয়। এখন আপনি যদি শত্রুর এই ডিসপোজিশনটা জেনে তার যেকোন একটা ইউনিটের বিরুদ্ধে আপনার তিনটা ইউনিট জড়ো করে আক্রমন করতে পাঠান, তাহলে সেই সময়ের জন্য শত্রুর ঐ ইউনিট এলাকায় বেলিজারেন্ট রেশিও দাঁড়ায় ৩:১। সুতরাং আপনার জয়ের সম্ভাবনা অনেক অনেক বেড়ে গেল। আপনার সৈন্য সংখ্যা যখন শত্রুর চে কম, তখন আপনার উচিত শত্রুর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেয়া; আর আপনি যদি শত্রুর চে সংখ্যগরিষ্ঠ হন, তাহলে এইবার আপনার শত্রুর টার্ন আপনাকে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার।


‘ডি-ডে’ মানে যেদিন যুদ্ধ শুরু হবে, আর এইচ-আওয়ার মানে যখন শুরু হবে। এখন এই ডি-ডে আর যুদ্ধক্ষত্র সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধারনাই না থাকে তাহলে আপনার আর্মি যুদ্ধ শুরুর পর খেই হারিয়ে ফেলবে। এ অবস্থায় আর্মির এক অংশ আরেক অংশকে প্রয়োজনীয় মুহুর্তে কাঙ্ক্ষিত সাপোর্ট দিতে পারেনা। তাই বিচক্ষন কমান্ডার মাত্রই জানেন কবে কোথায় তার সেনাদল লড়বে, বেইজ থেকে ব্যাটেল ফিল্ডের দুরত্ব কত। এবার তিনি তার সেনাদলকে ম্যানেজেবল সাইজে ভাগ করে আলাদা আলাদা কলামে যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে যান। যুদ্ধক্ষত্র থেকে যারা দূরে তাদের তিনি আগে মুভ করান, আর যারা কাছে তাদের পরে; যেন প্রায় একই সময়ে সবাই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে।


সানজুর দাবী আপনি চাইলেই বিজয়ী হতে পারবেন, এমনকি শত্রু আপনার চে শক্তিশালী হলেও পারবেন। আপনার বিরুদ্ধে আপনার শত্রুর প্ল্যানটা আপনাকে জানতে হবে, আর সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে, স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে হবে। শত্রুকে ক্রমাগত উত্যাক্ত করে তার প্রতিক্রিয়ার প্যাটার্নটা বের করতে হবে। শত্রুর মোতায়েন জেনে কাঙ্ঘিত ব্যাটেলফিল্ড খুজে বের করতে হবে। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার স্ট্রেন্থ আর উইকনেসগুলো জেনে নিতে হবে। তারপর তুলনামুলক বিচারে ঠিক করতে হবে আক্রমন করবেন, নাকি ডিফেন্সে যাবেন। ডিফেন্সে গেলে আপনার মোতায়েনকে যথাসম্ভব গোপন রাখুন, যেন চতুরতম গুপ্তচরও সেগুলো খুজে না পায়। আর এইসব যদি নিশ্চিত করতে পারেন, কেউ আপনাকে হারাবার পরিকল্পনা করতে পারবে না।


সবাই যুদ্ধজয়ে আপনার ট্যাকটিকসটা দেখতে পাবে, কিন্তু কেউ যেন আপনার স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে কোন ধারনা না পায়। একই ট্যাকটিকসের পুনরাবৃতি করবেন না, প্রত্যেক পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে আপনার ট্যাকটিকসেও নতুনত্ব আনুন। মিলিটারি ট্যাকটিকস বহমান স্রোতধারার মত। স্রোতধারা যেমন পাথরের চাই এড়িয়ে এগিয়ে যায়, আপনিও তেমনি শত্রুর স্ট্রেন্থ এড়িয়ে তার দুর্বলতা আর সীমাবদ্ধতাতে আঘাত করুন। পানি যেমন পাত্র অনুযায়ী আকার নেয়, তেমনি পরিস্থিতি অনুযায়ী যুদ্ধ করতে শিখুন। পানির যেমন নির্দিস্ট কোন আকার নেই, আপনিও যুদ্ধক্ষেত্রে কোন নির্দিস্ট প্যাটার্ন নিতে যাবেন না। তাই, যুদ্ধের পরিস্থিতি ভেদে আপনি যদি আপনার রনকৌশল সমন্বয় করতে জানেন, আপনিও হয়ে উঠতে পারেন অজেয় এক সেনাপতি। মনে রাখবেন, পানি-আগুন-কাঠ-ধাতু-মাটি এই সবই রূপান্তরিত হয়; কোন ঋতুই আজীবন থেমে থাকে না; দিনও বাড়ে কমে; চাদেরও অমাবশ্যা-পুর্নিমা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×