এইটা গরম কফি থুক্কু ছোট কফি
গরম কফি কবে খাকে গরম
আমি ছোট বেলা থেকেই গরম(HOT) জিনিসের প্রতি একটা আকর্ষন অনুভব করতাম । সেটা কতো ছোট থেকে সেটা মনে নাই তবে যখন আমি বেগানা বিপরীত দের কোলে অবলীলায় উঠে যেতে পরতাম তখন থেকেই আমার মধ্যে এই প্রতিভার বিকাশ দেখা যাচ্ছিলো । ক্লাস দু তিন টা পারি দেয়ার আগেই আমার বান্ধুবির সংখ্যা সিলভার জুবিলী উৎসবের দিকে টার্ন নিচ্ছিলো । এদিকে আশংকা জনক ভাবে ছেলে বন্ধুর সংখ্যা দু তিন জনের বেশি ছিলোনা । ক্লাসে প্রায়ই আমাকে বিভিন্ন জনের ( আবশ্যই বান্ধবী) টিফিন বক্সে ভাগ বসাতে দেখা যেতো ।
ছোট বোনের সাথে
গরম কফি যখন গরম চা ছিলো:
চা পছন্দ করতাম !চায়ের প্রতি ভালোবাসা, আমার লজ্জা ঘৃনা বোধ কেও জয় করেছিলো । আবলীলায় মেহমান দের রেখে যাওয়া চায়ের শেষাংশ এক কাপে জমিয়ে দরজার চিপায় সুখ টান দিতে এই অধম কে দেখা যেতো । আম্মার ধারনা ছিলো ছোটদের চা খাওয়া ঠিক না তাই ছিলো চায়ের উপর নিষেধাক্কা, কিন্তু আব্বা রাজনীতির সাথে কিছুটা সম্পৃক্ত হওয়ায় বাসায় মেহমানেরও কমতি ছিলো না এবং আমার চায়ের সাপ্লাইও পর্যাপ্ত ছিলো ।
এক বার এক ভদ্রলোক! চায়ের পরে সিগারেট টানছিলো এবং তার সুকো গুলোর শেষ আশ্রয় হচ্চিলো আর্ধেক খাওয়া চায়ের কাপে । এই মহতী দৃশ্য আমার চোখ এড়িয়ে গেলেও অর্ধেক খালি চায়ের কাপটা আমার চোখ কে ফাকি দিতে পারেনি । প্রস্হান পর্ব শেষ হওয়ার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে দরজার চিপায় লম্বা একটা চুমুকের পর প্রথম বারের মতো চা বিষাদ লাগতে শুরু করলো । কেমন জানি একটা গন্ধ .... সব টা শেষ করলাম এবং নিচে তলানী দেখে যা বুঝার কিছুটা অনুধাবন করলেও এই মহতী পানীয় আমার পাকস্হলী অনুধাবনে অনীহা জানালো ।পর্যাপ্ত বূমি পর্ব শেষে যখন আমি বিছানার প্রতি আকর্ষন অনুভব করছিলাম ততক্ষনে চায়ের প্রতি আকর্ষন পর্বটা সে সময়ের মতো দশ বছরের জন্য স্হগিত হলো
প্রখম চুমুকে প্রেম অথবা প্রেমের প্রথম চুমুক
বাসায় কফি গড়াগড়ি করার মতো উচ্চ বংশে আমার জন্ম না হলেও কফির প্রতি আকর্ষন এক সময় ঠিক ই হয়ে গেলো । সময়টা নিশ্চিত ভাবে মনে আছে ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের এক বিকেলে রাইফেলস স্কয়ারের একটা ফাস্ট ফুডে এটা সেটা খাওয়ার পর কি মনে করে একটা কফি নিলাম । তার পর প্রথম চুমুক তার পর দ্বিতিয় চুমুক ..চলতে থাকলো পোড়া পাত্তির সুরুয়ার সাথে লেনাদেনা ..........। গতো বানিজ্য মেলায় এক কম্পানীর ডিলারের সাথে একটা প্রফেসনাল কফি মেশিন কিনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ই নিয়ে ফেলেছিলাম শেষ পর্যন্ত গরম ম্যাডাম বাঁধা না দিলে আজ হয়তো আমার ডাইনিং রুমে একটা দাড়িযে থাকতো । তবে আপনিও বাসায় এক্সপ্রসো কফি তৈরি করতে পারেন কোন যন্ত্রপাতি ছাড়া .. এখানে খোচা দিন।
চুরি বিদ্যা গ্রেট বিদ্যা
হাতের যে কাজ টা আমি সবার আগে শিখেছিলাম সেটা হলো হাত টানের কাজ । বন্ধুর মার্বল চুরি থেকে আরম্ভ করে অরেক জনের বান্ধুবি চুরি সবই দক্ষতার সাথে এবং চিকন টেকনিকে সিদ্ধ করে আজ আমি আত্নবিশ্বাসী চোর । তবে কখনো টাকা পয়সা চুরি করিনি এটা হলফ করে বলতে পারি কারন আব্বা কখোন টাকা খুজলে প্রশ্ন ছাড়া বিল পাশ করে আসছে । তাই হয়তো এই জিনিসটার প্রতি আকর্ষন কম এবং আমার চাহিদাও কম । আমার সংগ্রহ করা ডাকটিকিটের বড় একটা অংশ চুরি করে সংগ্রহ করা । বই চুরির ইতিহাসের কথা বল্লে মার্কটেয়ন ও লজ্জা পাবে । এই প্যারার একটা মোরাল আছে ! মানুষ যেটাতে নিষেধ এবং সংগ্রহে বাধা পায় তার প্রতি নিষিদ্ধ আগ্রহ বেশি থাকে ।
প্রথম প্রেম
মেয়ে বন্ধুর প্রাচুর্য ছোটবেলা থেকেই ছিলো । কিন্তু প্রেম বলতে যা বোঝায় সেটা প্রথম অনুভব করি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের সময । আমি উদয়নের ছাত্র ছিলাম । একবার অন্ত স্কুল বিতর্কে বুয়েট স্কুলের একটি দল আমাদের এখানে আসলো সাথে দলের সাথে এক জন আসলো যাকে দেখে গরম কফি প্রথম বুঝলো যাতনা কাহারে কয় !
শ্যামলা বরন হালকা গড়ন মিস্টি পাতলা ঠোট ,
মধু মধু স্বর কন্ঠ তাহারো হলাম চরম লুট ।
রেখা নামের মানুষ টি বিতর্কে অংশ গ্রহন করলো না কিন্তু মঞ্চে প্রতিপক্ষ আমাকে বিতর্কে কুপকাত করতে না পারলেও সে একেবারে শুইয়ে দিলো ..এমন ভাবে শুইয়ে দিলো বিছানায় শুইলেই তার কথা মনে হয়, উঠে বসলে আরএ বেশি মনে পরে হাটতে মনে চায়না পড়তে মনে চায়না আহারে কি কষ্ট । গোয়েন্দা নিয়োগ দিলাম। যথা সময়ে বায়োডাটা বায়ু পথে হস্তগতো হলো । নাম রেখা রানী পাল ।........... আতুর ঘরেই গলাটিপে প্রেম টাকে মেরে ফেল্লাম । কিন্তু সেই ভূত আজও চোখের সামনে । প্রেম কে হত্যা করা য়ায় প্রেমের ভূত কিভাবে হত্যা করা যায় আজ ও জানিনা। আর কোন মেয়েকে আজও চেখে লাগে না মনের দরজাতো কবেই সীল হয়েছে । মনে হয় এই প্যারার নাম আমার শেষ প্রেম দিলেই যথায়থ হতো ।
চলবে....
শুরু হলো সপ্তাহ ব্যাপি অনুষ্টান মালা পরিবেশিতো হচ্ছে নিন্ম লিখিত বিঞ্জাপন গুলোর সৌজন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১০