somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চকোলেট হিল (Chocolate Hills):)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নিখুত কোণ আকৃতিরবা ডোম আকৃতির প্রায় ১২৬৮ টি পাহাড়কে একত্রে বলা হয় চকোলেট হিল। এগুলোর বিস্তৃতি ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।।এগুলোর উৎপত্তি হলো কিভাবে সেগুলি নিয়ে আছে বিস্তর গবেষণা। এগুলির মধ্যে কয়েকটি আলোচিত হাইপোথেসিস হলো চুনাপাথর ক্ষয় হয়ে ,উপ- মহাসাগরীয় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে , সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে এগুলো সৃষ্টি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এগুলো তৈরির ব্যাখ্যায় বলা হয় পুরাতন সক্রিয় আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট জ্বালামুখ বা গহবর গুলোর মধ্যে চুনাপাথর জমা হয়েছে।পরবর্তীতে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে থ্রাস্ট বা ধাক্কা খেয়ে ওপরে ওঠে গিয়ে পাহাড় সৃষ্টি করেছে।





এগুলি আসলে ঘাস আবৃত চুনাপাথরের পাহাড়। এগুলির উচ্চতা ৩০ থেকে ৫০ মিটার। সর্বোচ্চটির উচ্চতা ১২০ মিটার প্রায়।

ফিলিপাইনের Carmen, Batuan এবং Sagbayan এলাকায় এগুলো দেখা যায়।

শুষ্ক মৌসুমে ঘাস আবৃত পাহাড় গুলোর ঘাস আবরণ শুকিয়ে বাদামী চকোলেট রং ধারণ করে। একত্রে এগুলোকে চকোলেট কিসেস এর মত দেখায়। এর কারণে ই এটির নাম এমনটি হয়েছে। মানে চকোলিট হিল হয়েছে।


উৎপত্তিঃ

পাহাড়গুলির উৎপত্তি হয়েছে প্লাইয়োসিন সময়ের শেষ থেকে প্লাইস্টোসিন পিরিয়ডে।

সরু থেকে মধ্যম স্তরের বালুসমৃদ্ধ সামুদ্রিক চুনাপাথর দ্বারা। চুনাপাথর গুলোতে প্রচুর অগভীর সামুদ্রিক ফোরামেনিফেরা, কোরাল,শামুক এবং এলজি ধরণের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। কনিকাল আকৃতির পাহাড়গুলোকে ককপিট কারস্ট বলা হয়। এগুলো বৃষ্টির পানিতে ক্ষয় হয়ে কিছুটা দ্রবীভূত হয়ে ভেসে গিয়ে এরকম আকার ধারণ করেছে। পাহড়গুলো সমভূমি দিয়ে একটি থেকে আরেকটি পৃথক হয়েছে। এগুলোতে অনেক গহবর ও ঝরণা দেখা যায়।

চকোলেট হিল ঘিরে কল্পকাহিনী

চকোলেট হিল গুলির উৎপত্তি নিয়ে চারটি বিখ্যাত কল্পকাহিনী বেশ প্রসিদ্ধ

১)দুইটি বিশালআকারের দৈত্য ।তাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ লেগে যায়।তারা লড়াই মাঠে পরস্পরের দিকে পাথর বোল্ডার এবং বালু নিক্ষেপ করতে থাকে।লড়াই দীর্ঘ স্থায়ী হয়। লড়াই করতে করতে এক সময় দুই দৈত্যের সর্বশক্তি শেষ হয়ে যায়।ক্লান্ত শ্রান্ত দৈত্যদ্বয়ের মধ্যে শত্রুতা আর থাকে না। তার বণ্ধু হয়ে যায়। কিন্তু লড়াই অংগন ছেড়ে যাওয়ার সময় তাদের ছোড়া পাথর বালু বোল্ডার পরিস্কার করতে ভুলে যায় ।সেগুলো চকোলেট পাহাড় হয়ে যায়।

২)এটি খুব রোমান্টিক কাহিনী। এরোগা নামে এক দৈত্য যে কিনা অনেক শক্তিশালী ও তরুণ ।এলোয়ো নামের এক জনের প্রেমে পরে যে ছিল সাধারণ মরণশীল । এলোয়ার মৃত্যু হলে এরোগা প্রচন্ন্ড আঘাত পায়। দুঃখে কষ্টে জর্জরিত এরোগের চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে থাকে। সেগুলো শুকিয়েই চকোলেট পাহাড়ের সৃষ্টি ।

৩) তৃতীয়টি একটা দৈত্যাকৃতির মহীষকে ঘিরে ।যেটি সেই এলাকার সকল শস্য খেয়ে সাবার করেছিল। যখন আর কিছু অবশিষ্ট নাই। সেই এলাকার সবাই মিলে তাদের সকল উচ্ছিষ্ট যা আছে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখে ।যাতে মহীষ দৈত্যটি দেখতে পারে।সেই নোংড়া খাবার গুলো সব খেয়ে ফেললেও নষ্ট হওয়াতে হজম করতে পারে না ফলে গোবর ফেলতে ফেলতে এলাকা ত্যাগ করে। ততক্ষণ পর্যন্ত গোবর ফেলে যতক্ষণ সেটির পেট পুরোপুরি খালি না হয়। সেই গোবর গুলো শুকিয়ে চকলেট পাহাড় গুলো তৈরি হয়েছে।

৪) সর্ব্ শেষ কাহিনীও বেশ রুমান্টিক ;এক বিশাল আকৃতির গ্লুটোনিয়াস দৈত্য(যে সব খাবার গিলে খায়) চলার পথে চোখে যা দেখেছে সব খেয়ে আরো মোটকা হয়েছে। একদিন সে সমভূমিতে এল। এড্রিয়ানা নামের এক সুন্দরী রমনীকে দেখে তার প্রেমে পড়ল।এড্রিয়ানার ভালবাসা পেতে হলে তার শরীর কমাতে হবে ।তাই পথে যে খাবার গিলেছে সব উগড়ে ফেলে দিতে থাকলো ।তার ফেলে দেয়া বস্তু গুলো দিয়ে সমস্ত সমভূমি ঢেকে গেল। অবশেষে সে আদ্রিয়ানার ভালবাসা জয় করলো। ফেলে দেয়া বস্তুগুলো থেকে চকোলেট পাহাড়গুলোর উৎপত্তি হলো ।

ছবি-নেট ।তথ্যসূত্র এন সাইক্লোপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×