-মূলাবাঁশ নিয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা একটু ব্যক্ত করবেন কী?
-একবার এক অস্টেলীয় গাইয়ের পাল্লায় পরেছিলাম, দারূন দুগ্ধবত্তী, আমারে দুধ খাওয়াবার চায়। দোহনের ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমিও ওরে মুলাবাঁশ এবং তার উপকারীতা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, তারপর শুধুই নিরবতা। আমি কী উত্তর দিতে পেরেছি?
-আচ্ছা থাকুক! গাবগাছ কী কাজে লাগে?
-ডাইল খাওনের সময় একটু উপাচার/ইন্তেজাম করা লাগে, তখন জাল বিছানোর প্রয়োজন হয় আর জালের প্রয়োজন মানেই গাবগাছ।
-মায়ের পেটের ইয়ার নিয়ে বোধহয় একবার ঝামেলায় পরেছিলেন!
-ঝামেলা ঠিক না ধরা খাওয়া বলতে পারেন, মাঝে মাঝে ধরা খেলে খারাপ লাগে না।
-নিমাইমুজরাকে কী ভাবে বশ করলেন কিংবা তিনি আপনাকে কতটুকু লিফট্ দিচ্ছেন?
-ওয়েল, আপনাকে একটু স্পেইসের কথা বলি, চিপা আমার সার্বক্ষনিক সঙ্গী, চিপায় প্রাণটা আইটাই করলে নিমাইমুজরার ঘাড়ে চড়লে খারাপ লাগে না, নিমাই কিন্তু এটা এনজয় করে, তবে একটু চালাক চামচা।
-আপনার একটা বিখ্যাত ছড়া আছে।
-যারে পায় তারি দেখি পা’শুকে, বাদ দেন এখন ওর সাথে নিয়মিত সহবাস করি।
-না জানতে চাচ্ছিলাম ওর কবিতা এখন কতটুকু কবিতা হয়।
-আমি যদি বলি হয়েছে তাহলে ধরে নিবেন হয়েছে, তাছাড়া কবিতা হওয়াটাই বড় কথা নয়, আনূগত্যটাই বড়, ও এখন খুব অনুগত।
-আপনার একটা পালিত ব্লগ ছিলো না?
-আসলে হয়েছে কী এরশাদীয় খাইছলত আমারো কিছু আছে- এরশাদ সংসদে রব’কে পালিত হিসেবে রেখেছিলো আমিও চেয়েছিলাম ওই রকম কিছু একটা করতে, নিজের একটা গ্রহন যোগ্যতা সৃষ্টির দরকার আছে নিশ্চয়।
-তাতো নিশ্চয়! শিবা ঘন ঘন দেখা দিচ্ছেন হৃদয়ঘটিত কিছু হচ্ছে নাকী?
-আরে রাধাকৃষ্ণ কাহিনী শুনেন নি, যে রাধা সেইতো কৃষ্ণ, শিবা প্রসঙ্গ আর না।
-ঠিক আছে
-বজ্জাত নামে আপনার আরেকটা চামচা ছিলো না?
-হ ছিলো, তো এসব আর ভাল্লাগে না আমি সোজা হয়ে যেতে চাচ্ছি।
-শ্রেষ্ঠ কবি নিয়ে আর এগোলেন না কেন?
-শ্রেষ্ঠত্ব জিনিষটা আপেক্ষিক, জল ঘোলা করে বুঝতে পারলাম। এখন আমিই শ্রেষ্ঠ। চামচারা ঠিক মতো খেলতে পারেনি।
-গরু/গুরু বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করবেন?
-ওটা একটা প্লাটফর্ম ছিলো, প্রয়োজন শেষ; ছুড়ে ফেলেছি।
-নামের শেষে গল্পকার থাকতে হয় নাকী?
-রাখলে মন্দ হয় না, শরিফ রহমান, ডল, গেওর্গে আব্বাস, শিবা, প্রভ৭১, হিটার০০৭, রশিদ খাঁন, কি এক গল্পকার, রুপকথা কাশ্যপ, রহিমা ট্রাকল, সখিনা আফ্রোদিতি, মাহবৃব সাজ্জাদ, চন্দ্রাবতী, মঞ্জু মিস্ত্রাল, জিনুরেশ্বরী, ভ্লাদিমীর জয়নুদ্দিন, বইতল, শামস নুর ইত্যাদি আমি কিংবা আমার ছায়া, এখন আবার রুশদির সাথে নিয়মিত ব্লগিং করি।
-ব্লগে আপনি কিছুদিন নাই হয়ে ছিলেন, আপনি নাই হলে খারাপ লাগে, কিন্তু তাজ্জব ব্যাপার হচচছে আপনার সাথে তেনারাও নাই ছিলেন, এতো ম্যাজিক শিখলেন কিভাবে? নাই করে দেয়া! বাব্বা!
-এটা ম্যাজিক না একটা ধাঁধাঁ, ভাঙাতে পারলে পুরস্কার আছে।
-কী পুরস্কার?
-এদের দলে যোগ দেয়ার একটা সুযোগ।
-গুরু শিষ্যে আরেকবার ফিরতে চাচ্ছিলাম।
-গুরু মারা বিদ্যা আমি শিখে গেছি, আরো শিখেছি পাছা মারা, আলাপ চলুক আপনাকেও শিখিয়ে দেব। তাছাড়া ও একটা ছাগু ছাগুকে আর যাই হোক গরুর সম্মানতো দিতে পারি না, আগেকার কথা ছিল অন্য, তখন আমিও ছাগু সম্প্রদায় ছিলাম এখন আমার প্রমোশন হয়েছে আমি এখন নিয়মিত লিগাই, শ্রেষ্ঠ কবিতো সার্বক্ষণিক লীগাই কর্মি।
-রাশিয়া ফেরত-
-এটা নিয়ে আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না কুত্তার ছানারা ইয়াৎস্লিনের পাছায় ঢুকেছে, আমার স্বপ্ন! হায় আমার স্বপ্ন! (হাউমাউ কান্না)
-আপনার পরবত্তী পরিকল্পনা?
-ঘাস গজানোর বিদ্যা রপ্ত করতে চাই, গরু চড়াবো, রাখাল বালক হওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছা আমার।
-বেড়াল নামে আপনার একটা লেখা আছে, একটা চরিত্র নপংসুক আপনার সাথে কী কোন মিল আছে?
-টারমিনেট! এক্ষুণি টেপ বন্ধ করুন।
ক্রমশঃ-
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১০ রাত ১২:২৩