সামনে আবার একটা বিশ্বকাপ এসে গেল। একদিনের বিশ্বকাপের থেকে এখন আমার ২০-২০ বিশ্বকাপই বেশী ভাল লাগে কারণ খেলা ৩-৪ ঘন্টায় শেষ হয়ে যায়। আর উত্তেজনাও অনেক বেশী। খেলার অনেকবার রঙ পরিবর্তন ঘটে। আমার প্রিয় খেলা এখনও ভারত-পাকিস্তান ২০-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল। খেলাটার অনেকবার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে আর শেষ অবধি টানটান উত্তেজনা ছিল।
আগের বারে বিশ্বকাপের আগে ফেভারিট ছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারত বা পাকিস্তান ধর্তব্যের মধ্যেই ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার টিমে গিলক্রিস্ট আর হেডেনের মত প্লেয়ার ছিল যারা ২০-২০ খেলার জন্য আদর্শ। তাদের ছাপিয়ে টুর্নামেন্টে হিরো হয়ে গেলেন যুবরাজ, মিশবা, উমর গুল বা ইরফান পাঠান।
এবারে খেলছে মোট ১২টা দল - ৩টি করে প্রতি গ্রুপে। প্রথম পর্যায়ে খালি গ্রুপ-লিগ। পরের পর্যায়ে যাবে প্রতি গ্রুপের প্রথম ও দ্বিতীয়। পরের পর্যায়ে খেলা প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে খেলবে। পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রথম চার দল যাবে সেমিতে। সেখান থেকে ফাইনাল। গ্রুপ লিগে খুব একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে হয়না। পরের পর্যায়েই আসল খেলা।
এবারে টুর্নামেন্টে আমার মতে ফেভারিট হল পাকিস্তান। কালকেও ওরা যেভাবে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল তা দেখে দলের শক্তি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। আফ্রিদি আর উমর গুল - দুজনেই ২০-২০ খেলার জন্য আদর্শ। অস্ট্রেলিয়ার দল এবার তুলনামূলকভাবে অনভিজ্ঞ কিন্তু তাও দলটা অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকাও অন্যতম ফেভারিট - গ্রেম স্মিথ আর নতুন আবিষ্কার ডুমিনি ছাড়াও দলে আছেন মরকেল। আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সমস্যা প্লেয়াররা অতিরিক্ত ক্রিকেট খেলে ক্লান্ত হতে পারে। ইংল্যান্ড ঘরের মাটিতে ভাল খেলতেই পারে - দলে আছে মারকুটে পিটারসন আর ফ্লিন্টফ (খেলবেন কিনা নিশ্চিত নয়)। শ্রীলঙ্কার ভরসা জয়সূর্য, মুরলী-অজন্তার স্পিন আর মালিঙ্গা। নিউজিল্যান্ড ঘরের মাঠে সম্প্রতি ভারতকে পরপর ২ বার ২০-২০ ম্যাচে হারিয়েছে - ম্যাককালাম আর রাইডার দুজনেই ২০-২০ ম্যাচে অত্যন্ত ভাল খেলোয়াড়। ওয়েস্ট ইন্ডিসের ব্র্যাভো আর স্মিথ উভয়েই ভাল খেলে। কিন্তু শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিসের সাথে অস্ট্রেলিয়া এবার বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে পড়েছে - তাদের পরের রাউণ্ডে যেতেই কষ্ট করতে হতে পারে। বাংলাদেশ এবারে আয়ারল্যান্ডের সাথে একই গ্রুপে পড়েছে। বাংলাদেশের মূল প্লেয়ার মাশরাফি কিন্তু আমার মতে রাসেলও ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় ভাল বল করবে। আয়ারল্যান্ড কোয়ালিফায়ারে ভাল খেলেছে - আগের বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল। আয়ারল্যান্ডের ঘরের কাছে খেলা - এটাও ওদের সুবিধা। হল্যান্ডের একজন প্লেয়ার আই-পি-এলে সাড়া জাগিয়েছেন - ফাস্ট বোলার ন্যানেস যাকে ম্যাকগ্রাথের পরিবর্তে খেলানো হচ্ছে। আর আছে স্কটল্যান্ড - তাদেরও খেলা ঘরের কাছে। এই দলের গাভিন হ্যামিল্টনের ভাল খেলার কথা।
ভাল খেলা হোক এই আশায় থাকি।
উইকির পেজ -
Click This Link
ক্রিকইনফোর পেজ -
Click This Link
আই-সি-সির পেজ -
http://icc-cricket.yahoo.net/wt20-2009/