“Love is a romantic designation for a most ordinary biological—or, shall we say, chemical—process … a lot of nonsense is talked and written about it.” ভাই এইটা আমার ডায়ালগ না অথবা প্রেমে ছ্যাকা খাওয়া কোন প্রেমিকের ডায়ালগও এইটা না। 1990 সালে ভালোবাসার রসায়ন বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষনার এক গবেষকরে মন্তব্য হচ্ছে এটা। একটা কথা আজকালকার তরুন তরুনিদের জীবন সংগী বাছাই করার ক্ষেত্রে প্রায়ই শুনবেন “ঠিক ক্লিক করেনি ” অথবা “কেমিস্ট্রি ভালো না” । একটা সময় কথাগুলো শুনলে এত হালকা মনে হত ! কিন্তু আশ্চর্র্য হয়ে আবিষ্কার করলাম ক্লিক করা বা কেমিষ্ট্রি মেলা না মেলার বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা আছে। আমি রবিন্দ্রনাথের যে ভালো বাসায় বিশ্বাস করতাম তার সাথে এই ক্লিক করার ভালোবাসার কোন পার্র্থক্য নেই বরং বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা অনেক বেশী কেমিষ্ট্রিকেই যাষ্টিফাই করে । সত্যি কথা বলতে আমার বিশ্বাসের জগতে এটা অনেক বড় একটা ধাক্কা ছিলো । আমি এখনো ভালোবাসা কে রবিন্দ্রনাথ দিয়ে বুঝতেই বেশী ভালোবাসব । কিন্তু মুশকিল হলো ধাতগতভাবেই আমার মস্তিষ্কের আবেগ অংশের চেয়ে যুক্তির অংশটা ধারালো বেশী । কাজেই ভালোবাসার রসায়নের ক্ষেত্রে না চাইলেও বিজ্ঞান আমাকে মানতে হচ্ছেই । ভালোবাসার পর্যায় বা স্তর হচ্ছে তিনটি 1. lust/ desire বা envy অর্থাৎ কাউকে পাওয়ার তিব্র বাসনা এর কারন হচ্ছে মস্তিষ্কে sex hormones testosterone এর নিশ্বরন । 2. দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে attraction stage বা আর্র্কষন পর্যায় এর জন্য দায়ী হচ্ছে 'monoamines' নামক একাধিক হরমন , নাম ধরে বললে : Dopamine, Norepinephrine বা adrenalin এবং Serotonin . এইটাতো মোটামোটি সবাইজানে যে শরীরে এড্রেনালীন এর পরিমান বেরে গেলে প্রচুর ঘাম হয় এবং হৃদস্পন্দন বেরে যায়। মজার বিষয় হলো প্রেমের সিমটম বলতে কিন্তু আমরা এগুলাকেই জানি। আর প্রেমে পরলে মানুষ বিভিন্ন পাগলামী করে যে হরমনের কারনে সেটা হচ্ছে Serotonin আর তিন নম্বর স্তর হচ্ছে এটাচমেন্ট বা সম্পর্ক ।কেউ যখন প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন নিশ্বরিত হয় Oxytocin এবং Vasopressin. ইনফ্যাক্ট প্রেমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুন্দর আমার মনে হয় অক্সিটসিন কে। প্রেমের স্থায়ীত্ব র্নিধারন করে এই হরমন।
এখন প্রেমের ক্ষেত্রে মজার কিছু তথ্য শেয়ার করি । নারী পুরুষ প্রেম কিন্তু প্রক্রিয়েশন এর শর্র্ত ছারা আর কিছু না । সমস্ত প্রেমেরই কিন্তু আল্টিমেট টার্গেট প্রক্রিয়েশন । আমরা মানুষ একে যতেই মহিমান্বিত করতে চাই না কেন আমাদের জীন কোডে লিখা আছে এইভাবে । তার মানে দারাচ্ছে পুরো প্রক্রিয়াটা আসলে এট্রাকশন, অগার্র্জম এবং প্রক্রিয়েশন ! এখানে ইনবিটুইন কিন্তু আর কিছু নাই। আরো মজার বিষয় হচ্ছে মানুষের ভাষার কিন্তু উদ্ভব হয়েছে প্রক্রিয়েশনের প্রয়োজনীয়তা থেকে । জীনগত ভাবেই পুরুষরা ভারী নিতম্ব সম্পন্ন নারী পছন্দ করে তার কারন এই ধরনের নারীদের সন্তান ধারন ক্ষমতা বেশী থাকে এবং মেয়েরা লম্বা এবং সুঠাম দেহী পুরুষ এর প্রতি আকর্র্ষণ বোধ করে কারন তাদের সন্তানের নিরপত্তা দিতে সক্ষম হবে শক্তিশালী পুরুষ। এখন এইযায়গাটায় আমি নিজে যোগ করতে চাই আধুনিক সময়ে শারীরিক শক্তির চেয়ে নিরাপত্তা শব্দটা যেহেতু টাকার সাথে যুক্ত হয়ে গেছে মেয়েরা অবচেতনভাবেই মোটা মানি ব্যাগ বেশী প্রেফার করে। এই কথাটা আমি মেয়েদের আচরনকে জায়েয করার জন্য বলছি না , যুক্তি তাই বলছে।
এখন আসেন প্রাথমিক আকর্ষন তৈরি হয় কিভাবে ? এ ক্ষেত্রে আপনার চোখ এবং ঘ্রান ইন্দ্রিয় একটা মূখ্য ভূমিকা পালন করে । আপনার জীন কোডে কিছু প্রেফারেন্স আছে যখন সেই জিনিষ আপনি পেয়ে জান অথবা তার কাছাকাছি কিছু মিলে যায় তখন আপনার lust/ desire বা envy কাজ করা শুরু করে। পারফিউম কম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা ইনভেষ্ট করে শুধুমাত্র মানুষের এই ঘ্রান প্রেফারেন্সটা বোঝার জন্য। কাজেই কৃত্তিমভাবে কেউ যদি আপনার প্রেফারেন্সের একটা পারফিউম দিয়ে ঘুরে বেরায় সেই যে আপনার মানস কন্যা বা পুরুষ না তা আপনি ধরবেন কি ভাবে । এইখানেই প্রেমের ক্ষেত্রে বিধি বাম আর কনজিউমার ওয়ার্র্ল্ডের জয়জয়কার !!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১