somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীনগত ভাবেই পুরুষরা ভারী নিতম্ব সম্পন্ন নারী পছন্দ করে এবং মেয়েরা লম্বা এবং সুঠাম দেহী পুরুষ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“Love is a romantic designation for a most ordinary biological—or, shall we say, chemical—process … a lot of nonsense is talked and written about it.” ভাই এইটা আমার ডায়ালগ না অথবা প্রেমে ছ্যাকা খাওয়া কোন প্রেমিকের ডায়ালগও এইটা না। 1990 সালে ভালোবাসার রসায়ন বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষনার এক গবেষকরে মন্তব্য হচ্ছে এটা। একটা কথা আজকালকার তরুন তরুনিদের জীবন সংগী বাছাই করার ক্ষেত্রে প্রায়ই শুনবেন “ঠিক ক্লিক করেনি ” অথবা “কেমিস্ট্রি ভালো না” । একটা সময় কথাগুলো শুনলে এত হালকা মনে হত ! কিন্তু আশ্চর্র্য হয়ে আবিষ্কার করলাম ক্লিক করা বা কেমিষ্ট্রি মেলা না মেলার বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা আছে। আমি রবিন্দ্রনাথের যে ভালো বাসায় বিশ্বাস করতাম তার সাথে এই ক্লিক করার ভালোবাসার কোন পার্র্থক্য নেই বরং বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা অনেক বেশী কেমিষ্ট্রিকেই যাষ্টিফাই করে । সত্যি কথা বলতে আমার বিশ্বাসের জগতে এটা অনেক বড় একটা ধাক্কা ছিলো । আমি এখনো ভালোবাসা কে রবিন্দ্রনাথ দিয়ে বুঝতেই বেশী ভালোবাসব । কিন্তু মুশকিল হলো ধাতগতভাবেই আমার মস্তিষ্কের আবেগ অংশের চেয়ে যুক্তির অংশটা ধারালো বেশী । কাজেই ভালোবাসার রসায়নের ক্ষেত্রে না চাইলেও বিজ্ঞান আমাকে মানতে হচ্ছেই । ভালোবাসার পর্যায় বা স্তর হচ্ছে তিনটি 1. lust/ desire বা envy অর্থাৎ কাউকে পাওয়ার তিব্র বাসনা এর কারন হচ্ছে মস্তিষ্কে sex hormones testosterone এর নিশ্বরন । 2. দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে attraction stage বা আর্র্কষন পর্যায় এর জন্য দায়ী হচ্ছে 'monoamines' নামক একাধিক হরমন , নাম ধরে বললে : Dopamine, Norepinephrine বা adrenalin এবং Serotonin . এইটাতো মোটামোটি সবাইজানে যে শরীরে এড্রেনালীন এর পরিমান বেরে গেলে প্রচুর ঘাম হয় এবং হৃদস্পন্দন বেরে যায়। মজার বিষয় হলো প্রেমের সিমটম বলতে কিন্তু আমরা এগুলাকেই জানি। আর প্রেমে পরলে মানুষ বিভিন্ন পাগলামী করে যে হরমনের কারনে সেটা হচ্ছে Serotonin আর তিন নম্বর স্তর হচ্ছে এটাচমেন্ট বা সম্পর্ক ।কেউ যখন প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন নিশ্বরিত হয় Oxytocin এবং Vasopressin. ইনফ্যাক্ট প্রেমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুন্দর আমার মনে হয় অক্সিটসিন কে। প্রেমের স্থায়ীত্ব র্নিধারন করে এই হরমন।
এখন প্রেমের ক্ষেত্রে মজার কিছু তথ্য শেয়ার করি । নারী পুরুষ প্রেম কিন্তু প্রক্রিয়েশন এর শর্র্ত ছারা আর কিছু না । সমস্ত প্রেমেরই কিন্তু আল্টিমেট টার্গেট প্রক্রিয়েশন । আমরা মানুষ একে যতেই মহিমান্বিত করতে চাই না কেন আমাদের জীন কোডে লিখা আছে এইভাবে । তার মানে দারাচ্ছে পুরো প্রক্রিয়াটা আসলে এট্রাকশন, অগার্র্জম এবং প্রক্রিয়েশন ! এখানে ইনবিটুইন কিন্তু আর কিছু নাই। আরো মজার বিষয় হচ্ছে মানুষের ভাষার কিন্তু উদ্ভব হয়েছে প্রক্রিয়েশনের প্রয়োজনীয়তা থেকে । জীনগত ভাবেই পুরুষরা ভারী নিতম্ব সম্পন্ন নারী পছন্দ করে তার কারন এই ধরনের নারীদের সন্তান ধারন ক্ষমতা বেশী থাকে এবং মেয়েরা লম্বা এবং সুঠাম দেহী পুরুষ এর প্রতি আকর্র্ষণ বোধ করে কারন তাদের সন্তানের নিরপত্তা দিতে সক্ষম হবে শক্তিশালী পুরুষ। এখন এইযায়গাটায় আমি নিজে যোগ করতে চাই আধুনিক সময়ে শারীরিক শক্তির চেয়ে নিরাপত্তা শব্দটা যেহেতু টাকার সাথে যুক্ত হয়ে গেছে মেয়েরা অবচেতনভাবেই মোটা মানি ব্যাগ বেশী প্রেফার করে। এই কথাটা আমি মেয়েদের আচরনকে জায়েয করার জন্য বলছি না , যুক্তি তাই বলছে।
এখন আসেন প্রাথমিক আকর্ষন তৈরি হয় কিভাবে ? এ ক্ষেত্রে আপনার চোখ এবং ঘ্রান ইন্দ্রিয় একটা মূখ্য ভূমিকা পালন করে । আপনার জীন কোডে কিছু প্রেফারেন্স আছে যখন সেই জিনিষ আপনি পেয়ে জান অথবা তার কাছাকাছি কিছু মিলে যায় তখন আপনার lust/ desire বা envy কাজ করা শুরু করে। পারফিউম কম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা ইনভেষ্ট করে শুধুমাত্র মানুষের এই ঘ্রান প্রেফারেন্সটা বোঝার জন্য। কাজেই কৃত্তিমভাবে কেউ যদি আপনার প্রেফারেন্সের একটা পারফিউম দিয়ে ঘুরে বেরায় সেই যে আপনার মানস কন্যা বা পুরুষ না তা আপনি ধরবেন কি ভাবে । এইখানেই প্রেমের ক্ষেত্রে বিধি বাম আর কনজিউমার ওয়ার্র্ল্ডের জয়জয়কার !!!!!!!!

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×