রেহানা জাব্বারির মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ইরানের বক্তব্য
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বলেছে, সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই কিছুদিন আগে রেহানা জাব্বারিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমা যেসব কর্মকর্তা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা সঠিক নয় বরং ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহিলা মুখপাত্র মারজিয়ে আফখাম বলেছেন, “যে মামলা সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে পরিচালিত হয়েছে এবং আপিলের অধিকার দেয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন এ ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।”
সাত বছর আগে জাব্বারি এক ব্যক্তিকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং কয়েকদিন আগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তার এ মৃত্যুদণ্ডের পর আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপমূলক মন্তব্য করেছেন। এরপর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজ (বৃহস্পতিবার) এ বিবৃতি দিলেন।
এ সম্পর্কে মারজিয়ে আফখাম বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচার ব্যবস্থার আওতায় সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে জাব্বারির মামলা পরিচালিত হয়েছে এবং আইন বিভাগ দ্বারা প্রণীত বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেই বিচারকাজ শেষ হয়েছে।”
২০০৭ সালের জুলাই মাসে মোর্তেজা আব্দুল আলী সারবান্দি নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন জাব্বারি এবং গত শনিবার ভোরে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সরকারি কৌঁসুলি এ খবর নিশ্চিত করেন এবং তিনি জানান, জাব্বারি তার পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে সারবান্দিকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য তিনি দু দিন আগে ছুরি কিনেছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলা চলার সময় ২৬ বছর বয়সী রেহানা দাবি করেছিলেন, মোর্তেজা সারবান্দি তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার জন্যই তিনি তাকে ছুরি মেরে হত্যা করেন। তবে মামলার অধিকতর তদন্ত ও ঘটনাস্থলের আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার ওই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
এরপর চলতি মাসে জাব্বারির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয় এবং তার আইনজীবীকে সময় দেয়া হয় যাতে তিনি ভিক্টিম পরিবারকে খুনের দায় মাফ করে দেয়ার বিষয়ে রাজি করাতে পারেন। কিন্তু নিহত মোর্তেজা সারবান্দির পরিবার আসামী জাব্বারিকে মাফ করে দিতে রাজি হয় নি।
ইসলামি আইন অনুসারে, খুনের ঘটনা প্রমাণিত হলে যদি ভিক্টিম পরিবার বা নিহতের আত্মীয়-স্বজন মাফ না করেন তাহলে দোষী ব্যক্তিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। ইরানে ইসলামি আইন চালু রয়েছে সে কারণে এই মৃত্যুদণ্ড ঠেকানো বা স্থগিত করার কোনো সুযোগ ছিল না।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বলেছে, সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই কিছুদিন আগে রেহানা জাব্বারিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমা যেসব কর্মকর্তা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা সঠিক নয় বরং ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহিলা মুখপাত্র মারজিয়ে আফখাম বলেছেন, “যে মামলা সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে পরিচালিত হয়েছে এবং আপিলের অধিকার দেয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন এ ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।”
সাত বছর আগে জাব্বারি এক ব্যক্তিকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং কয়েকদিন আগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তার এ মৃত্যুদণ্ডের পর আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপমূলক মন্তব্য করেছেন। এরপর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজ (বৃহস্পতিবার) এ বিবৃতি দিলেন।
এ সম্পর্কে মারজিয়ে আফখাম বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচার ব্যবস্থার আওতায় সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে জাব্বারির মামলা পরিচালিত হয়েছে এবং আইন বিভাগ দ্বারা প্রণীত বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেই বিচারকাজ শেষ হয়েছে।”
২০০৭ সালের জুলাই মাসে মোর্তেজা আব্দুল আলী সারবান্দি নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন জাব্বারি এবং গত শনিবার ভোরে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সরকারি কৌঁসুলি এ খবর নিশ্চিত করেন এবং তিনি জানান, জাব্বারি তার পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে সারবান্দিকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য তিনি দু দিন আগে ছুরি কিনেছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলা চলার সময় ২৬ বছর বয়সী রেহানা দাবি করেছিলেন, মোর্তেজা সারবান্দি তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার জন্যই তিনি তাকে ছুরি মেরে হত্যা করেন। তবে মামলার অধিকতর তদন্ত ও ঘটনাস্থলের আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার ওই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
এরপর চলতি মাসে জাব্বারির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয় এবং তার আইনজীবীকে সময় দেয়া হয় যাতে তিনি ভিক্টিম পরিবারকে খুনের দায় মাফ করে দেয়ার বিষয়ে রাজি করাতে পারেন। কিন্তু নিহত মোর্তেজা সারবান্দির পরিবার আসামী জাব্বারিকে মাফ করে দিতে রাজি হয় নি।
ইসলামি আইন অনুসারে, খুনের ঘটনা প্রমাণিত হলে যদি ভিক্টিম পরিবার বা নিহতের আত্মীয়-স্বজন মাফ না করেন তাহলে দোষী ব্যক্তিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। ইরানে ইসলামি আইন চালু রয়েছে সে কারণে এই মৃত্যুদণ্ড ঠেকানো বা স্থগিত করার কোনো সুযোগ ছিল না।
সুত্রঃ রেডিও তেহরান
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ
একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।
ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!
বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন