somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিমান বন্দরের নামে আড়িয়াল বিলে রাষ্ট্রীয় ভূমি আগ্রাসন!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবি: ঢাকা-মাওয়া সড়ক অবরোধ-১ , মিজানুর রহমান

বর্তমান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সক্ষমতার অধিকাংশই অব্যাবহৃত রেখে, কোন ধরণের সম্ভ্যবাতা যাচাই এবং পরিবেশগত সমীক্ষা না করে, জাতীয় পানি নীতি(১৯৯৯) ভঙ্গ করে, জলাভূমির উপর নির্ভরশীল জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতির তোয়াক্কা না করে শাসক গোষ্ঠীর খায়েস হয়েছে আড়িয়ল বিল জলাভূমি বিনষ্ট করে নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর স্থাপন করার। থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমান বন্দরের আদলে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্দেশ্যে সম্ভ্যবতা যাচাই এবং পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া যাচাইয়ের আগেই মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর ও সিরাজদিখান এবং ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার এলাকার আড়িয়ল বিলের জমি অধিগ্রহণের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে সরকার। এরকম অধিগ্রহনের আদেশের একটি কপি আমাদের হাতে আছে যাতে দেখা যায় গত ১৩ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ১৪ টি মৌজার মোট ১০,৮৯৫.১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের আদেশ জারি করা হয়েছে।


আড়িয়ল বিলের জলাভূমি ও আবাদি জমি অধিগ্রহণের এই তৎপরতার বিরুদ্ধে গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের প্রায় ১০ কিমি এলাকা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর এবং ঢাকা জেলার নবাব গঞ্জ ও দোহার এলাকার হাজার হাজার অধিবাসী।


ছবি: ঢাকা-মাওয়া সড়ক অবরোধ-২, মিজানুর রহমান

সরকারের পরিকল্পনা:
প্রথমে ময়মনসিংহের ত্রিশালের কথা শোনা গেলেও , ভূমির প্রাপ্যতার সমস্যা ও ঢাকা থেকে অধিক দূরে হওয়ার কারণে ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ল বিল এলাকার ২৫ হাজার একর(১০১.১৭ বর্গ কি.মি.) এর বিশাল এলাকায় বঙ্গবন্ধু নগর ও বঙ্গবন্ধু বিমান বন্দরের এর এই মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে যার মধ্যে ৬ হাজার একর (২৪.২৮ বর্গ কিমি) জুড়ে তৈরী হবে বিমান বন্দর। পুরো প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যেই মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের ১০,৮৯৫ একর, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের ৭,০১৭ একর ও দোহারের ৭,১৮৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।(সূত্র: ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০, ডেইলিস্টার থাইল্যান্ডের সুবর্ণ ভূমি বিমান বন্দরের আদলে ৯ হাজার ফিট দৈর্ঘ্যরে ২ টি রানওয়ে সম্বলিত বিমানবন্দর নির্মানের মাধ্যমে প্রকল্পটি শুরু হবে। সরকারি বেসরকারি অংশীদ্বারিত্ব বা প্রাইভেট পাবলিক পার্টনার শিপের(পিপিপি) মাধ্যমে বিল্ড-ওন-অপারেট-ট্রান্সফার(বিওওটি) এর ভিত্তিতে বিমান বন্দরটি নির্মিত হবে। ৭০০ কোটি ডলার বা ৫০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি আগামি ৫ বছরের মধ্যেই শেষ করতে চায় সরকার। এই ব্যায়বহুল বিমান বন্দর প্রকল্পে বিনিয়োগ করার জন্য ইতিমধ্যে অনানুষ্ঠানিক ভাবে সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশন, দক্ষিণ আফ্রিকার মুরে এন্ড রবার্টস কর্পোরেশন, পেন্টা ওশান কনস্ট্রাকশন এবং ওবায়াশি কর্পোরেশান এর মতো বহজাতিক সংস্থা। সূত্র: ডেইলিস্টার, ১২ এপ্রিল, ২০১০



ছবি: গুগল আর্থে আড়িয়ল বিল প্রকল্প এলাকা

নতুন বিমান বন্দর কতটুকু প্রয়োজনীয়
নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব শফিক আলম মেহেদি বলেছেন: ”বিমান চলাচল দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামি ৫/৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের একটি নতুন বিমান বন্দর লাগবে।” তিনি আরো বলেছেন:”বিমান বন্দরটি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা দেশের সাথে কার্গো পরিবহন বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের একটি নতুন গেইট ওয়ে দরকার।”(সূত্র: দ্য নিউ নেশন, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১০

বাস্তবতা হলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ক্ষমতাই অবব্যবহৃত রয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়াও আরো ২ টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে : শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ও ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট। অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল এবং কক্সবাজারে মোট ৫টি বিমানবন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলোকে আপগ্রেড না করে এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুরো ক্ষমতা ব্যবহার না করে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সম্পূর্ণ নতুন একটি বিমানবন্দর তৈরী করতে যাওয়ার যুক্তি হাস্যকর।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক রানওয়ে সম্পন্ন্ বিমানবন্দর যেখানে প্রতি ঘন্টায় মাত্র ৬টি বিমান উঠায় নামা করে।
সূত্র: New airport at Trishal: Flight of fancy or urban nightmare? By Rashiduddin Ahmad
অথচ কোন এক রানওয়ের বিমান বন্দরে সাধারণত ৬০টির মতো বিমান চলাচল করতে সক্ষম। হিসেবটি এরকম: একটি বিমান ল্যান্ডিং করার জন্য ৪৫ থেকে ৭০ সেকেন্ড সময় রানওয়েতে থাকে। গড়ে রানওয়েতে থাকার সময় বা রানওয়ে অকুপেন্সি টাইম(আরওটি) ৬০ সেকেন্ড ধরলে ১ ঘন্টায় অর্থাৎ ৩৬০০ সেকেন্ড সময়ে মোট ৩৬০০/৬০ = ৬০ টি বিমান ওঠা নামা করতে পারে।



যদি সাবধানতা হিসেবে ওয়েক ভোরটেক্স সেপারেশান ডিসটেন্স, ইন্টার অ্যারাইভাল সেপারেশান ডিসটেন্স ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে হিসেব করা হয় তাহলে প্রতি ঘন্টায় এক রানওয়ের এক বিমানবন্দরে অন্তত পক্ষে ৩১ টি বিমান উঠা নামা করতে পারে।


এ বিবেচনায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বর্তমানে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতার মাত্র ৫ ভাগের এক ভাগ ব্যাবহার করছে!


এছাড়া সম্প্রতি বিমান বন্দরে ২ লক্ষ বর্গফুট ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কার্গো ভিলেজ তৈরী করা হয়েছে এবং টার্মিনাল ভবনের ও স¤প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজেদের ওয়বসাইট অনুসারেই বর্তমান বিমানবন্দরটি আগামী বিশ বছর বা তারও বেশি চাহিদা মেটাতে সক্ষম।



তাহলে কেন সিংগাপুর বা ব্যাংককের খোয়াব দেখিয়ে জলাভূমি ও কৃষিজমি নষ্ট করে, জনগণকে উচ্ছেদ করে নতুন একটি বিমানবন্দরের পরিকল্পনা?

যদি বাড়তি ক্যাপাসিটি তার পরও দরকার হয় তাহলে বর্তমান বিমানবন্দরটি সম্প্রসারণ করে এক রানওয়ের বদলে দুই রানওয়ের বিমান বন্দরে পরিণত করাই তো সবচেয়ে ভালো। না, শাসক শ্রেণী উত্তরা আর নিকুঞ্জ এলাকার অভিজাতদেরকে সমস্যায় ফেলতে বা উচ্ছেদ করতে কোন ভাবেই রাজী নয়। ঠিক আছে অভিজাত আবাসিক এলাকা বাদ দিলাম, বিমান বন্দরের পাশ্ববর্তী ঢাকা ক্যান্টনমেন্টর বিশাল এলাকা থেকে কিছু অংশ অধিগ্রহণ করেও তো বিমান বন্দরের সম্প্রসারণের কাজটি সারা যায়!


জলাভূমিতে বিমানবন্দরের নির্মাণের সমস্যা: থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা
পরিবেশগত দিক ছাড়াও জলাভূমিতে বিমানমন্দর নির্মাণ কারগরি বিবেচনাতেও বিপদজনক ও ব্যায়বহুল। যে থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের আদলে আড়িয়ল বিলে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেই সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা কিন্তু সেরকমই বলে। বিমানবন্দরটি কোবরা সোয়াম্প নামের একটা জলাভূমির উপর ৩৯০ কোটি ডলার খরচ করে তৈরী করা হয়েছিলো। জলাভূমির উপরে অবস্থিত হওয়ার কারণে ২০০৬ সালের সেপ্টম্বরে বিমানবন্দরটি চালু হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই রানওয়ে যাওয়ার ট্যাক্সিওয়েতে ফাটল দেখা দেয় এবং ফাটলগুলো বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একপর্যায়ে পশ্চিম দিকের রানওয়েতে একটি এবং ট্যাক্সিওয়ের ২৫ টি বিভিন্ন স্থানে মোট ১০০ টি পয়েন্টএ ফাটল দেখা দেয়, ৭ টি স্থান দেবে যায়।
(সূত্র:
Click This Link
Click This Link)

সঙ্গত কারণেই আড়িয়ল বিল এলাকায় বিমানবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পানি সম্পদ পরিচালনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলি ম.ইনামূল হক বলেছেন: ”বিলটি প্রতিবছর বন্যায় ১৫-২৫ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। তাই এখানে বিমানবন্দর ও বঙ্গবন্ধু নগরী করতে হলে সমগ্র এলাকা ২০-৩০ ফুট বালু দিয়ে ভরাট করতে হবে। তাছাড়া স্যাটেলাইট ছবিতে এই এলাকার মাটিতে পিট কয়লার স্তর দেখা যায় বিধায় এখানে বিমানবন্দরসহ নির্মিত যেকোন স্থাপনাই দেবে যাওয়ার সার্বক্ষণিক হুমকিতে থাকবে। ল্যান্ডিং বা টেক অব ওয়েট ৪০০ থেকে ৮০০ মেট্রিকটন সম্পন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী বিমানগুলোর ওঠানামার জন্য পিটকয়লার গভীর স্তরের উপর বিমানবন্দর নির্মাণ ভাবাই যায় না।” (সূত্র: প্রথম আলো, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০)

জলাভূমি, পরিবেশ ও জাতীয় পানি নীতি
জাতীয় পানি নীতি(১৯৯৯)’র আর্টিক্যাল ৪.১৩ তে বলা হয়েছে: ”হাওড়, বাওড় এবং বিলের মতো জলাভূমি তাদের বিশেষ আঞ্চলিক বৈশিষ্টের কারণে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ছাড়াও অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত বিবেচনায় এগুলোর মূল্য অনেক।... অতীতে প্রকৌশলগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অনেক বিলকে শুকিয়ে ফেলা হয়েছে... পরিবেশের উপর এর ফলাফল হয়েছে ভয়াবহ। এলাকার দরিদ্র জনগণের প্রয়োজনীয় মাছ এবং জলজ সবজির উৎস ধবংস হয়ে গিয়েছে... এই কারণে সরকার নিম্নলিখিত নীতিমালা গ্রহণ করেছে:
ক) বিল, হাওড় এবং বাওড়ের মতো জলাভূমিগুলোকে পানি নিষ্কাশন এবং জলজ পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সংরক্ষণ করা হবে।
খ) শুধু মাত্র সেসব প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হবে যেগুলো এ সমস্ত জলাভূমির জলজ বৈশিষ্টের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না ।
গ) এই সব জলাভূমির মৎস উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।...."


১৯৯৯ সালে এই পানি নীতি চূড়ান্ত করার সময় এর ভূমিকায় তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন:”এই ধরণের নীতিমালার অভাবে ইতোমধ্যেদেশের জীব বৈচিত্র এবং পরিবেশের ব্যাপক্ষ ক্ষতি হয়েগিয়েছে।” (সূত্র: জাতীয় পানি নীতি, ১৯৯৯

অথচ এখন সেই পানি নীতি ভঙ্গ করেই আড়িয়াল বিলের মতো বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিল ধবংসের প্রকল্প হাতে নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার!

সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ গত ক্ষতি
আড়িয়ল বিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তিনটি জলাভূমির একটি। এখানে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর মাছ এবং আমন ধানের চাষ হয়। শুকনো মৌসুমে রবি শস্য ও বোরো ধান ফলে। এ বিলকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ কৃষক, জেলে ও দিনমজুরের জীবিকা নির্বাহ হয়। ফলে পরিবেশ গত বিবেচনা ছাড়াও অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবেও এই বঙ্গবন্ধু বিমান বন্দর ও বঙ্গবন্ধু নগরী স্থানীয় জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। তাই সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ তাদের সম্ভাব্য ক্ষতির একটা হিসেব লিফলেট আকারে প্রকাশ করেছে যেখানে তারা দেখিয়েছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় ১০ লক্ষ ও বহিরাগত ১ লক্ষ মানুষের জীবিকা ধবংস হবে এবং বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টন ধান ও ১০ কোটি টাকার মাছ থেকে বঞ্চিত হবে যা জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের এই কালে গোটা দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকীতে ফেলে দেবে।


কাজেই আমরা পরিবেশ, কৃষি, মানুষের জীবন ধ্বংসকারী, মাত্রাছাড়া ব্যায়বহুল, অপ্রয়োজনীয় ও স্রেফ শাসকের খায়েশ মেটানোর এই বঙ্গবন্ধু বিমান বন্দর ও বঙ্গবন্ধু নগর তৈরীর এই প্রকল্প বাতিল করার দাবী জানাচ্ছি এবং এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী স্থানীয় জনসাধারণের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি।

কৃতজ্ঞতা: আড়িয়ল বিল এলাকাবাসীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের বক্তব্য, লিফলেট সংগ্রহ করা এবং আন্দোলন সংগ্রামের ছবি তুলেছেন আমাদের ডেমরার বন্ধু মিজানুর রহমান।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৯
৬৩টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×