এখন এইসব ব্লকে আবার নতুন করে পিএসসি করতে চাওয়ার কারণ হলো ক্যাপাসিটির সমস্যার কথা বলে বাপেক্সের হাতে থাকা সম্ভবনাময় ব্লকগুলোও (এর মধ্যে পড়তে পারে বাপেক্স কর্তৃক সুনামগঞ্জ নেত্রকোণা অঞ্চলে আবিস্কৃত সুনেত্রা গ্যাস ক্ষেত্র যাতে ৪.৫ টিসিএফ পরিমাণ গ্যাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ক্ষেত্রটির উপর শেভরণ আর কনোকো ফিলিপস এর মুনাফা নজর পড়েছে) বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া(বৈঠকে বাপেক্স তার সামর্থ্য অনুযায়ি কতগুলো ব্লকে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম সে বিষয়ে জুন মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন চেয়েছে মন্ত্রণালয়!) এবং সেই সাথে বিদেশী কোম্পানির হাতে থাকা কথিত ”অলাভজনক” ব্লকগুলোকে নতুন পিএসসি চুক্তির মাধ্যমে তাদের জন্য লোভনীয় ও লাভজনক করে তোলা। বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া বেশির ভাগ ব্লকেই বহুজাতিক কোম্পানি গুলো লাভজনক না হওয়ার অযুহাতে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলণ কার্যক্রম চালায় নি। এখন নতুন করে গ্যাসের সংকটের প্রেক্ষিতেও এদেরকে দিয়ে গ্যাস তোলার কাজ করানো যাচ্ছেনা যদি না সেসময় পিএসসি চুক্তিতে গ্যাসের যে সর্বোচ্চ দাম বেধে দেয়া আছে সেটা আরো বাড়ানো হয় এবং তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়। যেমন ১৯৯৭ এর মডেল পিএসসি অনুসারে বিদেশী কোম্পানিগুলো ১ মেট্রিকটন হাইসালফার ফুয়েল ওয়েলের সমপরিমাণ গ্যাসের দাম পেট্রবাংলার কাছে সর্বোচ্চ ১৪০ ডলার করে রাখতে পারবে(অর্থাৎ প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস পেট্রবাংলার কাছে সর্বোচ্চ ৩.৩৮ ডলার বা ২৩৬ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে) এবং কোন ক্রমেই পেট্রবাংলা ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে পারবে না। এখন নতুন করে পিএসসি করার মানে হলো আন্তর্জাতিক বিডিং এ এই কোম্পানিগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পুরোনো ব্লকগুলো তো হস্তগত করবেই এমনকি বাপেক্সের হাতে থাকে থাকা ব্লকগুলোও তাদের হাতে চলে যেতে পারে। তাছাড়া নতুন পিএসসির ফলে পার্থক্য হবে পেট্রাবাংলার কাছে বিক্রি করা গ্যাসের সর্বোচ্চ দামে এবং তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির অনুমোদন প্রাপ্তিতে। মডেল পিএসসি ২০০৮ এ গ্যাসের সর্বোচ্চ দাম ১৯৯৭ এর পিএসসির ১৪০ ডলার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১৮০ ডলার। মডেল পিএসসি ২০১১ তে হয়তো আরো বাড়ানো হবে। আর বিদেশে রপ্তানির অনুমতি না দেয়া হলেও তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির অনুমোদন দেয়ার মানে হচ্ছে পেট্রোবাংলার কাছে সর্বোচ্চ ১৪০ বা ১৮০ ডলার মূল্যে গ্যাস বিক্রির বাধ্যকতা আর থাকলো না, কোম্পানিগুলো দেশের ভিতরেই বিভিন্ন দেশী বিদেশী বেসরকারি কোম্পানির কাছে উচ্চমূল্যে গ্যাস বিক্রি অর্থাৎ দেশের ভিতরেই রপ্তানি মূল্য আদায় করতে সক্ষম হবে। ফলে পেট্রবাংলাকে তখন হয় আরো উচ্চমূল্যে গ্যাস কিনতে হবে অথবা গ্যাসের অভাবে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সার কারখানাগুলোকে বন্ধ করে রাখতে হবে!
বর্তমান সংকটও বিদেশ নির্ভরতার ফল:
গ্যাসের সংকটের মধ্যে দ্রুত গ্যাস উত্তোলণের কথা বলে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানিকে গ্যাস ব্লকগুলো নতুন করে ইজারা দেয়ার কথা বলা হলেও আসলে বিদেশ নির্ভরতাই বর্তমান সংকটের মূল কারণ। ৮০ ভাগ মালিকানা দিয়ে বিদেশী কোম্পানিগুলোকে গ্যাস ক্ষেত্র ইজারা দেয়া হলেও তারা সময় মতো গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলণ কার্যক্রম চালায় নি বলেই আজকে এই অবস্থা। উদাহরণ স্বরূপ ২২, ২৩, ১৭, ১৮, ১০, ৭ ও ৫ নম্বর ব্লকগুলোর কথা বলা যেতে পারে। অতিস¤প্রতি এরমধ্যে কেবল ৭ নং ব্লকে কাজ শুরু হলেও ১৯৯৩ ও ১৯৯৭ সনে ইজারা দেয়ার পর বহুবছর পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশ আজও জানতে পারেনি ব্লকগুলোর মজুদ কত! কারণ কেয়ার্ন, ইউনিকল, ইউনাইটেড মেরিডিয়ান, ওমান এনার্জি, শেলওয়েল, ওকল্যান্ড, রেক্সউডের মতো কোম্পানিগুলোর কাছে ব্লকগুলো কেবল হাতবদল হয়েছে, কোন কাজই হয় নি। গ্যাস অনুসন্ধান-উত্তোলন লাভজনক হবে না, রপ্তানি করা যাবেনা কিংবা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করা যাবে না ইত্যাদি অযুহাতে এই পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে যে এতদিন পর আবার নতুন করে স্থলভাগের গ্যাসব্লক গুলোতে গ্যাস অনুসন্ধান করতে হচ্ছে। অথচ পিএসসি বা উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুসারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলণ কার্য শুরু করার বাধ্যবাধকতা থাকে কিন্তু বিদেশ নির্ভরতার কারণে ও বহুজাতিকের স্বার্থই প্রাধান্য পাওয়ার কারণে সেই কাগুজে আইন আর বাস্তবায়ন হয় না। এখন আবার বলা হচ্ছে, গ্যাস ব্লক ইজারা পেয়ে কোন কোম্পানি যদি তা সম্পন্ন না করে তাহলে নতুন মডেল পিএসসি ২০১১ তে আইনি ব্যাবস্থা রাখা হবে। অথচ পুরোনো পিএসসিগুলোতেই নির্দিষ্ট সময়ে গ্যাস অনুসন্ধান বা উত্তোলণ না করলে চুক্তি বাতিলের বিধান ছিল, কই সেটা তো বাস্তবায়ন হয়নি! তাহলে নতুন আইনি বিধানের কথা তুলার যুক্তি কি আর সেটা বাস্তবায়নের নিশ্চয়তাই বা কি!
মালিকানা ও খরচের প্রশ্ন:
উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি বা পিএসসির মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানির মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আপত্তিকর বিষয়টি হলো গ্যাসের মালিকানা বিদেশীদের হাতে চলে যাওয়া ও উত্তোলণের বাড়তি খরচের বিষয়টি। এর ফলে নিজেদের গ্যাস আমাদেরকে বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি দামে বৈদেশিক মুদ্রায় কিনে নিতে হয়। আগের পিএসসি গুলোতে আমরা দেখেছি, এবং মডেল পিএসসি ২০০৮ অনুসারে করা মডেল পিএসসি ২০১১ তেও আমরা দেখবো, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য বিদেশী কোম্পানির হাতে যাচ্ছে উত্তোলিত গ্যাসের ৮০ শতাংশ মালিকানা এবং সেই সাথে কস্ট রিকভারি’র নামে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে বছর বছর হাজার হাজার কোটি টাকা। দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স কূপ অনুসন্ধান, কুপ উন্নয়ণ, গ্যাস উত্তোলন ও প্রসেসিং প্ল্যান্ট সব মিলিয়ে গড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে(প্রতি তিনটি কূপ খনন করে একটিতে সফল এই হিসেবে দুইটি শুস্ক কুপ খননের বাড়তি খরচও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে) গড়ে ২৪৫ বিসিএফ(বিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাস উত্তোলন করে যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ২০ হাজার ৪১ কোটি টাকা(১ জুন ২০০৯ এর বাজার দর অনুসারে ১ ব্যারেল তেলের দাম ৬৬ ডলার ধরে)। অথচ বহুজাতিক কোম্পানির সাথে পিএসসি চুক্তির ফলে গড়ে তাদের কাছ থেকে ২৪৫ বিসিএফ গ্যাস পেতে হলে পিএসসি অনুসারে প্রতি মেট্রিকটন তেলের দাম সর্বোচ্চ ১৪০ ডলার অর্থাৎ প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের মূল্য ৩.৩৮ ডলার বা ২৩৬ টাকা ধরলে খরচ করতে হয় ৪৬২৫.৬ কোটি টাকা। আর বর্তমানে ১৪০ ডলারের বদলে ১৮০ ডলার ধরলে অর্থাৎ প্রতি হাজার ঘনফুটের মূল্য ৪.৩৪ ডলার বা ৩০৪ টাকা ধরলে খরচ করতে হবে ৫৯৫৮.৪ কোটি টাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে বাপেক্স উত্তোলণ করলে যে গ্যাস আমরা ৪০০ কোটি টাকায় পেতাম সেটা পুরোনো পিএসসি অনুসারে আমাদেরকে ৪,৬২৫.৬ কোটি টাকায় বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে আর নতুন পিএসসি হলে অন্তত: ৫৯৫৮.৪ টাকায় কিনতে হবে!
বাপেক্সের সক্ষমতা ও পুঁজির অভাব?
বিদেশী বিনিয়োগের নামে আমাদের জাতীয় সম্পদ বহুজাতিক কর্পোরেশনের হাতে তুলে দেয়ার যুক্তি হিসেবে সব সময়ই যে দুটি বিষয়ের কথা বলা হয় তা হলো পুঁিজ ও দক্ষতার অভাব। স্থলভাগ কিংবা সাগরের গ্যাস ব্লক ইজারা প্রদান কিংবা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বহুজাতিক কোম্পানি কর্তৃক ফুলবাড়ি-বড়পুকুরিয়ার কয়লা উত্তোলনের তৎপরতা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই এ দুটো অযুহাত প্রদান করা হয়। মডেল পিএসসি ২০০৮ এর মাধ্যমে সাগরের তিনটি গ্যাস ব্লকের ৮০% মালিকানা ও রপ্তানির সুযোগ কনোকো ফিলিপস ও টাল্লোর হাতে তুলে দেয়ার তৎপরতার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাপেক্সের দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এবং এ কাজে বহুজাতিকের তুলনায় খুব স্বল্প পুঁজির প্রয়োজন হলেও কেন এখন মডেল পিএসসি ২০১১ এর মাধ্যমে স্থলভাগ ও অল্পগভীর ৩১ টি ব্লকের গ্যাস বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার ধান্দা করা হচ্ছে?
গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলণের জন্য বাপেক্সকে ৪০০ কোটি টাকা দেয়ার সময় পুঁজির অভাব হয় কিন্তু একই পরিমাণ গ্যাস বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে ৪/৫ হাজার কোটি টাকায় কিনে নেয়ার সময় পুঁজির অভাব হয় না! আর দক্ষতা বা সক্ষমতা? স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলণের এমন কোন কাজ নেই যা বাপেক্স দক্ষতার সাথে স্বল্প খরচে সম্পন্ন করতে পারেনা । ২ ডি এবং ২ডি সিসমিক সার্ভে থেকে শুরু করে গ্যাস অনুসন্ধান, কুপ খনন ও গ্যাস উত্তোলণের সকল কাজ বাপেক্স সফল ভাবে শুধু নিজের ব্লকগুলোতেই করছে না, এমনকি বিদেশী কোম্পানিগুলোকেও সাবকণ্ট্রাকটর হিসেবে এই কাজগুলো করে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়: বাপেক্স ফেনী-২ এ নাইকোর একটা অনুসন্ধান কুপ খনন করে দেয়, টালে−ার হয়ে লালমাই ও বাঙ্গোরায় সিসমিক সার্ভের কাজ করে, চাঁদপুরে একটা কন্ট্রোলন পয়েন্ট স্থাপন করে দেয় এবং বাঙ্গোরায় টালে−ার একটা কুপও (ওয়ার্ক ওভার) খনন করে দেয়। তাছাড়া বাপেক্সের সাফল্যের হারও বিদেশী কোম্পানির তুলনায় বেশি: বিদেশী কোম্পানিগুলো যেখানে প্রতি ৩ টি কুপ খননে ১ টি সাফল্য পেয়েছে বাপেক্স সেখানে প্রতি ১.৩৩ টি কুপ খননে ১ টি সাফল্য পেয়েছে এবং এই সাফল্য অর্জনের বেলায় অক্সিডেন্টাল ও নাইকোর মতো ’উন্নত প্রযুক্তি’ ওয়ালা কোম্পানিগুলোর মতো মাগুরছড়া ও টেংরাটিলার ধাচে পরিবেশ ও সম্পদ বিনাশী দুর্ঘটনা একটিও ঘটায় নি!
ফলে এখন বাপেক্সের দক্ষতা নাই একথা বলে বিদেশী কোম্পানির কাছে আর গ্যাস ক্ষেত্র তুলে দেয়া যাবে না এ কথা শাসক শ্রেণীও জানে। তাই এখন বলা হচ্ছে ক্যাপাসিটির কথা অর্থাৎ বাপেক্সকে দিয়ে নাকি এক সাথে বেশি গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধান করানো যাবে না, কারণ বাপেক্সের ”পর্যাপ্ত” যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে, যেন এই যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল বাড়িয়ে ”পর্যাপ্ত” করা একেবারেই অসম্ভব! কিন্তু প্রশ্ন হলো, গ্যাসের সংকট তো হঠাৎ করে আকাশ থেকে নাযেল হয় নি, দিনে দিনে সংকট বেড়েছে, গ্যাস উত্তোলণের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। তাহলে দিনে দিনে কেন বাপেক্সের ক্যাপাসিটি বাড়ানো হলো না কিংবা কেন ”পর্যাপ্ত” দক্ষ জনবল ও যন্ত্রপাতি ওয়ালা বিদেশী কোম্পানিগুলোকে ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গ্যাস ব্লকগুলো ফেলে রাখতে দেয়া হলো? কেন চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে সেগুলো বাপেক্সের হাতে তুলে দেয়া হলো না, সেই সাথে ধীরে ধীরে বাপেক্সের জন্য প্রয়োজনীয় রিগ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও দক্ষজনবল বাড়ানো হলো না?
কৌশলটা নতুন নয়, দীর্ঘ ব্যাবহারে ফলে এটা এখন আর কৌশল নয়, বিরাষ্ট্রীয়করণের রাষ্ট্রীয় নীতিতেই পরিণত হয়েছে- সময় থাকতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা/সামর্থ্য বাড়ানোর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ভয়াবহ সংকট তৈরী করা হয় এবং পরে সেই সংকটের অযুহাতে বিদেশী কোম্পানির হাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ তুলে দেয়া হয়। নীতি বা কৌশল যাই বলি না কেন ধান্দাটা যখন পরিস্কার, তখন সামর্থ্য বা ক্যাপাসিটি না থাকার যুক্তি দিয়ে আর বিদেশী কোম্পানির হাতে গ্যাস তুলে দেয়া যাবে না বরং দ্রুত বাপেক্সের সামর্থ্য বাড়িয়ে বাপেক্সের মাধ্যমে গ্যাসের শতভাগ জাতীয় মালিকানা বজায় রেখেই এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪১