somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথাচ্ছলে মহাভারত - ৮৪

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[পূর্বকথা - দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরে অর্জুন অনায়াসে লক্ষ্যভেদে সক্ষম হলেন ...অন্যান্য রাজা ক্রুদ্ধ হল... অর্জুনের সাথে তাদের যুদ্ধ শুরু হল .... ব্রাহ্মণদের সাথেও ক্ষত্রিয়দের যুদ্ধ শুরু হল...কর্ণও হার মানলো...যুদ্ধে বিমুখ হয়ে রাজারা পলায়ন করল...]

রাজাদিগের যুদ্ধভঙ্গের বিবরণঃ



সব ঘটনা শুনে রাজা জন্মেজয় আশ্চর্য হলেন।
বিনয়ের সাথে তিনি মুনিবরকে জিজ্ঞেস করলেন –এই অদ্ভূত কথা আরেকটু শোনান। পৃথিবীর সব রাজারা সেখানে মিলেছিলেন। অসংখ্য অর্বুদ সৈন্য যা গণনাতীত-সবাইকে সেই দুইভাই পরাজিত করলেন। দ্রুপদরাজা ক্ষত্রিয় হয়েও ভয়ে সভা মাঝে কন্যা ফেলে পালালেন। কোথায় গেলেন ধর্মপুত্র মাদ্রীপুত্রদের নিয়ে! কোথায়ই বা গেলেন যদুবংশী শ্রীরাম(বলরাম)-অচ্যুত(স্বীয় পদ হতে যিনি চ্যুত হন না- বিষ্ণু/কৃষ্ণ)। সারা পাঞ্চালনগরে ভাঙচুর যখন হল, তখন কুম্ভকার ঘরে কুন্তীর কি হল! প্রাণভয়ে প্রজারা দেশান্তরে গেল। অন্তপুরে কি হল জানান। হৃদয়ে আমার এই অপূর্ব কথন শোনার উল্লাস জেগেছে।

মুনি বলেন –রহস্য শুনুন, কুরুরাজ! যখন ক্ষত্রিয় সমাজ ঘিরে ধরেছিল তখন দ্রুপদরাজাও অনেক যুদ্ধ করেন ধৃষ্টদ্যুম্ন, সত্যজিৎ ও শিখন্ডীকে সঙ্গে নিয়ে। শিশুপালের সাথে সত্যজিতের যুদ্ধ হল। বিরাট ও শিখন্ডীর যুদ্ধ লোকে দেখল। তিন অক্ষৌহিনী সৈন্যদল নিয়ে তারা মহাযুদ্ধ করল। অনেক সংগ্রাম করে সৈন্যদের প্রাণ গেল। জরাসন্ধের সাথে দ্রুপদে যুদ্ধ হল। ধৃষ্টদ্যুম্ন করল কীচকের সাথে যুদ্ধ।
সব দেখে শুনে দ্রণাচার্য দুর্যোধনকে ডেকে বলেন –যুদ্ধ থামাও ব্রাহ্মণদের সাথে যুদ্ধে কাজ নেই।ব্রাহ্মণের তেজ সর্বজন বিদিত। তাদের সাথে যুদ্ধ উচিত নয়। অবিহিত কর্ম করলে ধর্ম সহ্য করবেন না। অধর্মে প্রবৃত্ত হলে জয় কখনও হবে না। অনাথ দুর্বলের সাথে কৃষ্ণ বলবান সর্বক্ষণ আছেন জানবে। তাঁর সামনে দুষ্ট কর্ম করা ভাল নয়। গরুড় আরূঢ় হয়ে আছেন শ্রীপতি, তাঁর বলেই বীরজন যুদ্ধে লড়েন। হৃষীকেষ(হৃষীক-ইন্দ্রিয়+ঈশ-দেবতা=কৃষ্ণ) ক্রুদ্ধ হওয়ার আগে চল ভালোয় ভালোয় প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরে যাই।

ভীষ্ম বলেন –ইনি কুন্তীপুত্র পার্থ নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারছি। অচল পর্বতের মত দাড়িয়ে আছেন। কারো শক্তি নেই একে পরাজিত করার। সাধারণ মানুষের পক্ষেও এমন লক্ষ্যভেদ অসম্ভব। কেইবা একা এত বিপক্ষকে নিবারণ করতে পারেন। শরতের মেঘ যেমন পবনকে উড়ায় তেমনি ভাবে সে বড় বড় রাজা রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য করেছে।
ভীষ্ম আরো বলেন –দ্রোণ এখান থেকে যাবই বা কি ভাবে। লক্ষ রাজা এক ব্রাহ্মণকে ঘিরে ধরেছে। পরের জন্য, ব্রাহ্মণদের জন্য সাধুজনের জীবন ত্যাগ করতে হয়–নীতিশাস্ত্রে এমন কথা বলে সর্বক্ষণ। আমার সামনে এমন অন্যায় দেখে যাই কি করে! এই ব্রাহ্মণকে রক্ষার জন্য আজ রাজাদের মারব। আমি আচার্য তোমাকে একাজে চাই না। প্রাণপণে লোকে নিজে থেকেই স্বজাতির সাহায্য করে। দেখ হীনবস্ত্র দুর্বল ব্রাহ্মণরা জাতির কারণে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে। ইনি যদি ব্রাহ্মণ না হয়ে কুন্তীপুত্র হন। তাকেইবা এই সঙ্কটে কিভাবে ফেলে যাই!

দ্রোণ বলেন –একা পার্থ এদের জন্য যথেষ্ঠ। আজই পার্থের প্রকৃত বিক্রম বোঝা যাবে। এই যে অর্জুন যুদ্ধে পরিশ্রম করছেন-দেখ তাঁর বন্ধুরা ইনিই দুষ্টজনের যম। মুহুর্তে ইনি সবার সংহার করবেন। এখানে আর থাকার প্রয়োজন নেই। ওই দেখ বেগের সাথে হাতে তরুবর নিয়ে যিনি তেড়ে আসছেন তিনি আর কেউ নন বীর বৃকোদর ভীম। আমি তাঁর চরিত্র ভাল ভাবেই জানি। যুদ্ধে পরাপর জ্ঞান তাঁর থাকে না। আগের সেই ছোট্ট ভীমা বলে তাকে আর ভেব না। পিতামহ বলে তোমাকেও রেহাই দেবে না। জতুগৃহে পোড়ানোর ক্রোধ এখনও আছে। দেখ এই দিকেই গাছ হাতে এগিয়ে আসছে। চল এখান থেকে শীঘ্র সরে যাই নইলে মৃত্যু সামনে।

বৃক্ষের বারি খেতে হবে বুঝে ভীষ্ম দ্রোণের কথা মত সে স্থান ত্যাগ করলেন। দুর্যোধনও তার সৈন্য নিয়ে তাদের সাথে চলে গেল।

মহাভারতের কথা অমৃত সমান, কাশীদাস কহেন সাধু শুনে পুণ্যবান।
..........................................



ভীমের যুদ্ধে রাজপরিবারদিগের ত্রাসঃ


ভীমের ভৈরব নাদ, ভয়ঙ্কর মূর্তি, হাতে বৃক্ষ দেখে মনে হয় যেন যুগান্ত সামনে উপস্থিত। রাজারা চারদিকে দৌড়ায়, নগরে মহারোল ওঠে।

সে সময় অন্তপুরের একজন দ্রৌপদীর কাছে এসে কেঁদে বলে –দেখ ছত্রভঙ্গ সৈন্যের দল সিন্ধু উথলানোর মত নগরে ঘুরছে, অত্যাচার করছে, ঘর-দ্বার ভাঙ্গছে। প্রাণ ভয়ে প্রজারা দেশান্তরে যাচ্ছে। অন্তঃপুরের অবস্থাওও যানা যাচ্ছে না। তোমার কারণে রাজা ধনে প্রাণে দেশ রাজ্য নিয়ে বিপদে নিমজ্জিত হচ্ছেন।

শুনে দ্রুপদ নন্দিনী কাতরা হয়ে বলেন –কেশিনী, দ্রুত জনক দ্রুপদের কাছে গিয়ে বল যুদ্ধ ত্যাগ করতে। নিজের প্রাণ রক্ষা করে আত্মীয়-কুটুম্বদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ কর। বল আমি অনুরোধ করেছি স্ত্রী-সন্তানকে রক্ষা করুন। নিজের প্রাণরক্ষা করে স্ত্রীধন বাঁচান। নিজে প্রাণে বাঁচলে সকলি ধিরে ধিরে ফিরে পাবেন। আমার কারণে সবংশ ধ্বংস হবেন না। যে পণ পিতা করেছিলেন তাতো পূর্ণ হয়েছে। ব্রাহ্মণ লক্ষ্যভেদ করেছেন, সকলে তা দেখেছেন। আমি এখন এই ব্রাহ্মণের হয়েছি, ভালমন্দ যা হবে তা আমি বুঝে নেব। যাও শীঘ্র গিয়ে আমার বার্তা পিতাকে যানাও।

কন্যার বার্তা পেয়ে দ্রুপদ ব্যথিত হলেন।
পুত্রদের করুণ ভাবে বলেন –যাজ্ঞসেনী বলে পাঠিয়েছে যুদ্ধ বন্ধ কর। এ সৈন্য-সাগর নিবারণ আমাদের পক্ষেও সম্ভব নয়। সমানে সমানে সংগ্রাম সুশোভন। কিন্তু পতঙ্গের মত অগ্নিতে ঝাঁপ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিশেষত অন্তপুরে স্ত্রীদের কি হল জানি না। নিজেদের প্রাণরক্ষা করে অন্তপুরবাসিদের সাহায্য কর। আমি এখানে দ্বিজ ব্রাহ্মণদের সাহায্যের জন্য থেকে যাচ্ছি। যুদ্ধ করে আজ আমি প্রাণ দেব। কন্যা দ্রৌপদীর আজ যা পরিণতি, আমারও তাই হোক।

ধৃষ্টদ্যুম্ন রেগে বলে –লজ্জা করে না এমন উক্তি করতে! বোনকে যুদ্ধের মাঝে ছেড়ে পালাবো! এমন ভাবে প্রাণে বেঁচে কি লাভ। কি ভাবেই বা অন্যদের মুখ দেখাবো। আমি আজ মারবো ও মরবো- এই যুদ্ধে। তুমি গিয়ে অন্তপুরবাসিনীদের রক্ষা কর।

পুত্রের কথা শুনে দ্রুপদ বলেন –কৃষ্ণা এই আজ্ঞা পাঠিয়েছে। যবে থেকে কৃষ্ণা আমার ঘরে এসেছে আমি তাঁর সকল কথা শুনে চলি, কখনও লঙ্ঘন করি না। বৃহস্পতির চেয়ে বেশি বুদ্ধি ধরে আমার শশিমুখী এই কন্যা। যার মন্ত্রণাবলে আজ রাজ্যে আমি সবচেয়ে সুখী। কৃষ্ণা যুদ্ধ করতে বারণ করেছে। সেজন্যই তোমাদের আমি যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছি।

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলে –তোমরা ঘরে যাও। কৃষ্ণাকে রক্ষার জন্য আমি এখানে আছি।

এভাবে প্রবোধ দিয়ে ধৃষ্টদ্যুম্ন সকলকে ঘরে ফিরিয়ে আবার যুদ্ধের মাঝে ঝাঁপিয়ে পরল। কীচকের সাথে তাঁর সাঙ্গাতিক যুদ্ধ হল। গদাঘাতে কীচক ধৃষ্টদ্যুম্নের রথ ভাঙ্গল। গদার প্রহারে সে জ্ঞান হারাল। হাত থেকে ধনুর্বাণ খসে পরল। নিরস্ত্র, বিরথী হল দ্রুপদ নন্দন। দ্বিজগণের মাঝে পড়ে সে প্রাণে বাঁচল।

অন্যদিকে দ্রৌপদী কেঁদে বিলাপ করতে থাকেন –না জানি আমার বৃদ্ধ পিতার কি হল। মা-ভাইদেরই বা কি অবস্থা।

তিনি বিলাপ করছেন দেখে ধনঞ্জয় বলেন –কি কারণে কাঁদছেন, দেবী, কি আপনার ভয়!

কৃষ্ণা বলেন –আপনাদের দোষ দিই না। আমার কারণেই সবংশে আমার পিতা বিপদে পড়লেন।

পার্থ বলেন –দুঃখ করে আর কি হবে। গোবিন্দের স্মরণ করলে সকল বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন। তিনিই এ মহাবিপদ সিন্ধু পার করে দেবেন। তাকেই স্মরণ করুন যাজ্ঞসেনী।

অর্জুনের কথায় কৃষ্ণা জগন্নাথকে স্মরণ করেন –হে কৃষ্ণ, আপদহর্তা! রক্ষা কর আমায়। তুমি ছাড়া আর কেউ আমায় রক্ষা করতে পারে না। আমাকে বিপদে রক্ষা কর, নারায়ণ! পিতা, মাতা, ভাইদের রক্ষা কর, দেশের রাজ্যের প্রজাদের প্রাণ রক্ষা কর। আমি যদি সতী হই তবে তোমায় আমার কথা রাখতেই হবে। সবাইকে জিতে আমার ব্রাহ্মণ স্বামী আমায় পেয়েছেন।

দ্রৌপদীর বিপদ জেনে জগন্নাথ অভয় দিয়ে বাম হাত তুললেন।
দ্রৌপদীকে আশ্বাস দিতে পাঞ্চজন্য বেঁচে উঠল। সেই শব্দে সকল সৈন্য স্তব্ধ হল।
সব যদুবীরদের ডেকে গোবিন্দ বলেন –দেখ অর্জুনকে রাজারা ঘিরে ধরেছে। ওদিকে সৈন্যরা যথেচ্ছ ভাবে নগরে ভাঙ্গচুর চালাচ্ছে। তোমরা গিয়ে যত্নের সঙ্গে পাঞ্চালনগর রক্ষার ব্যবস্থা কর।

শুনে সাত্যকি, গদ, প্রদ্যুম্ন, সারণ প্রমুখ যদুবীর গর্জন করে বলে –ইনি যদি কুন্তীপুত্র ধনঞ্জয় হন, যিনি আপনার প্রিয় বন্ধু, সংসারে সবাই জানে। এই মহা সঙ্কটে যিনি একা পরে গেছেন। আপনি আজ তাকে সাহায্য করুন বা না করুন আমরা তাকে রক্ষা করে শত্রুদের ক্ষমা করব না। সব ক্ষত্রিয়দের মেরে পান্ডবদের রক্ষা করব। এত বলে সবাই যুদ্ধ করতে উদ্যত হল।

বাসুদেব বহু প্রবোধ দিয়ে তাদের আটকে বলেন –আমি সহজেই ক্ষত্রিয়দের মারতে পারতাম। কিন্তু বলরাম নিষেধ করেছেন। তাঁর আজ্ঞা লঙ্ঘন সম্ভব নয়। আর অর্জুনের পরাক্রমও সকলে বুঝুক। পৃথিবীর সবাই এক হয়েও আজ অর্জুনকে হারাতে পারবে না জেনে রাখ। অর্জুনের কারণে দুঃখিত হয়ো না। এখন তোমরা গিয়ে পাঞ্চাল নগর রক্ষা কর।

কৃষ্ণের বচনে সব যাদব ভূপাল পাঞ্চাল নগর রক্ষার জন্য গেল। প্রতি ঘরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারা দিয়ে সৈন্য নিবারণ করে প্রজাদের রক্ষা করল।

দেবী কুন্তী যে কুম্ভকারের কর্মশালায় আশ্রয় নিয়েছিলেন সেটি রক্ষার জন্য স্বয়ং গোপাল ও বলরাম গেলেন।
...................................
উৎসর্গ: সকল ব্লগার বন্ধুকে
......................................
আগের পর্ব:
কথাচ্ছলে মহাভারত - ৮৩
Click This Link


সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×